ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. আরএম দেবনাথ

ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরন, সমাজ কাঠামো বদলে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরন, সমাজ কাঠামো বদলে যাচ্ছে

ছোট ছোট খবর দিয়েই আজকের কলাম শুরু করি। এর দ্বারা বোঝা যাবে ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি ক্ষেত্রে কী সব পরিবর্তন হচ্ছে এবং এসবের প্রভাব কীভাবে সমাজে পড়ছে। ধরা যাক শুকনো মরিচের কথা। আজকাল বাজারে বড় বড় কোম্পানির শুকনো মরিচের গুঁড়া প্যাকেটজাত অবস্থায় পাওয়া যায়। হলুদের গুঁড়াও প্যাকেটে পাওয়া যায়। অনেক সময় প্যাকেটে এদের ‘ম্যানুফেকচারিং ডেট’ থাকে। অনেক সময় থাকে না। তবু মধ্যবিত্ত গ্রাহকরা তা কিনে। মীনাবাজার, স্বপ্ন ইত্যাদি মেগাশপে এসব পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা কী জানি এ কারণে ছোট ছোট অনেক ব্যবসা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগে অনেক কাঁচাবাজারে অথবা এর কাছেই হলদির গুঁড়া, শুকনো মরিচের গুঁড়া করার মেশিন ছিল। একে কেন্দ্র করে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা সংসার চালাত। ওসব মেশিনওয়ালা দোকানে গমও ভাঙ্গানো যেত, পিঠার চালও ভাঙ্গানো যেত। দিনকে দিন এসব ব্যবসায় মন্দা নামছে। আগের মতো রমরমা এই ব্যবসা এখন আর নেই। মধ্যবিত্ত এসব ঝামেলা পছন্দ করে না। তারা মেগাশপ থেকে পিঠার গুঁড়া, হলুদ-মরিচের গুঁড়া, লাল আটার প্যাকেট কিনতে পছন্দ করে যদিও দাম বেশ চড়া। একই অবস্থা লবণেরও। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে নোয়াখালী, চট্টগ্রামের ছোট ছোট লবণ চাষী লবণ উৎপাদন করত। এই চাষেও এখন ভাঁটা পড়েছে। বড় বড় কোম্পানি যাকে আমরা আজকাল ‘কর্পোরেট হাউস’ বলে ডাকি তারা এই ব্যবসা ধীরে ধীরে গ্রাস করছে। ‘কর্পোরেট হাউসগুলো’ অনেক কৃষিপণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে। চিকন চালের বাজারে কোন কোন কোম্পানি ঢুকেছে। মাছ, শাক-সবজি ইত্যাদি যেসব মেগাশপে পাওয়া যায় তারা চাষীদের ঋণ দিচ্ছে, সুযোগ-সুবিধা দিতে শুরু করেছে যাতে এসব পণ্যের তাজা সরবরাহ নিশ্চিত হয়। এই যে পরিবর্তন তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনা-বেচার একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে বড় বড় কর্পোরেট হাউসের কাছে। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারের ধরনেও পরিবর্তন আসছে। অনেকে ব্যবসার পরিবর্তে কর্মচারীতে পরিণত হচ্ছে। আবার পাইকারি ব্যবসায় গুণগত পরিবর্তন এসে যাচ্ছে। যেমন শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার-কামিজ ইত্যাদি ক্রয় করার জন্য এখন আর আগের মতো বাবুরহাটসহ বড় বড় বাজারে আসতে হয় না। বড় বড় পাইকাররা গ্রামাঞ্চলের দোকানে দোকানে, খুচরা বিক্রেতাদের কাছে মাল পৌঁছে দেয়। পরিবহন তাদের নিজেদের। খুচরা দোকানদাররা অনেক ক্ষেত্রে এখন অনেক ঝামেলা থেকে মুক্ত। বাসে-ট্রাকে বাজারে যেতে হয় না, টাকা-পয়সা বহন করে বাজারে যেতে হয় না। চোর-ডাকাতের ভয় থেকে তারা মুক্ত। অনেক খরচও করতে হয় না। হোটেল খরচ-খাওয়া খরচ বেঁচে যায়। আর বাকিতে মাল পাওয়ার সুযোগ আগের মতোই আছে। বিগত ২০-৩০ বছরে ঢাকায়, বাবুরহাটে এবং অন্যত্র অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর জন্ম হয়েছে। তারা প্রথম প্রজন্মের ব্যবসায়ী। টাকা করেছে নানাভাবে। তারা ব্যবসায় নেমেছে। রয়েছে পুরনো ব্যবসায়ীরাও। সবাই মিলে একটা প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সৃষ্টি হয়েছে। এর আরেকটি ফল হয়েছে। পাইকারি ‘সওদা’ করার জন্য এখন শহরে বড় বেশি আসতে হয় না। থাকতেও হয় না হোটেলে। ফলে ঢাকার হোটেলে এখন আবাসিকের ভিড় আগের মতো নেই। বস্তুত ঢাকার আশপাশ অঞ্চল থেকে ঢাকার বাজারে আসা খুবই সহজ। দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে ভৈরব-নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফরিদপুর, মাওয়া, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, হালুয়াঘাট, জামালপুর, শেরপুর ইত্যাদি অঞ্চলে যাওয়া যায়। বাজার করে দিনে দিনে বাড়ি ফেরা যায়। হোটেলে রাতযাপন করতে হয় না। আর যোগাযোগ খুবই দ্রুত। বাস-ট্রাকের কোন অভাব নেই। সর্বত্রই বাস-ট্রাক। দিন-রাত। টাকা-পয়সা সঙ্গে বহন করতে হয় না। ব্যাংকের ঝামেলার জন্য কেউ এখন আর ব্যাংকে যায় না। ‘বিকাশ’ ভীষণ সহজ করে দিয়েছে পরিশোধ ব্যবস্থাকে। মুহূর্তের মধ্যে ভেঙ্গে ভেঙ্গে হাজার হাজার টাকা পাঠানো যায়। ব্যাংকে গেলে ঠিকানা দাও, টেলিফোন নাম্বার দাও, কৈফিয়ত দাও। শত রকমের প্রশ্ন। অথচ ‘বিকাশ’ ইত্যাদি মাধ্যমে টাকা পাঠানোতে এত প্রশ্ন নেই। কোন কোন পরিবহন কোম্পানিও ‘রেমিটেন্সের’ কাজ করে। সরকার বলে এটা অবৈধ ব্যবসা। তারা বলে আইন দেখাও কীভাবে এটা অবৈধ ব্যবসা। এর ফলে শত শত হাজার হাজার লোক করে যাচ্ছে। এই ব্যবসাকে বলা যায় অভ্যন্তরীণ ‘হুন্ডি’ ব্যবসা ‘হুন্ডি’কে আমরা অবৈধ বলি। ‘হুন্ডি’ এক ধরনের রেমিটেন্স। এই রেমিটেন্স এখন ‘জলবৎ তরলং’ ব্যবসা। কোটি কোটি টাকার মালিকদের এই ব্যবসায় কোন কাজ নেই। আর পরিবহন ব্যবসাও জমজমাট এখন। শুধু বাস-ট্রাক-লঞ্চ নয়, এখন যাতায়াত এবং পরিবহনে ব্যাপৃত হাজার হাজার যুবক, বেকার শিক্ষিত-অশিক্ষিত যুবক। মোটরসাইকেলে গ্রামাঞ্চলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে এখন সহজ বিষয়। বাসের অপেক্ষা, ট্রেনের অপেক্ষা গ্রামের লোক করে না। জেলা শহরে রাতে বিয়ে খেয়ে রাতেই ২০ কিলো- ৩০ কিলো মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরা যায়। ভটভটি আছে। থ্রি হুইলার আছে। বস্তুত গ্রামাঞ্চলে অনেক রাস্তা আছে থ্রি হুইলারের চাপে এখন বাসের গতি শ্লথ হয়ে গেছে। থ্রি হুইলার, ভটভটি, মোটরসাইকেল সরবরাহ করার মতো বহু ব্যবসায়ী এখন গ্রামে আছে। তারা বাকিতে এসব সরবরাহ করে। আবার ট্রাক-বাস বাকিতে দেয় বড় বড় কোম্পানি। তাদের ‘কালেকশনের’ জন্য লোক আছে। ‘উবার’ ইত্যাদিও অনেকটা ‘স্বপার্জিত’ ব্যবসা। এই পরিবহন ও যাতায়াতকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠেছে শত শত ওয়ার্কশপ। কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। সাইকেল এখন বহুল ব্যবহৃত মাধ্যম। আমাদের ছোটবেলায় গ্রামে সাইকেল ছিল কয়জনের? এখন ঘরে ঘরে সাইকেল নয় মোটরসাইকেল। কৃষির যন্ত্রায়ন হচ্ছে। বৃষ্টির খরচ হ্রাস পেয়েছে। জমি চাষ, সেচ, চারা রোপণ, সার প্রয়োগ, আগাছা দমন, কীটনাশক প্রয়োগ, ফসল কর্তন, ফসল মাড়াই, ফসল ঝাড়াই, ফসল শুকানো ও গুদামজাতকরণে এখন যন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। এসবকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলে একটা ব্যবসার পথ হয়েছে। অনেক কোম্পানি এসব ব্যবসায় মদদ দিচ্ছে। ওয়ার্কশপ হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা কাজ করতে করতে মেকানিক হচ্ছে। এসবে বিদেশ থেকে আসা রেমিটেন্সের টাকাও বিনিয়োজিত হচ্ছে। বিনিয়োগের পরিমাণ খারাপ নয়। উদ্দীয়মান এসব হাজার হাজার উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীর প্রয়োজন মেটানোর জন্য চা-স্টল হচ্ছে, নাস্তার দোকান হচ্ছে, খাবারের দোকান হচ্ছে। হচ্ছে এমনকি কেক, বিস্কুট, পিজা-রুটির দোকানও। গ্রামে এখন চা এবং কফি সবই পাওয়া যায়। আগে আমরা চা রফতানি করতাম। এখন চায়ের চাহিদা অর্থাৎ ভোগ এত বেড়েছে যে, চা আমাদের আমদানি করতে হয়। শত শত দোকান গ্রামাঞ্চলে। রাস্তায় রাস্তায়, চৌরাস্তায় চৌরাস্তায় বাজার। দিন-রাত বাজার। বিদ্যুতায়িত বাজার। এটাও একটা ব্যবসা। বিদ্যুত আনে একজন, তার কাছ থেকে সবাই ভাড়া নেয়। ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কোচিং সেন্টার খোলাও একটা ব্যবসা। বড় ব্যবসা। গ্রামের লোক এখন সর্দি কাশিতেও ডাক্তারের কাছে যায়। কোচিং এখন একজন রিকশাওয়ালার ছেলের জন্যও করায়। বিশাল পরিবর্তন। গ্রামের বাজারে এখন সোনার দোকান আছে। আগে ‘কর্মকাররা’ এই ব্যবসা করত। এখন তৈরি অলঙ্কারের ব্যবসা গ্রামাঞ্চলে। ক্রেতা রেমিটেন্স প্রাপকরা। গ্রামের লোকেরা একটু ভাল বাজার করার জন্য শহরে এসে পড়ে। বাজার করে আবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় গ্রামে ফিরে যায়। আরেকটি বড় পরিবর্তন ব্যবসার ক্ষেত্রে হয়েছে। আগে গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলো ছিল নদীর তীরবর্তী জায়গায়। নদীকে ঘেঁষেই ছিল বড় বড় দোকান। সেসব দোকানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মালিকানা। বড় বড় পানসি নৌকায় মালামাল আনা-নেয়া হতো। ভৈরব, চাঁদপুর, ঢাকা ইত্যাদি জায়গা ছিল নদীবন্দর। এখানেই ছিল পাইকারি বাজার, বড় বড় মহাজনের ব্যবসা। তারাই নিয়ন্ত্রণ করত গ্রামের খুচরা ব্যবসা। এখন এই চিত্র প্রায় বিলীন। এর প্রধানতম কারণ এখন আর নদী নেই। এমন কি খাল-বিলও নেই। নৌকা চলাচলের সুযোগ সীমিত। এখন বাজার চলে গেছে রাস্তার পাশে, ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের রাস্তার পাশে। চৌরাস্তায়। এটা এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিচিত নতুন বাজার হিসেবে। এখানেই গড়ে উঠেছে সরকারের নানা ধরনের অফিস। স্কুল-কলেজ-মহিলা কলেজ ইত্যাদিও এসব অঞ্চলে। পুরাতনের স্থলে জায়গা করে নিয়েছে নতুনরা। এখন গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রাধান্য আগের মতো নেই। নতুন নতুন ব্যবসায়ীর জন্ম হয়েছে। তারা অনেকেই নব্য ধনীÑ নানাভাবে। কেউ ঢাকায় চাকরি করে, ব্যবসা করে পয়সা করেছে, কেউ ম্যানপাওয়ার ব্যবসা করে টাকা বানিয়েছে। তাদের আত্মীয়স্বজনরা ব্যবসায় ঢুকছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরাই ঢাকার চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের লোক হিসেবে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায় ঢুকছে। এসব ব্যবসায়ীর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন নৈতিকতা নেই। কিন্তু তারা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। বিশাল বিশাল ব্যবসা তাদের। রাজনৈতিকভাবেও তারা ক্ষমতাশালী। সামাজিক কাঠামোতে তারা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এভাবে উপজেলা ও জেলা শহরে গত ৩০-৪০ বছরে নতুন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর জন্ম হয়েছে যারা সবদিক থেকেই ক্ষমতাশালী। অনেকেই আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগীয় ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। উল্লেখ্য, এসব ব্যবসা-বাণিজ্যে নদীর কোন ভূমিকা নেই, রেলের কোন ভূমিকা নেই। পুরো ব্যবসাটাই সংগঠিত হয় ট্রাক-বাসে সড়ক পথে। এতে ব্যবসার খরচ বেশি পড়ে। নৌকায় মাল আনা-নেয়া করলে ঘাটে ঘাটে চাঁদা লাগত না। কারণ নৌকার ‘নাগাল’ পাওয়া যেত না। কিন্তু ট্রাক-বাস রাস্তায়, নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। সর্বত্র চাঁদাবাজি। এর খরচও ব্যবসার খরচ এখন। অথচ নদী এবং রেল ব্যবস্থা যদি মাল পরিবহনে ব্যবহৃত হতো তাহলে আমাদের ব্যবসার খরচ অনেক কম পড়ত। নদী যেহেতু নেই তাই নৌকাও নেই, পাল তোলা নৌকাও নেই, মাঝিও নেই। ফলে হাজার হাজার মানুষ গ্রামে বেকার হয়েছে। আবার চীনা মাল সারা বাংলাদেশের বাজার দখল করায় গ্রামাঞ্চলের অনেক পেশার মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতিরা, কর্মকাররা, জেলেরা, কুম্ভকাররা। পেশাজীবী সমাজ তাই ধীরে ধীরে ভাংছে। ‘সূত্রধরের’ ছেলে আজ থ্রি হুইলার চালায়। কুম্ভকারের ছেলে চা স্টল চালায়। তাঁতির ছেলেমেয়েরা চাকরি করে গার্মেন্টসে। এসব পরিবর্তনে একটা বিষয় লক্ষণীয়। আর সেটা হচ্ছে ব্যবসা ধীরে ধীরে বড়দের হাতে চলে যাচ্ছে। বড় বড় শিল্পের জন্ম হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকের ঋণের দাবিদার হয়ে পড়ছে বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা। ছোট ছোট ব্যবসা ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে। এ এক নতুন ধরনের ব্যবসায়িক পরিবেশ। নতুন ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ। আমার ধারণা বর্তমান স্তরটি বিবর্তনের একটা স্তর। শেষ পর্যন্ত এসব পরিবর্তন কোথায় গিয়ে ঠেকে তা দেখার বিষয়। লেখক : সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
×