ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধান্তের পরও হাতিরঝিলের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ হচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

সিদ্ধান্তের পরও হাতিরঝিলের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ হচ্ছে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে নক্সাবহির্ভূত গড়ে ওঠা স্থায়ী খাবারের দোকান ভেঙ্গে দিতে এক মাস আগে সিদ্ধান্ত হলেও এখনও বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। জানা গেছে, ঝিলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যার কারণে ফেব্রুয়ারিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নক্সাবহির্ভূত গড়ে ওঠা স্থায়ী খাবারের দোকান ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে সেখানে কিছু সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান রাখার সিদ্ধান্ত হয়। রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সদস্য এবং বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রেস্তরাঁ উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস (প্রকল্প ও ডিজাইন)। সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে হাতিরঝিলের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ ও স্থায়ী মিলে ২৯টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চালু হলেও নিয়মনীতি না মেনে ইচ্ছামতো দোকান চালু করায় নষ্ট হচ্ছে ঝিলের গাছপালাসহ পরিবেশ। এছাড়া দোকানের বর্জ্য হাতিরঝিলের পানিতে ফেলায় দূষণের আশঙ্কাও বেড়েছে। মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এ ধরনের দোকান ঝিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নান্দনিকতা নষ্ট করছে। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, জরিপের ভিত্তিতে স্থায়ী স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হবে। দেখা হবে এসব দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় ঘটেছে। রেস্তরাঁ হিসেবে কোন কিছু হাতিরঝিলে রাখা হবে না। যেগুলো এর মধ্যে গড়ে উঠেছে তার সবগুলো উচ্ছেদ করা হবে। তবে ভ্রাম্যমাণ কিছু দোকান থাকবে। এছাড়া প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্য বলেন, হাতিরঝিলের মধ্যে কিছু অস্থায়ী খাবারের দোকান থাকবে (বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত)। এছাড়া লেকের পাড়ে আর কোন কিছু থাকবে না। এক মাসের মধ্যে সব উচ্ছেদ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। সিদ্ধান্তের এক মাস পার হলেও কেন উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি তা জানতে চাইলে হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক জামাল আকতার বলেন, এ বিষয়ে উদ্যোগ আছে, কাজ করছি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাতিঝিলের এক দোকান মালিক বলেন, দোকন বরাদ্দ নেয়ার সময় অনেক টাকা দিতে হয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসেও অনেক টাকা ভাড়া দিতে হয়। আমাদের বিষয়ে একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার পর উচ্ছেদের বিষয় আসতে হবে।
×