ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা বর্ষবরণে মানুষের ঢল

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সারাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, পান্তা উৎসব, লাঠিখেলাসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচীতে নানা বয়সের মানুষের ঢল নামে। অংশগ্রহণকারীরা অসাম্প্রদায়িক দেশ ও সোনার মানুষ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। খুলনা মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব, মেলা, লাঠিখেলাসহ নানা কর্মসূচী আয়োজেনের মধ্য দিয়ে শনিবার খুলনায় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে নানা বয়সের মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন আলোচনা সভায় বক্তারা অশুভ শক্তি মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর চত্বরে বৈশাখী গানের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের বাংলোর বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। এছাড়া নগরীর শান্তিধাম মোড় এলাকায় জাতিসংঘ শিশু পার্কে ‘চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলা’ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে), সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী, আব্বাস উদ্দীন একাডেমি, রূপান্তর ও বর্ষবরণ পর্ষদ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, পান্তাপর্ব, আলোচনাসভাসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ শিশু পার্ক ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শহীদ হাদিস পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী অনুষ্ঠান, মেলা এবং বিনোদন স্পট রূপসা সেতুকে ঘিরে নানা বয়সের মানুষের ঢল নামে। রাজশাহী ‘মনের অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে সোনার মানুষ হবার’ প্রত্যয়ে বর্ণিল আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে বরণ করা হয় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। নবীন-প্রবীণ সবায় সর্বজনীন এই উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেন শনিবার সকাল থেকেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। শোভাযাত্রা নিয়ে আশঙ্কা ও নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানে সবকিছুই। ঢাক-ঢোলের বাদ্য আর তরুণ-তরুণীদের হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল শোভাযাত্রাগুলো। রাজশাহীতে স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহীর উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এসময় শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী শাহীন আখতার রেণী, অধ্যাপিকা তসলিমা খাতুন, ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, শিক্ষক নেতা শফিকুর রহমান বাদশাসহ জোটের নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকাল ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। বরিশাল ঢাকের তালে তালে রাখি পরিয়ে, আর মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা বর্ষকে বরণ করে নিয়েছে বরিশালবাসী। বর্ষবরণকে ঘিরে সকাল সাতটা থেকে বরিশাল সিটি কলেজ মাঠে চারুকলা, বরিশাল বিএম স্কুল মাঠে উদীচী, বরিশাল সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন, বরিশাল জেলা ও দায়েরা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতি, অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে খেলাঘরের আয়োজনে বাঙালীর ইতিহাস ঐতিহ্যের নানা আয়োজন করা হয়। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে বরিশাল সিটি কলেজ মাঠে চারুকলা আয়োজন করে প্রভাতি অনুষ্ঠানের। লোকজ গান ও নাচের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ ও গুণীজনদের উত্তরীয় ও রাখি পরিয়ে দেয়া হয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মানবদরদি লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্ট। শোভাযাত্রায় অগ্রভাগে মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় পতাকা বহন করে। এরপর পরই ছিল ঘোড়সওয়ার বাহিনী। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি, শেখ মোঃ টিপু সুলতান এমপি, পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন, ভাষাসৈনিক ইউসুফ হোসেন কালু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন বীর বীক্রম, মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রমুখ। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসেন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন ভূঁইয়া, ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা প্রমুখ। শোভাযাত্রায় নানা রকমের মুখোশ, ঢোল, বাঁশি, হরেক রকমের বাদ্যযন্ত্র, রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন পৃথকভাবে উৎসব পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও বাঙালী খাবারের আয়োজন করা হয়। এ সময় বৈশাখী শুভেচ্ছা জানান, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মোঃ জাফর আলী, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আমিনুল ইসলাম, পৌর মেয়র আব্দুল জলিল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সূর্যোদয়ের পরপর শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও রাখিবন্ধন। সকাল নয়টায় বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এদিকে স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচীর উদ্যোগে রায়দুমরুহী গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ষবরণ, গুণীজন সম্মাননা, নবীন-প্রবীণদের মধ্যে প্রীতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বাউল গান। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন: সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, লোকশিল্পী বিভা রানী চক্রবর্তী এবং নারী জনপ্রতিনিধি তুহিন আক্তার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলাম। পাবনা বাংলা সনের প্রবর্তক মোগল সম্রাট আকবরকে উৎসর্গ করে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করল জেন ওয়াই জেড নামের একটি যুব সংগঠন। চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল বাজারে এ ভিন্নধর্মী আয়োজনে বর্ষবরণ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে । এ উপলক্ষে ‘কৃষি ও কৃষক মঙ্গল’ শিরোনামে আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন হান্ডিয়াল ইউনিয়নের মাহাতো সম্প্রদায়ের আদিবাসী নারী-পুরুষ, কৃষি শ্রমিক-কৃষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার সুধীসমাজ। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন চাটমোহর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ গোলজার হোসেন, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চাটমোহর শাখার চেয়ারম্যান কে এম বেলালুর রহমান, হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন, হান্ডিয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম, হান্ডিয়াল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোঃ আবুল হাশেম, সিরাজগঞ্জের নওগাঁর পানসি সাংস্কৃতিক একাডেমির সদস্যরা। অন্যদিকে জেলা শহরে ব্যাপক আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। যশোর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহা মিলনমেলায় মেতে বঙ্গাব্দ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়েছে যশোরবাসী। এদিন ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরিব মিলে মিশে একাকার হয়ে বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস, আনন্দ আর আবেগে মেতে ওঠে সকলে। উৎসবের নগরীতে এদিন আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রে, বাংলার সমৃদ্ধ সংগীতের সুর-মূর্ছনায় সময় পার করেন সবাই। আর তাদের সরব উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নববর্ষের মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে যশোরের সরকারী বেসরকারী সেবা প্রতিষ্ঠান, কলেজ, বিদ্যালয়, চারু-কারু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। নারায়ণগঞ্জ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি চাষাড়া বিজয় স্তম্ভের সামনে থেকে শুরু করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দিন হায়দার ও পিপি ওয়াজেদ আলী খোকনসহ সরকারী পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা। শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট ও নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে আরেকটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রাটি চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শনিবার সকালে স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্র বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিয়াজ শিশুপার্কে শেষ হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গল শোভাযাত্রা ছাড়াও দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। বাগেরহাট শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকল শ্রেণী-পেশার ও বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়াম থেকে বিশাল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। বেলুন এবং কবুতর উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস। শোভাযাত্রায় ডাঃ মোজ্জাম্মেল হোসেন এমপি, এ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশা এমপি, হেপী বড়াল এমপি, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়সহ হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। বগুড়া মঙ্গলপত্র পাঠ, মঙ্গলগীত, মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে বগুড়ায় বর্ষবরণের উৎসব শুরু হয়। বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে নগরীর এ্যাডওয়ার্ড পার্কের একাংশে ও শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্বরে পাঁচ দিনের বৈশাখীমেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সোহানুর রহমান সোহান। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। উদ্বোধনী দিনে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানসহ তিন ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। মেলায় পুতুল নাচ, লাঠি খেলা, লোকজ গীত, পালা গান, মাছ কাটার গানসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনুষ্ঠান রয়েছে। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৭টায় শহীদ ডাক্তার আবুল কাশেম ময়দানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে আবাহনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদ, আবৃত্তি পরিষদ, খেলাঘর আসর, আনন্দধারাসহ ৭টি বিদ্যালয়ের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। এরপর শহীদ ডাক্তার আবুল কাশেম ময়দান হতে বাঙালীর ঐক্য, শান্তি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আ ত ম আব্দুল্লাহেল বাকি সভাপতিত্ব করেন। শেরপুর শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট অঙ্গন থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ এ জে ড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জন কেনেডি জাম্বিল, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পালকি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি এবং বাংলার বাঘসহ বিভিন্ন মুখোশ পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশু-কিশোররা বাদ্য-বাজনাসহ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। মুন্সীগঞ্জ শনিবার সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে রাজা শ্রীনাথ অফিসার্স ক্লাবের মাঠে এসে শেষ হয়। পরে এখানেই শিল্পীদের দলীয় নৃত্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণের উৎসব শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পান্তার আয়োজন ও মেলায় মানুষের ঢল নামে। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহেদুল আলম পিপিএম, সরকারী হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ মীর মাহফুজুল হক, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব ও সাংবাদিক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বলসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। ফরিদপুর শনিবার সকাল ৭টার দিকে স্বাধীনতা চত্বরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ও পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান। সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আবুল ফয়েজ। সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি মুজিব সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক অতিক্রম করে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে গিয়ে শেষ হয়। জামালপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কাছারি শাহি জামে মসজিদ মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল করিম হীরা। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দেওয়ানপাড়ায় অফিসার্স ক্লাব মাঠে গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাসেল সাবরিন, জামালপুর পৌরসভা মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানাসহ সরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বর্ণাঢ্য সাজে এ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলামের নেতৃত্বে¡ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নতুন জামাকাপড় পরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় হাজারো নারীপুরুষ-শিশুকিশোর। নরসিংদী শনিবার সকালে মোসলেহ উদ্দীন ভূইয়া স্টেডিয়াম নরসিংদী থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নরসিংদী সরকারী কলেজ হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি নতুন ভবনে এসে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শত শত নারী-পুরুষ এতে অংশ নেয়। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানায় অংশগ্রহণকারীরা। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। পরে গ্রামীণ ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, ঘোড়াগাড়ি ও পালকি নিয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরনো কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মোঃ আব্দুল মালেক এমপি। অন্যান্যের মধ্যে র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, সাবেক এমপি শাহিন মনোয়ারা হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশীদ, পৌরসভার মেয়র নাজমুল হক সনি প্রমুখ। গাইবান্ধা শনিবার বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। বর্ষবরণ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল হক, পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান প্রমুখ। মাগুরা শনিবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরে পৃথকভাবে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। গরুর গাড়িসহ র‌্যালিতে বাদ্যযন্ত্রসহকারে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন। নীলফামারী শনিবার পহেলা বৈশাখে নীলফামারী যেন সজ্জিত হয় নতুন রূপে। রাস্তাঘাট স্কুল-কলেজ মেতে উঠেছে বাঙালীপনায়। ঢাক, ঢোল, ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি, মাটির থালা-বাসন শোভা পেয়েছে দিনটির নানা অনুষ্ঠানে। উল্লাস আর নেচে গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলাবাসী বরণ করছে নতুন বাংলা বছরকে। জেলা প্রশাসন, ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজ, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, পৌর আওয়ামী লীগ পহেলা বৈশাখে পান্তাভাত খাওয়ার আসর বসিয়ে বাঙালী ঐতিহ্য তুলে ধরছেন। কুষ্টিয়া নববর্ষকে ঘিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিনোদন স্পটগুলোতে নারী, শিশুসহ নানা বয়সের অসংখ্য মানুষ আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। বিভিন্ন আলোচনাসভায় বক্তারা নতুন বছরে সকল প্রকার অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। নাটোর শনিবার সকালে শহরের কানাইখালী মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ও পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শহর প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান। ফেনী শনিবার সকালে ফেনী সরকারী পাইলট হাইস্কুল মাঠ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পিটিআই স্কুল মাঠে শেষ হয়। এখানে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে ৪ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলার মাঠের একপাশে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথকভাবে বাংলা নবর্বষকে বরণের আয়োজন করেছে। ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি সংগঠনের মিলনায়তনে সকাল থেকে দই মিষ্টির আয়োজন করেছে। হবিগঞ্জ নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে শনিবার হবিগঞ্জে উদ্যাপিত হলো পহেলা বৈশাখ। বৈশাখের প্রেরণা রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ এমন সেøাগান লেখা নিত্য নতুন রং-বেরঙের জামা-কাপড় পরিহিত শিশু থেকে তরুণ-তরুণীরা ভোর থেকেই হবিগঞ্জ শহরের বি,কে,জি,সি গভঃ গালর্স হাই স্কুল, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, বৃন্দাবন সরকারী কলেজ, সরকারী মহিলা মহাবিদ্যালয়সহ রাজপথ, অলিগলি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ খোলা মাঠে জমায়েত হতে থাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শ’শ মানুষ। এমপি আলহাজ মোঃ আবু জাহির, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ ও এসপি বিধান ত্রিপুরার নেতৃত্বে শহরের নিমতলা থেকে বের করা হয় র‌্যালি। শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে আরও বের করে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন ‘সন্ধান’ এক শোভাযাত্রা। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মরণকালের বৃহত্তর মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন বয়সের ও শ্রেণী পেশার প্রায় ৩ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। বর্ণিল সাজে ও বিভিন্ন সাজসজ্জা নিয়ে র‌্যালিটি সকাল ৮টায় শিশুপার্ক থেকে শুরু হয় এবং শহর ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। ঝালকাঠির ৩টি ভেনুতে পান্তা উৎসবে এরা অংশগ্রহণ করেন। খাগড়াছড়ি শনিবার খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে টাউন হল প্রাঙ্গণে বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। লক্ষ্মীপুর শনিবার সকালে বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এমপি’র নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে রামগতি-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় দু’কি.মি. প্রদক্ষিণ করে স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে এসো এসো হে বৈশাখ গান দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচী।
×