ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সিডি চয়েসের অনন্য রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

সিডি চয়েসের অনন্য রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউটিউবে বাংলাদেশের কোন চ্যানেল এই প্রথম ১০ লাখ সাবসক্রাইবারের মাইলফলক স্পর্শ করলো। আর এই অনন্য রেকর্ডের অধিকারী হলো দেশের স্বনামধন্য অডিও-ভিডিও-নাটক ও চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিডি চয়েস। প্রতিষ্ঠানটির এমন অর্জনে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বেশ সাড়া পড়েছে। অনেকেই এমন সাফল্যের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম সোহেলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই অর্জনে অনেকটাই উচ্ছ্বসিত সিডি চয়েসের কর্ণধার সোহেল বলেন, ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে আমরা ইউটিউব চ্যানেলটির যাত্রা শুরু করি। ২০১৫ সালের শেষ পর্যন্ত তেমনভাবে ইউটিউবে সবকিছু আপলোড শুরু হয়নি। তখন সাবসক্রাইবার ছিল মাত্র ২৫০০। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে নতুন পরিকল্পনায় যাত্রা শুরু করি। প্রকাশ করতে থাকি দেশসেরা, জনপ্রিয় শিল্পীদের অডিও-ভিডিও গান, নাটক ও চলচ্চিত্র। যার ফলে চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আমরা এমন রেকর্ডের অংশীদার হতে পেরেছি। একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য এটা কত বড় আনন্দের খবর তা বলে বোঝাতে পারব না। বাংলা গান যে মানুষ শোনো, বাংলা গান, নাটক ও চলচ্চিত্র যে ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এটাই তার প্রমাণ। বিভিন্নভাবে যারা আমাদের এই পক্রিয়ায় সাহায্য করেছেন, পাশে থেকেছেন সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এদিকে ১০ লাখ সাবসক্রাইবারের স্বীকৃতি হিসেবে কিছুদিনের মধ্যে ইউটিউবের হেড অফিস থেকে সিডি চয়েসকে ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত চ্যানেলটির কন্টেন্ট মোট ভিউয়ার পেয়েছে ৪৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি। এর মধ্যে কোটি ভিউয়ার পেরিয়েছে তাহসানের গাওয়া গান ‘কেউ না জানুক’ এবং তানজীব সারোয়ারের ‘মিথ্যা শিখালি’। অডিও-ভিডিও-নাটক-চলচ্চিত্র মিলিয়ে চ্যানেলটিতে মোট ১২০০ কন্টেন্ট রয়েছে। ‘সিডি চয়েস ড্রামা’ এবং ‘সিডি চয়েস মুভি ধামাকা’ নামে আরো দুটি চ্যানেল আছে সিডি চয়েসের। এরমধ্যে ‘সিডি চয়েস ড্রামা’র বর্তমান সাবসক্রাইবার ৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি। নাটকের মধ্যে কোটি ভিউয়ার পেয়েছে আলোচিত নাটক ‘বড় ছেলে’। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আর কোন নাটক কোটি ভিউয়ার পায়নি। যা সিডি চয়েসের বিরল সাফল্য। এজন্য বেশ আলোচিতও হয় সিডি চয়েস। আর ‘সিডি চয়েস মুভি ধামাকা’ সাবসক্রাইবার ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে সিডি চয়েস। এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধ করবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
×