ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তবু মুস্তাফিজে মুগ্ধ রোহিত

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

তবু মুস্তাফিজে মুগ্ধ রোহিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল শেষেই মুস্তাফিজুর রহমানের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন সেদিন টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ডেথ ওভারে কাটার মাস্টারের বোলিং দেখে বলেছিলেন, ‘দ্য ফিজ আর রিয়েলি মিস্ট্রিয়াস (রহস্যময়)।’ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলপতি এবার সেই তাকে পেয়েছেন সতীর্থ হিসেবে। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে গেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে উদ্বোধনী ম্যাচে শেষ ওভারে বল করে জেতাতে পারেননি মুস্তাফিজ। ৩৯ রান খরচায় নিয়েছিলেন ১ উইকেট, পরশু ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট। শেষ বলের নাটকীয়তায় এদিনও ১ উইকেটে হারতে হয়েছে সাকিব আল হাসানদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। ১৯তম ওভারে খেলায় নাটকীয় মোড় এনে দেয়া মুস্তাফিজে তবু মুগ্ধতার শেষ নেই। মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত বলেন, ‘সত্যিই স্মরণীয় একটা ম্যাচ ছিল। আমরা উপভোগ করেছি। আসলে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভাল করতে পারেনি। লড়াইয়ের জন্য এ রান যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। তরুণরা দুর্দান্ত খেলছে। জাসপ্রিত বুমরাহ ও মুস্তাফিজুর রহমানের কথা আলাদা করে না বললেই নয়। এত অল্প পুঁজিতেও ওরা আমাদের জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। আশা করছি বোলারদের পারফর্মেন্সের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। একটি জয় পুরো দলের চেহারা পাল্টে দিতে পারে। এ জন্য সামনের ম্যাচগুলোতে ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’ স্কোর ॥ মুম্বাই ১৪৭/৮ (২০ ওভার), হায়দরাবাদ ১৫১/৯ (২০ ওভার)। শেষ তিন ওভারে সানরাইজার্সের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৪ রান। অর্থাৎ ১৮ বলে ১৪। খুবই সহজ হিসাব। উইকেটে তখন সেট হয়ে গেছেন ইউসুফ পাঠান আর দীপক হুদা। কোন বড় শট খেলছিলেন না। শুধু সিঙ্গেলসের ওপর ছিলেন। এভাবেই সহজ জয়ের পথ রচনা হবে হয়তো। ১৮তম ওভার করার জন্য জাসপ্রিত বুমরাহর কাছে বল দিলেন রোহিত। প্রথম দুই বলে এক এক করে দুই রান নিলেন পাঠান এবং হুদা। এরপর ওভারের তৃতীয় বলেই বুমরাহকে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ইউসুফ। বিপর্যয় শুরু তখনই। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিলেন বুমরাহ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ। কিন্তু তা না হলেও শেষ বলে রান দিলেন না তিনি। এক ওভারেই ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বুমরাহ। ১৯তম ওভার করার জন্য বল তুলে দেয়া হলো মুস্তাফিজের হাতে। প্রথম বলে দীপক হুদা নিলেন ১ রান। এরপর ৫টি বল টানা ডট! এরই মধ্যে মুস্তাফিজ নিলেন দুটি উইকেট! তার মধ্যে সিদ্ধার্থ কাউলকে এক হাতে রিটার্ন ক্যাচ বানালেন। এক বল বিরতি দিয়ে ওভারের শেষ বলে সন্দীপ শর্মাকে ফিরিয়ে দিলেন কাটার মাস্টার। চমৎকারভাবে পুরো ম্যাচটি যেন মুম্বাইয়ের হাতে তুলে দিলেন। মাত্র ১ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। যে মুস্তাফিজ প্রথমে ২ ওভারের স্পেলে দিয়েছিলেন ২০ রান, তিনি শেষে ‘ডেথ ওভারে’ গিয়ে ২ ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান। খেলা তো ওখানেই ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ ওভারের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারেনি তার দল মুম্বাই। বেন কাটিংয়ের কাছ থেকে ১৪ রান নিয়ে হায়দরাবাদকে জয় এনে দেন দীপক হুদা এবং বিলি স্ট্যানলেক। ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেয়া সাকিব ব্যাট হাতে ১২ রানের বেশি করতে পারেনি।
×