ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিপি রথীশ হত্যা মামলা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে জেলে কামরুল

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

পিপি রথীশ হত্যা মামলা  স্বীকারোক্তিমূলক  জবানবন্দী শেষে  জেলে কামরুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ১৩ এপ্রিল ॥ রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথীশ চন্দ্র ওরফে ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলাম রিমান্ডের ৭ দিনের মাথায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে রংপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার আদালতে হাজির করা হয়। ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৫ এপ্রিল কামরুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ওই দিন রাতে রংপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল আমিন। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা শুনানি শেষে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষ হওয়ার ৩ দিন আগেই কামরুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলার অপর তিন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। ১৯৯৪ সালে একই দিনে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক বৈমাত্রেয় হিসেবে যোগদেন কামরুল ও দীপা। সে সময় স্কুলের সভাপতি ছিলেন কামরুলের ভাই নুরুল ইসলাম জাফরী এবং সহ-সভাপতি ছিলেন দীপার স্বামী রথীশ ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক হত্যার অভিযোগে র‌্যাব তার স্ত্রী সিগ্ধা সরকার দীপা, তার প্রেমিক কমরুল ইসলাম, মোল্লাপাড়া এলাকার সবুজ ইসলাম, রোকনুজ্জামান ও আইনজীবী সহকারী মদন চন্দ্র বর্মন মিলনকে গ্রেফতার করে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিলনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অপর চার আসামিকে ৫ এপ্রিল রাতে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শুনানি শেষে কারুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে দেয়। অপর ৩ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ রাতে পিপি বাবু সোনাকে হত্যা করে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরে পুঁতে রাখা হয়। ৫ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী সিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে। তিনি এ হক্যাকা-ের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে জানান এবং সেই সূত্র ধরে ওইদিন রাতে বাবু সোনার লাশ উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল মিঞা জানান, কামরুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হন। ফলে রিমান্ডের অষ্টম দিনে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে রাতেই তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
×