ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

ঝলক

অফিসে গান শুনলে কর্মদক্ষতা বাড়ে কেউ মনে করেন, গান শুনলে মন ভাল থাকে। কারও মতে, গান তাদের আরও বেশি কার্যক্ষম করে তোলে। বিষয়টি আসলেই সত্যি। অনেক গবেষণায় এটা উঠে এসেছে যে, অফিসে কাজের ফাঁকে গান শুনলে মনে বেশ উৎফুল্লতা চলে আসে এবং নতুন নতুন তথ্য খুব সহজে ধারণ করা সম্ভব হয়ে যায়। ‘গান শোনা’ ও ‘কাজ করা’ দুটো আলাদা কাজ এবং আপাতদৃষ্টিতে দেখতে পরস্পরবিরোধী বলেই মনে হয়। তাহলে এদের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়? সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর টেরেসা বলেন, ‘সাধারণত নিজের পছন্দ মতো গান শোনার এবং মনের উৎফুল্লতা- দুটো একে অপরের সঙ্গে খুবই সম্পৃক্ত। আর প্রফুল্ল মনের সঙ্গে কার্যক্ষমতার জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। আর এভাবেই সুস্থ ও সুন্দর মন অনেক পজিটিভ এবং বেশি বেশি কাজে মনোনিবেশ করতে পারে।’ তার মতে, আপনি যখন ভাল মুডে থাকেন তখন যেকোন সমস্যা আপনি খুব দ্রুত সমাধান করে ফেলতে পারছেন। কারণ আপনি তখন মনকে কেন্দ্রীভূত করতে পারছেন।’ সুতরাং গান শোনা আপনাকে শুধু কার্যক্ষমই করে তোলে না বরং আপনার উদ্ভাবন ক্ষমতাকে আরও জোরালো করে তুলে আপনাকে করে দেয় অনেক সৃজনশীল। তবে এটা ঠিক যে, বেসুরো গান এবং দ্রুত তালের গান মনকে আরও বিক্ষিপ্ত করে তুলতে পারে। অফিসে যদি আপনাকে এমন কোন গান শুনতে হয়, যে গান আপনি একটুও পছন্দ করেন না তখন কিন্তু এর ফল ভিন্ন রকমের হয়ে উঠতে পারে। মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মিউজিক প্রফেসর টেরেসা তার রিসার্চে এটা খুঁজে পান যে, কাজের ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি শুধু তখনই কার্যকর যখন সেই কাজে সে একদমই নতুন। অর্থাৎ কেউ যদি ইতোমধ্যেই কোন কাজে খুবই পারদর্শী হয়ে উঠে তবে তার মানসিক অবস্থা খুব বেশি খারাপ না হলে সে একই রকম উৎপাদন করবে। এর মধ্যে কোন তারতম্য ঘটবে না। টেরেসা বলেন, ‘কেউ যদি কাজে একদম নতুন এবং যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি তার ক্ষেত্রে অফিসে বসে গান শোনাটা বেশি কার্যকর হবে।’ বর্তমানে কিছু কোম্পানি এটা নিয়ে বেশ কাজ করে যাচ্ছে যেন এমন কোন মিউজিক তৈরি হয়, যাতে করে স্নায়ুর বিশেষ বিশেষ অংশ প্রভাবিত হবে এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করবে। ইতোমধ্যে ‘ফোকাস এট উইল’ নামে একটি এ্যাপ্লিকেশন আছে যেটা স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে এমন গান উৎপাদন করছে। এই গানগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা, যাতে করে কাজের মধ্যে এসব গান শুনলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। করোনেল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের একটি গবেষণায় দেখা, স্নায়ুর ওপরে প্রভাব ফেলে এমন গান অথবা সুর, অনুভূতিকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে। এ ধরনের গান ও সুর মানুষকে আরও কর্মক্ষম এবং সৃজনশীল করে তোলে। সুতরাং এই ধরনের গান ও সুর অফিসের কাজের ফাঁকে আপনার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন। -ফিউচারিজম কনে বেশেই পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাবুন তো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা এবং আপনার বিয়ে একই দিনে পড়ে গেল। কী করবেন আপনি? বেশিরভাগ মানুষই হয় বিয়ের দিন বদলে নেবেন অথবা পরীক্ষাটা পরে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু নাইজিরিয়ার দুই নারী একই দিনে বিয়ে এবং পরীক্ষা দুটোই সামলেছেন। বিয়ের পোশাকেই তারা উপস্থিত হয়েছিলেন পরীক্ষার হলে। গত ৭ এপ্রিল বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে এসে পরীক্ষা দিতে বসেন এই দুই সদ্য বিবাহিতা নাইজিরীয় নারী। তাদের নাম ডর্কাস আতসিয়া ও ডেবোরা আতোহ। নাইজিরিয়ার বেনুয়ে স্টেট ইউনিভার্সিটির ‘মিডিয়া এথিকস এ্যান্ড ল’ বিষয়ের ছাত্রী আতসিয়া ও আতোহ। তাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। তাই তারা ৭ এপ্রিল বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। কে জানত যে, ৭ এপ্রিলই হবে তাদের পরীক্ষা। তাই বাধ্য হয়েই বিয়ের আসর থেকে পরীক্ষার আসনে বসতে হলো এই দুই শিক্ষার্থীকে। -সিএনএন
×