ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবন ঘেঁষে শিল্পকারখানার অনুমতি ॥ জাতীয় কমিটির উদ্বেগ

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

সুন্দরবন ঘেঁষে শিল্পকারখানার অনুমতি ॥ জাতীয় কমিটির উদ্বেগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুন্দরবন রক্ষায় বেঁধে দেয়া শর্ত কতটা মানা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর কাছে চিঠি দিয়েছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি। শুক্রবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান কমিটির নেতৃবৃন্দ। রামপালের বিষয়ে নমনীয়তা দেখালেও অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর ৪১ তম সভায় সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে একটি কৌশলগত পরিবেশ প্রভাব সমীক্ষা করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। তবে এর মধ্যে সুন্দরবনের পাশে আরও শিল্পকারখানা স্থাপন চলছে; যা উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি। ইতোপূর্বে সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে ৩২০টি শিল্পপ্লট বরাদ্দ করেছে। বনের বাফার জোনের মধ্যেই ১৯০টি শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৮টি এলপিজিসহ মোট ২৪টি লাল ক্যাটাগরির দূষণকারী স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। আইন পরিবর্তন করে লাল ক্যাটাগরির কারখানাগুলো এখন সবুজ কারখানায় পরিণত হয়েছে। জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুন্দরবন সংরক্ষণে ইউনেস্কোর বিজ্ঞানভিত্তিক, সুচিন্তিত, পরিষ্কার মতামত ও শর্ত বাস্তবায়নে আমাদের সরকারী মহল নির্বিকার। শর্তগুলো সরকার যথাযথভাবে মানছে কিনা, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা ইউনেস্কোকে একটি চিঠি দিয়েছি; যাতে শর্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য তাদের পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা চালানো হয়। তিনি ইউনেস্কোকে পাঠানো চিঠির সারমর্ম তুলে ধরে এ বিষয়ে বলেন, আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠেয় বিশ^ ঐতিহ্য কমিটির ৪২তম সভায় সুন্দরবনকে আলোচ্য বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। বিশ^ ঐতিহ্য স্থলের সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ পুনর্বিবেচনা ও একে বিপদাপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণের সময় পার হয়ে যাচ্ছে কিনা তার মূল্যায়ন করতে হবে। ‘কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা’ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের কাজ যেমন বঙ্গোপসাগর ও পশুর নদী দিয়ে কয়লা পরিবহন জরুরীভাবে স্থগিত করা। বিশ^ ঐতিহ্য কনভেনশনের ধারা ৬ দশমিক ৩ মোতাবেক অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরে কোন ‘বিশ^ ঐতিহ্য স্থল’ ক্ষতিগ্রস্ত না করার বিধানের প্রেক্ষাপটে ভারত কিভাবে রামপাল কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কাজে যুক্ত হয়েছে তা জানাতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে ইউনেস্কোকে অনুরোধ করেছে কমিটি। এ সময় বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আবদুল মতিন, বাপার যুগ্মসম্পাদক শরীফ জামিল ও আলমগীর কবির, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ।
×