ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল ॥ ড. রাজ্জাক

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

বিএনপি একটি  সন্ত্রাসী দল ॥ ড. রাজ্জাক

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৫ এপ্রিল ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার নেপথ্যে ছিল জামায়াত-শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের ইন্ধন। এটিকে কেন্দ্র করে তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এরাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে এটিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার অপতৎপরতা চালিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাদের এই নীলনক্সা ও ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিয়েছেন। আগামীতে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের যেকোন ধরনের ষড়যন্ত্র রুখতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, কানাডার কোর্ট বলেছে যারা বিএনপি করে তারা সন্ত্রাসী। ভবিষ্যতে বিএনপি রাজনীতিতে সন্ত্রাস ব্যবহার করবে। এই সকল সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। খালেদা জিয়া কালিমা নিয়ে জেলখানায় রয়েছেন। সরকার তার অসুস্থতার সঠিক চিকিৎসা করাচ্ছে। বিএনপি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে মিথ্যাচার করেছে। এ সময় তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে, রাজাকার, আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যকারীদের বিচার শুরু করেন। কিন্তু বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীরা বলেছেন এটা কোন বিচার না, যাদের বিচার হয়েছে তারা নাকি যুদ্ধাপরাধী ছিল না। বিএনপি কোন দিন ক্ষমতায় এলে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, এই বিচার কাজে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সকলের বিচার করবে বিএনপি। তখন তিনি সকল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। ভবিষ্যত এ যেন কোন অপশক্তি মাথা চারা দিয়ে না উঠতে পারে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দরা। টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফাজরুল রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন এমপি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামসুল হক, যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক-সম্পাদক পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ, সুভাষ চন্দ্র সাহা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার আব্দুল বাতেন এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, অনুপম শাহজাহান জয় এমপি।
×