ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১১ এপ্রিল ২০১৮

আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাজ্য

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাজ্য। তবে এই নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয় তেমনটিই প্রত্যাশা করে দেশটি। এছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ রাখতে যুক্তরাজ্য কাজ করে যাবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এ্যালিসন ব্লেক এসব কথা বলেন। কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’য়ে প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যালিসন ব্লেক। এ সময় তিনি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা সঙ্কট, ঢাকা-লন্ডন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিশু। ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এ্যালিসন ব্লেক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে হবে। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করবে নির্বাচনের সময়। তবে এই নির্বাচনে যুক্তরাজ্য কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক আলোচনায় বিদেশী মধ্যস্থতাকারীর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ বাংলাদেশীরা নিজেরাই এজন্য যোগ্য। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথ সুগমে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করে যাবে। এ্যালিসন ব্লেক বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী বরিস জনসন ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। সেই বৈঠকে বরিস জনসন মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছিলেন। একই সঙ্গে বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকা-ের জন্য সুযোগ দেয়ার কথাও বলেছিলেন। তাই আমরা প্রত্যাশা করছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে। বাংলাদেশে বিরোধী দল কী গণতান্ত্রিক অধিকারের যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে বলার অবস্থানে নেই। তবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা সবার অধিকার বলে মনে করি। রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানে ও স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সব ধরনের সমর্থন দেয়া হবে। এটি পরিষ্কার যে, রোহিঙ্গাদের ওপর চরম নির্যাতন হয়েছে বলে তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে। আমি কয়েকবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়েছি। অনেক নারীই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
×