ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তারেকের ইচ্ছা পূরণ হলো না

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

তারেকের ইচ্ছা পূরণ হলো না

শংকর কুমার দে ॥ কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নেপথ্যের থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে। নেপথ্যে লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্রে ইন্ধন যুগিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনকে আরও অর্গানাইজড করতে টেলিফোনে নির্দেশ দেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের জাসাস সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মামুনকে। অধ্যাপক মামুন নিজেও তারেক রহমানের সঙ্গে কথোপকথনের কথা স্বীকার করেছেন। তাদের ফোনে কথোপকথনের অডিও টেপটি এখন পরীক্ষা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট, সন্ত্রাস চালানোর জন্য বিএনপি পেশাদার সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেছিল এমন অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ। ভিসির বাসভবনের লুট হওয়া মালামাল কোথায় গেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ভিসির বাড়িতে হামলা করেছে পেশাদাররা। কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেপথ্যে আন্দোলনকারীদের সংগঠিত করার ছক কষে বিএনপি। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে এ খবর জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে হামলার জন্য শাহবাগ থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসএম কামরুল আহসান। অপর তিনটি মামলার বাদী পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি ও শাহবাগ থানার পুলিশ। ভিসির বাসায় হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম কাজ করছে। সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ৮ এপ্রিল রাতে একটা থেকে দেড়টার মধ্যে ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা মূল গেট ভেঙ্গে বাসায় ঢুকে পড়ে। পরে বাসায় ব্যাপক ভাংচুর এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এই মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। হামলাকারীরা পেশাদার- ডিএমপি কমিশনার ॥ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে যে হামলা হয়েছে, তা পেশাদার। তিনি বলেন, ভিসির বাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যে ধরনের অরাজকতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত। ভিসির বাসায় যে কায়দা ও মাত্রায় ভাংচুর করা হয়েছে, সিসি টিভির হার্ড ডিস্ক যেভাবে খুলে নিয়ে গেছে, তাতে মনে হচ্ছে এটা পেশাদার লোকের কাজ। বৃহস্পতিবার ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার ডিএমপির প্রশিক্ষিত উর্ধতন কর্মকর্তাদের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করে নিয়ে আসব, এটা আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়। তিনি বলেন, কেউ আইনের উর্ধে নয়, যারাই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জনগণের নিরাপত্তা বিঘœ করে অতীতে কেউ পার পায় নাই, এবারও পাবে না। কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে গত রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসায় হামলা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলার সময় পাঁচ শতাধিক তরুণ সেখানে ছিল। তারা ভেতরে ঢোকে গেট ভেঙ্গে। তাদের অনেকেরই মুখ ছিল কাপড় দিয়ে ঢাকা। দুই তলা ওই বাসভবনের ঘরে ঘরে ঢুকে জানালার কাচসহ প্রায় প্রতিটি আসবাবপত্র ও ভাঙ্গার মতো প্রায় সবকিছুই তারা ভেঙ্গে ফেলে। এমনকি বাথরুম ও রান্নাঘরও তারা তছনছ করে। ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও ভেঙ্গে ফেলা হয়। উপাচার্যের বাসভবনের টেলিভিশনও ভেঙ্গে ফেলে হামলাকারীরা। এ সময় তারা বাসভবনের ভেতরে থাকা দুটি গাড়িতে ভাংচুর ও দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। উপাচার্য আখতারুজ্জামান হামলার পরের দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হামলাকারীরা প্রাণনাশের জন্য এসেছিল। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রবিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা এও বলেছেন, এই হামলা চালিয়েছে ‘বাইরের সন্ত্রাসীরা’ । ঢাবি শিক্ষকের সঙ্গে তারেক রহমানের কথোপকথন (অডিও) ॥ কোটা আন্দোলন নিয়ে লন্ডনে বসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি দলের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন আহমেদের টেলি আলোচনার কথোপকথনের অডিও এখন ইউটিউবেও এসেছে। লন্ডনে বসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকদের সমর্থন দিতে বলেছেন। টেলিফোনে বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন আহমেদকে। তারেক রহমানের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন অধ্যাপক মামুন আহমেদ। অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তারেক রহমানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের পক্ষ থেকে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সমর্থন জানানো হয় উল্লেখ করে অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যখন আমাদের ফোন করেছেন, তখন তিনি জানতে চেয়েছেন পরিস্থিতি কী। আমিও একই কথা বলেছি যে আমরা সাপোর্টিভ এর প্রতি। তো, শিক্ষক সমিতি যেমন অর্গানাইজড ওয়েতে সাপোর্ট করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দল কার্যকর আছে, সাদা দলের পক্ষ থেকেও অর্গানাইজড ওয়েতে আমরা বিবৃতি দিয়েছি আজ। বলেছি, আমরাও এই দাবির সঙ্গে আছি। দাবি যৌক্তিক। যৌক্তিক দাবির প্রতি আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।’ টেলিফোন কথোপকথন তুলে ধরা হলো ॥ মামুন: হ্যালো তারেক: জি, স্লামালেকুম। তারেক: জি, মামুন সাহেব বলছেন? মামুন: জি বলছি। তারেক: মামুন সাহেব, আমার নাম তারেক রহমান। মামুন: স্লামালেকুম, স্লামালেকুম। তারেক: ভাল আছেন? মামুন: জি, আমি ভাল আছি। আপনি ভাল আছেন? আপনার শরীর কেমন? তারেক: শরীর আছে মোটামুটি, আলহামদুলিল্লাহ। মামুন: আলহামদুলিল্লাহ। তারেক: আমি ফোন করলাম, ছেলেপেলেরা যে কোটা আন্দোলনের জন্য, বাতিলের জন্য বা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছে, এখানে মনে হয়, সাদা দলের পক্ষ থেকে, যেহেতু দাবিটা জেনুইন। এবং দেশের অধিকাংশ স্টুডেন্ট যারা মেধাবী বলে স্বীকৃত, অধিকাংশই তো এইটার সঙ্গে আছে, তাই না? মামুন: জি। তারেক: এবং আমার মনে হয় সাধারণ মানুষ আছে, বিকজ এই যে কোটা পদ্ধতি তো কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ যেভাবে, বলা যায় নষ্ট করে দিয়েছে, আমার মনে হয়, এই দাবিটা বোধহয় ওদের ন্যায্য দাবি। মামুন: অবশ্যই। তারেক: আমার মনে হয়, আপনারা যারা আছেন, সাদা দলের, বিশেষ করে আমার মনে হয়, আপনারা আছেন যারা, এটাকে একটু অর্গানাইজড করে সাপোর্ট দিলে হয় না? মামুন: আমার ব্যক্তিগত ধারণা, সাপোর্টটা দেয়া প্রয়োজন। জেনারেল ওয়েতেই সেটা করা প্রয়োজন। তবে অর্গানাইজড করাটা বিভিন্ন কারণে সম্ভব হয় নাই। তবে এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, এখন অর্গানাইজড করার সময় হয়ে এসেছে। আপনি বলায় এটা আরও বেশি এক্সপাডাইজ হবে নিশ্চয়। নিশ্চয় সেটা আমরা করব। তারেক: তাহলে তো আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। মামুন: জি আমরা করব। তারেক: আপনি একটু এগিয়ে আসেন তাহলে। মামুন: অবশ্যই, অবশ্যই। তারেক: সবার সঙ্গে একটু কথা বলেন তাহলে। যারা যারা আছেন সবার সঙ্গে একটু কথা বলে এটা একটু অর্গানাইজড করেন তাহলে। মামুন: জি, জি, আমি কথা বলছি। তারেক: আমি আরও দুই-একজনের সঙ্গে কথা বলছি। মামুন: জি, জি। তারেক: আপনার অবস্থান থেকে একটা ভূমিকা রাখেন তাহলে। ভূমিকা রাখেন। মামুন: জি, জি। তারেক: এই নাম্বারটা...এই নাম্বারটা আমার, সেইভ করে রাখেন। আপনি তাহলে আপডেটটা আমাকে এই নাম্বারে জানাতে পারবেন। মামুন: ও থ্যাঙ্ক ইউ। তারেক: আর অন্য কোনও বিষয় হলেও আমাকে জানাতে পারবেন। মামুন: আমি তো বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। আর জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। আপনি হয়ত জানেন। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। তারেক: জি, আপনিও দোয়া করবেন। মামুন: বিভিন্ন প্রয়োজনে আমিও যোগাযোগ করব আপনার সঙ্গে। তারেক: তো আই এ্যাম এক্সপেক্টিং আপডেট ফ্রম ইউ টুমোরো। মামুন: ওকে তারেক: কালকে আমি একটা আপডেট আশা করছি। থ্যাঙ্ক ইউ। থ্যাঙ্ক ইউ। মামুন: জি স্লামালেকুম, স্লামালেকুম। তারেক: স্লামালেকুম, স্লামালেকুম। পেট্রোল বোমা বাহিনী ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত পেট্রোল বোমাবাহিনী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছিল। বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুন বাগিচার স্বাধীনতা হলে এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মামুনের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলনে বাতাস কীভাবে দেয়া যায়, সেই চেষ্টা করেছেন। মামুন সাহেবকে গ্রেফতার করা উচিত, তাহলে কারা এই ভাংচুর করেছে, তার তথ্য বেরিয়ে আসবে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশও উপাচার্যের বাড়িতে হামলায় যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। বিএনপি সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন কোটা সংস্কারের আন্দোলন আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেছে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। যা বলেন খন্দকার মোশারফ ॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে জাসাস সভাপতি অধ্যাপক মামুনের টেলি আলাপের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি দল সমর্থক কোন শিক্ষককে আন্দোলনে সমর্থন দিতে বলেন, তাতে অন্যায় কিছু নেই। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ॥ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানা ধরনের চক্রান্ত শুরু করেছে পর্দার অন্তরালে থাকা একটি অদৃশ্য মহল। দেশে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আগামীতে আরও নানা ধরনের আন্দোলনের উস্কানি দেয়া হতে পারে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই ধরনের ষড়যন্ত্র করার জন্য তৎপর আছে সরকার বিরোধী শক্তি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কীভাবে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করা যায় এমন ষড়যন্ত্রের ছক কষে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিকে সামনে আনা হতে পারে। এ জন্য নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচীর আড়ালে নাশকতা, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে এগুচ্ছে দেশে-বিদেশে থাকা বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীর দোসর ও উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। লন্ডনে বসে ঢাবির অধ্যাপকের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ভিসির বাসভবনে হামলা করেছে বলে তথ্য রয়েছে শিবির ও ছাত্র দলের কর্মী ক্যাডাররা। কোটা সংস্কাররের আন্দোলনকেও নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসরা উস্কানি দিচ্ছিল বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। অতীতেও লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরসহ ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটনের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার দাবি। ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, শাহবাগ থানায় দায়ের করা চারটি মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজের ছবি দেখে, লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করে, সাক্ষ্য, প্রমাণ, আলামত সংগ্রহ করে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে দায়ী ও দোষীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করা হবে। চার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ মে ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, গাড়ি পোড়ানো, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা চার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৭ মে ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানা পুলিশ মামলাগুলোর এজাহার আদালতে জমা দিলে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী তা গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের এই নির্দেশ দেন।
×