ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শতভাগ বিদ্যুতায়নে ১০ হাজার কোটি টাকা চায় বিদ্যুত বিভাগ

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১২ এপ্রিল ২০১৮

শতভাগ বিদ্যুতায়নে ১০ হাজার কোটি টাকা চায় বিদ্যুত বিভাগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) অতিরিক্ত ১০ হাজার ৮৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে বিদ্যুত বিভাগ। বিদ্যুত বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এই অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হয়। অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর কাছে লেখা এক চিঠিতে এই অতিরিক্ত বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বিদ্যুত সচিবের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুত বিভাগের ৩১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু অর্থ বিভাগের সিলিং অনুযায়ী এডিপিতে আগামী অর্থবছরে বিদ্যুত বিভাগ সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন। এতে আরও বলা হয়েছে, এই বরাদ্দ না পেলে বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুত সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের নেয়া চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। বিশেষ করে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বিদ্যুত বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপিতে অতিরিক্ত ১০ হাজার ৮৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা একান্ত প্রয়োজন। বিদ্যুত বিভাগ জানায়, সরকারের ‘ভিশন-২০২১’ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সবাইকে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করতে হবে। এজন্য ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিদ্যুত বিভাগের মাধ্যমে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুত বিভাগের আওতাধীন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ বিভাগ বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে ২৪ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এরমধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ছিল ১৩ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, ‘এখন দেশে বিদ্যুত কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও আমদানিসহ ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। এর বাইরে আরও আট হাজার মেগাওয়াটের নতুন কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এত বড় কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে অর্থ। তাই এবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হয়েছে।
×