ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যারপরনাই বিস্মিত হিথ স্ট্রিক

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১১ এপ্রিল ২০১৮

যারপরনাই বিস্মিত হিথ স্ট্রিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৭৯ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে নেই জিম্বাবুইয়ে। এক সময়ের দারুণ সম্ভাবনায় দেশটি এবার ঘরের মাটিতে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাই পর্বের সুপার সিক্সে দুর্বল আরব আমিরাতের কাছে হেরে বসে! যে কারণে পুরো কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সব সদস্যকে বরখাস্ত করে জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেট বোর্ড (জেডসি)। তার মধ্যে আছেন হিথ স্ট্রিকও। অথচ আরেক সাবেক অধিনায়ক তাতেন্ডা তাইবুকে (প্রধান নির্বাচক) সঙ্গে নিয়ে অল্পদিনের মধ্যে জিম্বাবুইয়ের ক্রিকেটে দারুণ এক সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছিলেন স্ট্রিক। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল তার দল। বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় এখন কেবল বরখাস্তই হননি, স্ট্রিকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে বর্ণবাদের অভিযোগ এনেছেন জেডসি চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা! যারপরনাই বিস্মিত সাবেক অধিনায়ক এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, কখনোই এমনটা করেননি তিনি। জানিয়েছেন জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেটের ভালটাই চেয়েছিলেন সব সময়। ‘জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেটের চেয়ারম্যান আমাকে বর্ণবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করলেন, আমার কাছে এটা অস্বাভাবিক এবং হাস্যকর মনে হয়েছে। বাছাইপর্বে আমি কৃষ্ণাঙ্গদের বাদ দিয়ে শ্বেতাঙ্গদের নিয়েছি, এ অভিযোগ হাস্যকর। এ কথা শোনার পর আমি যারপরনাই হতাশ ও বিস্মিত।’ বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচিং স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৪৪ বছর বয়সী স্ট্রিক আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সময় যখন আমি কাইল জার্ভিসকে বাদ দিয়ে তেন্ডাই চিসুরুকে নিলাম, তখন সবাই চুপ। কিন্তু যখন সেফাস ঝুয়োকে বাদ দিয়ে পিটার মুরকে নিলাম, তখন বলা হলো আমি বর্ণবাদী! আমি আসলে জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেটের ভালর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যাদের ভাল মনে হয়েছে, তাদের নিয়ে দল সাজিয়েছি।’ ২০১৯ বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে না পারায় বোর্ড (জেডসি) এতটাই খেপে ওঠে যে গণহারে কোচিং স্টাফদের বরখাস্ত করে তারা। চাকরি যায় হেড কোচ হিথ স্ট্রিক, ব্যাটিং পরামর্শক ল্যান্স ক্লুজনারসহ প্রায় সবারই। তবে শুধু চাকরি থেকে বরখাস্ত করেই বসে থাকেনি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। স্ট্রিকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ পর্যন্ত এনেছেন জেডসির চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুহলানি। এর আগে মুকুহলানি স্ট্রিককে বর্ণবাদী মন্তব্য করে অভিযোগ করেছিলেন, ‘স্ট্রিক ছিলেন দলের কোচ এবং নির্বাচক। তিনি তার পছন্দ মতো দল সাজাতে পারতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যেভাবে তিনি দল সাজিয়ে ছিলেন, সেটা কি সঠিক ছিল? পিটার মুরের মতো সাদা চামড়ার খেলোয়াড় দলে আসল, অথচ কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের কেউ সেটা জানতেই না। চেফাস ঝুয়োকে অনুশীলনের সময় জানাল হলো সে খেলছে না। স্ট্রিক কেন সেটা পুরো দলকে জানালেন না?’ জিম্বাবুইয়ের সাবেক অধিনায়ক ও এক সময়ের তুখোড় পেসার স্ট্রিক ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলিং কোচ ছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ছেড়ে ফিরে যান নিজদেশে। যোগ দেন জিম্বাবুইয়ে কোচ হিসেবে। কিন্তু ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এসে ধাক্কা খান। বাছাই পর্বের সুপার ‘সিক্সে ডু অর ডাই’ ওই ম্যাচটাতে বৃষ্টি আইনে আমিরাতের কাছে মাত্র ৩ রানে হেরে ৩৯ বছর পর বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুইয়ে।
×