ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসব শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নাট্যচর্চার তাগিদে যুক্ত হয়েছিল একঝাঁক তরুণ। তাদের নাট্যচর্চায় গড়ে ওঠে নাট্যদল নাগরিক সম্প্রদায়। ১৯৭৩ সালে দেশে প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে নাটক মঞ্চায়ন করে নাট্যদলটি। নাটক মঞ্চায়নের সাড়ে চার দশক ও প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার থেকে দলটির আয়োজনে শুরু হলো ৩ দিনব্যাপী নাট্য উৎসব। বিকেলে রাজধানীর মহিলা সমিতির আনন্দ অঙ্গনে এ উৎসবের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে জড়ো হন নাগরিকের বর্তমান ও পুরনো সদস্যরা। আনন্দময় এ আয়োজনে ছিল সৃজনশীলতায় নাগরিক প্রণোদনা এবং সৈয়দ শামসুল হক ও খালেদ খান স্মৃতি সম্মাননা প্রবর্তন। প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এ সময় পুরনো সদস্যদের মঞ্চে ডেকে নেন উৎসব আহ্বায়ক সারা যাকের ও নাগরিকের জ্যেষ্ঠ সদস্য আলী যাকের। প্রদীপ প্রজ্বালনে অংশ নেন মমতাজউদ্দীন আহমেদ, ফেরদৗসী মজুমদার, হাসান ইমাম, লায়লা হাসান, মোস্তফা মনোয়ার, রামেন্দু মজুমদার, লাকী ইনাম, এনামুল হক, শিমূল ইউসুফ, সেলিনা হোসেন, কেরামত মওলা আনোয়ারা সৈয়দ হক প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন আলী যাকের। ধন্যবাদ জ্ঞাাপন করেন সারা যাকের। নাগরিকের পক্ষে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং প্রখ্যাত দুই অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াৎ ও আতাউর রহমান। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে ছিল সম্মিলিত নৃত্য পরিবেশনা। সব শেষে ছিল নাগরিকের সদস্যরা দলের বিভিন্ন নাটকের নাট্যাংশ উপস্থাপন করে। শামা রহমানের সঙ্গীতসন্ধ্যায় সিক্ত শ্রোতা ॥ গানে গানে শ্রোতাদের মন রাঙালেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শামা রহমান। শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই শিল্পীর সঙ্গীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকৃতি, প্রেম, পূজাসহ রবীন্দ্রনাথের নানা আঙ্গিকের গান শোনান শিল্পী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সূচনা বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ। ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতী অনুষ্ঠানের মহড়া ॥ আজ শনিবার পহেলা বৈশাখ রমনা বটমূলে প্রভাতী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণ করবে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। এ উপলক্ষে শুক্রবার রমনা বটমূলে মহড়া করে ছায়ানট। মঞ্চ মহড়ায় অংশ নেয় প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পী। বটের সিক্ত ছায়া আর লেকের ধারের শীতল হাওয়ায় এ সময় তারা ২০টিরও বেশি গান পরিবেশন করেন। মহড়ায় দাদরা, ত্রিতাল, ঝাঁপ, আড়ঠেকা, কাহারবা ও তেওড়াসহ বিভিন্ন তালে শিল্পীরা সম্মেলক গানসহ একক সঙ্গীত নিবেদন করেন শিল্পীরা। মহড়ায় গাওয়া গানগুলো ছিল- পূর্ব গগন ভাসে দীপ্ত হইলো সুপ্রভাত, ওই পোহাইলো তিমির রাতি, শুভ্র প্রভাতে তিমির গগনে, প্রথম আলোর চরণধ্বনি, জাগো অরুণ ভৈরব, প্রাণের প্রাণ জাগিছে তোমারি প্রাণে, তোমার দ্বারে কেন আসি ইত্যাদি। সারগাম ॥ সাগদাম ললিতকলা একাডেমি বাংলা নববর্ষ বরণ ১৪২৫ উপলক্ষে সকাল ৮টায় সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে (কৃষি মার্কেট রিং রোড মোহাম্মদপুর) ‘এসো হে বৈশাখ’ শীর্ষক গানের আসরের আয়োজন করেছে। দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও গৌরবময় ইতিহাসক নিয়ে পরিবেশিত হবে গীতিমাল্য ‘আমার সোনার বাংলার বাংলাদেশ’ এবং এর আলোকে শিশু-কিশোরদের ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটির সঙ্গীত পরিচালনা করবেন শাহীন সরদার। সবশেষে রয়েছে ‘বাঙালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সাজো’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে আসবেন কবি নাসির আহমেদ, নাট্যজন শংকর সাঁওজাল ও একাডেমির উপদেষ্টা ড. জসীম উদ্দিন।
×