ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখ দেয় নবজীবনের ডাক

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

বৈশাখ দেয় নবজীবনের ডাক

পহেলা বৈশাখ থেকেই শুরু হবে বাংলা সনের শুভ সূচনা। বৈশাখ মাস শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে নানা নামে অন্তত ১৫-২০টি মেলা শুরু হয়। মাসজুড়ে চলবে এসব মেলা। যার কোনটি দিনব্যাপী, কোনটি মাসব্যাপী। বৈশাখী মেলার পাশাপাশি রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পুজার মেলা, মন্দির সংলগ্ন মেলা। এসব মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে চারু, কারু ও মৃৎ শিল্প। মেলাগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন গ্রামীণ খেলনা ভিন্ন এক আমেজ তৈরি করে। বৈশাখকে কেন্দ্র করে তাই গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকার খেলনার গ্রামগুলোতে এখন ব্যস্ততার শেষ নেই। প্রতিটি গ্রামেই চিরচেনা নানা আকারের খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। কেননা বছরের সর্বোচ্চ আয় আসে এ মাস থেকেই। গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া, বাদিয়াখালী ও খোলাহাটী ইউনিয়নের পালপাড়া, কুমোরপাড়া, শিবপুর, কলাকোপা ও ধুতিচোরা, ফুলছড়ির রসুলপুর, কঞ্চিপাড়া ও ভাষারপাড়া, সাঘাটার ঝাড়াবর্ষা ও পুটিমারী, সুন্দরগঞ্জের বেলকা, পাঁচপীর, ধুবনী, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ী, শ্রীপুর ও ধর্মপুর, সাদুল্যাপুরের রসুলপুর ও দামোদরপুর, পলাশবাড়ীর হিজলগাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর, আরজিশাহপুর ও শক্তিপুর এবং পলাশবাড়ীর হিজলগাড়ী গ্রাম এ জেলার খেলনার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এসব গ্রামের প্রায় ১ হাজার পরিবার এখনও মাটি এবং বিভিন্ন দ্রব্যের নানা খেলনা তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। নানা প্রতিকূলতা মাথায় নিয়ে তারা এখনও তাদের পৈত্রিক পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। বিভিন্ন আকর্ষণীয় আকারে মাটির খেলনার পাশাপাশি শোলা, বাঁশ, কাঠ, লোহা, বেত ও তালপাতা দিয়ে নানা ধরণের খেলনা তৈরি করছেন তারা। তাদের তৈরি করা খেলনার মধ্যে রয়েছে মাটির তৈরি পুতুল, শোলার তৈরি ফুল ও পশুপাখি, মাটি আর চামড়ায় তৈরি ঢোলগাড়ী, বেত ও বাঁশের বাঁশি, শোলা ও তালপাতার শব্দ করা পাখি, কাগজের বাহারী ফুল, কাঠ ও লোহার গাড়ি, পাখি, ঝুড়িসহ অনেক কিছু। -আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা থেকে
×