ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

উবাচ

শিখছে বিএনপি স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকে বিএনপি অনেক কিছু শিখেছে। দলের মধ্যে বিশ^াস ভঙ্গের অভিযোগ উঠলেও স্থায়ী কমিটির বিতর্কিত সদস্য মওদুদ আহমেদ অবশ্য বলেছেন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই কোটার মতো আন্দোলন। সংসদে কোটা প্রথা প্রত্যাহার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর মওদুদ বলেন, এখনই খবরে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে বাংলাদেশে কোন কোটা ব্যবস্থা থাকবে না। উনি শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছেন যে, এই কোটা আন্দোলন কত বেগবান হয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছেন যে এই আন্দোলন যদি চলে, তাহলে তো তাদের ক্ষমতায় থাকাটাই কঠিন হবে। এই আন্দোলনের প্রসঙ্গ ধরে মওদুদ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এভাবেই আগামীতে আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তবে বেগম জিয়ার মুক্তিতে মওদুদ কোন ভূমিকা রাখতে পারবেন কী না, তা এখনও অনিশ্চিত বিশেষত বেগম জিয়া নিজেই নাকি মওদুদকে তার মামলা পরিচালনার দায়িত্বে আর দেখতে চাইছেন না। সেখানে আবার আন্দোলন! প্রসঙ্গত দেশের এই রাজনৈতিক দলটি আন্দোলন মানে নির্বিচারে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার পথই বেছে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ বিএনপিকে এমন বর্বর আন্দোলনের জন্য প্রত্যাখ্যান করেছে। এসব ছেড়ে অহিংস আন্দোলন কী বিএনপির পক্ষে করা সম্ভব এমন প্রশ্নও রয়েছে। উস্কানি স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের গুলিতে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। ছিঃ! আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? ন্যায্য কথা বলতে এসে ছাত্ররা এভাবে পুলিশের গুলি খেয়ে মরবে। এটি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। ঠিকই তো আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম! যেখানে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে বিপদে ফেলা হবে, এই বাংলাদেশ! আলোচিত এই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি যে পাতায় দেয়া হয়েছিল তার ফলোয়ারের সংখ্যা (গতকাল বিকেল পর্যন্ত) ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৮ জন। আর পাতাটি পছন্দ করেন ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৯ জন। যাদের বেশিরভাগই তরুণ। ফেসবুকে এই পেইজটি পরিচালনা করেন ইমরান এইচ সরকার। কোটা সংস্কারের আন্দোলনে একজন ছাত্র আহত হলেই ইমরান এইচ সরকার এই স্ট্যাটাসটি দিয়ে বসলেন। পরে এই ছাত্র এসে জানালেন তিনি নিহত হননি সামান্য আহত হয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে পানি অনেক দূর গড়িয়েছে। ছাত্ররা তো বটেই রাতে হলের মেয়েরাও হল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। সত্যিই এমন উস্কানিতে যদি কিছু হতো তার দায় তিনি নিতেন? আর যদি দায় নিতে নাই পারেন তাহলে এমন উস্কানি দেয়ার অধিকার তাকে কে দিল। মনে রোগ স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডে মনরোগ বিশেষজ্ঞ রাখা খুব প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ডাক্তার চৌধুরী একজন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী। নানা সঙ্কটে তিনি বিএনপিকে দীর্ঘ সময় জুড়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশন টকশোতে এসে প্রবীণ এই বুদ্ধিজীবী এমন কথা জানিয়েছেন। দলের ভিতরের অনেক খবর যেহেতু রাখেন ডাঃ জাফরুল্লাহ সঙ্গত কারণে বিএনপি নেত্রীর অসুস্থতা শরীরে না মনে তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী একাত্তর টেলিভিশনে এসে বলেছেন, সরকার একটা কমিটি করল, ভাল। যদিও কমিটিটা আমার কাছে মনে হয়েছে অসম্পূর্ণ। কারণ সেখানে সাইকিয়াট্রিস্ট (মনোরোগবিদ) বা মনোবিজ্ঞানের কোন লোককে রাখা হয় নাই। এ সময় টকশোর আরেক আলোচক আওয়ামী লীগ নেতা নূউ-উল-আলম লেনিন তার বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, এটা ঠিকই একজন মনোবিজ্ঞানী রাখা উচিত ছিল। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন সরকার ইয়াবার আসামিকে বারডেমের ভিআইপি কেবিনে রেখেছে। ওনাকে একটা কেবিনে পাঠিয়ে দিলে কিই না ক্ষতি হবে!
×