ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাঠগড়ায় মার্ক বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

কাঠগড়ায় মার্ক বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে কোন পণ্য উৎপাদন করা হতো না বলে এ কোম্পানিটির শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জুতা কিনে এ কোম্পানিটি মার্ক সু নামে বাজারে বিক্রয় করত। বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে তিনি এ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটির পরবর্তী বিচার কাজের জন্য আগামী ৭ মে দিন ধার্য করেছেন বিচারক আকবর আলী শেখ। এটিএম তারিকুজ্জামান সাক্ষ্য প্রদানে বলেন, তিনি নিজে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন। এ ক্ষেত্রে সরেজমিনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের স্থায়ী সম্পদের মূল্য অনেক বেশি দেখানোর সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বেনামে শেয়ার বিক্রয় করে বলে সাক্ষ্য দেন তিনি। এ দিন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান ও বিএসইসির সহকারী পরিচালক মুন্সী এনামুল হক ও বাদী বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। যিনি মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো এমন ঠক ও প্রতারক কোম্পানি জীবনে কোনদিন দেখেননি বলে সাক্ষ্য দেন। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারে ধসের জন্য যে কয়টি কোম্পানি দায়ী, মার্ক বাংলাদেশ তার মধ্যে প্রথম সারির বলে জানান তিনি। ওইদিন ফরহাদ আহমেদ বলেন, মার্ক বাংলাদেশের স্থায়ী সম্পদের বাজার মূল্য বেশি দেখিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যার সঙ্গে কোম্পানিটির পর্ষদ জড়িত ছিল। এর আগে বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান ও সাবেক উপ-পরিচালক শুভ্রকান্তি চৌধুরী সাক্ষ্য দেন। এ মামলার আসামিরা হলেন-মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তার। আসামিরা শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারের আদেশ দেন বিচারক আকবর আলী শেখ। ১৯৯৯ সালে শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ২০০০ সালে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন উপপরিচালক আহমেদ হোসেন মামলা দায়ের করেন। সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশ এর ২৫ ধারা অনুযায়ী এ মামলা করা হয়। সিএমএম আদালতের ১৩৬৪/২০০০ নম্বরের মামলাটি ট্রাইব্যুনালে হয়েছে ৩/১৬ নং। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নবেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে এই ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়।
×