ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নওয়াজ শরিফকে আজীবন অযোগ্য ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

নওয়াজ শরিফকে আজীবন অযোগ্য ঘোষণা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের সংবিধানের ৬২ (১) (এফ) অনুচ্ছেদের আওতায় অযোগ্য ঘোষিত সংসদ সদস্যরা আজীবনের জন্য সরকারী কার্যালয়ে নিষিদ্ধ থাকবেন বলে সুপ্রীমকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলীম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। ক্ষমতাসীন দলটির নেতা এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এ রায়কে ‘তামাশা’ এবং ‘ষড়যন্ত্রের ফল’ বলে উল্লেখ করেছেন। অতীতে অন্য প্রধানমন্ত্রীরাও এ ধরনের ‘তামাশার’ শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। খবর ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে জারি করা এক রুলে জানায়, পাকিস্তানে সংবিধানের ৬২ (১) (এফ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেউ অযোগ্য ঘোষিত হলে তাকে আজীবনের জন্য অযোগ্য বিবেচনা করতে হবে। পানামা পেপার্স দুর্নীতি মামলায় ২০১৭ সালে ওই ৬২ (১) (এফ) ধারাতেই সে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন রুল অনুযায়ী যাবতীয় সরকারী কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নওয়াজও এখন আজীবনের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সুপ্রীমকোর্টের রুল জারির পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব। তিনি বলেন, এটি ষড়যন্ত্রমূলক রায়। এ রায় তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। এখন পর্যন্ত নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল দুনিয়ার প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং রাঘববোয়ালদের আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস করে সাড়া ফেলে দেয় আলোচিত ‘পানামা পেপার্স’। ফাঁস হওয়া ওই গোপন নথিতে অর্থপাচারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলের নাম উঠে আসায় নিজ দেশে চাপের মুখে পড়েন তিনি। বিরোধী দলগুলো থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়। ২০১৬ সালের ১ নবেম্বর নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশে অবৈধ বিনিয়োগের অভিযোগ তদন্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে দেশটির সুপ্রীমকোর্ট। পানামা পেপার্স প্রকাশের পর বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াতে ইসলামিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেয় আদালত। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সুপ্রীমকোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর পদত্যাগ করেন নওয়াজ শরিফ।
×