ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সবুজবাগে স্যুটকেস ভর্তি লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৯:০০, ১০ এপ্রিল ২০১৮

সবুজবাগে স্যুটকেস ভর্তি লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সবুজবাগে স্যুটকেস ভর্তি অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলায় রশি পেঁচানো লাশ উদ্ধার হয়েছে। পৃথকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর সবুজবাগে স্যুটকেসের ভেতর থেকে এক ব্যক্তির গলায় রশি পেঁচানো লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, এক তরুণী সিএনজিতে স্যুটকেস ভর্তি লাশটি রেখে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, দুস্কৃতকারীরা অন্যত্র তাকে হত্যা করে স্যুটকেসে ভরে পালিয়ে যায়। সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ২১/১, পূর্ব মাদারটেক প্রজেক্ট এর সামনে তিন রাস্তার মোড়ে আলমগীরের চায়ের দোকানের সামনে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে একটি কালো রঙের সুটকেস পাওয়া যায়। সুটকেসটির ওপরে ওড়না পেঁচানো ছিল ও স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনি জানান, মৃতদেহটির গলায় রশি দিয়ে গিঁট দেয়া ছিল। তার হাঁটুতে সামান্য রক্ত জমাট ছিল। মুখে ছিল পাকা দাড়ি। স্যুটকেসের ভেতরে একটি কালো বোরখা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুস্কৃতকারীরা অজ্ঞাত স্থানে তাকে হত্যা করে। পরে স্যুটকেসে করে তার মরদেহ ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ব মাদারটেক প্রজেক্টেও ২১/১ নম্বর ভবনের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে আলমগীরের চায়ের দোকানের সামনে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে একটি কালো রঙের স্যুটকেস পাওয়া যায়। স্যুটকেসটির ওপরে ওড়না পেঁচানো ছিল ও স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনি জানান, পরে স্যুটকেস খুলে অজ্ঞাত (৫৭) এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। মৃতদেহটির গলায় রশি দিয়ে গিঁট দেয়া ছিল। তার হাঁটুতে সামান্য রক্ত জমাট ছিল। মুখে ছিল পাকা দাড়ি। স্যুটকেসের ভেতরে একটি কালো বোরখা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুস্কৃতকারীরা অজ্ঞাতস্থানে তাকে হত্যা করে। পরে স্যুটকেসে করে তার মরদেহ ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সিএনজি চালকের বরাত দিয়ে এসআই কামরুজ্জামান জানান, শনিবার রাতে ২০/২১ বছরের এক তরুণী বনশ্রী এলাকা হতে একটি সিএনজি যোগে মাদারটেক প্রজেক্টের সামনে যায়। সেখানে তার সিএনজিটি থামিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার নয়াপুর যাওয়ার কথা বলে পাঁচশত টাকায় আরেকটি সিএনজি ভাড়া করে। তরুণীটির সঙ্গে ছিল একটি স্যুটকেস। পরে ভাড়া করা সিএনজি চালককে তরুণীটি জানায়, স্যুটকেসের ভেতরে কাঁচের জিনিসপত্র আছে। সাবধানে ওঠাতে হবে। তার কথামতো আরও দুই সিএনজি চালকের সহায়তায় ভারি স্যুটকেসটি আগের সিএনজি থেকে পরেরটিতে ওঠানো হয়। এরপর সিএনজিটি নয়াপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। এসআই কামরুজ্জামান জানান, রাত ৯টার দিকে সিএনজিটি নন্দিপাড়া ব্রিজমুখী সিসিলি গার্মেন্টস এর সামনে আসে। এ সময় রাস্তায় যানজটও ছিল। সে সময় সিএনজি যাত্রী ওই তরুণী সিএনজি চালক মজিবরকে জানান, আমার পানির পিপাসা পেয়েছে। পানি কিনব। তখন সিএনজি চালক সিএনজিটি এক পাশ করে রাখেন। এ সময় ওই তরুণী পানি আনতে সিএনজি থেকে নেমে যায়। এরপর ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করেও ওই নারী ফিরে না আসায় চালক নেমে আশপাশে খবর নেন। এ সময় একজন পথচারী জানান, এক মেয়েকে দেখেছি দৌঁড়ে চলে যেতে। পরে চালকের মনে সন্দেহ জাগে। চালক আবার সিএনজি ঘুরিয়ে মাদারটেক প্রজেক্টের সামনে চলে আসেন। স্যুটকেসটিতে কী আছে তা জানতে প্রথমে নাড়াচাড়া করেন। তার দাবি, স্যুটকেসের চেইনের কিছু অংশ খুলে ফাঁক দিয়ে ভেতরে মানুষের মাথা দেখতে পান। এরপর থানায় খবর দেয়া হয়। এদিকে সোমবার বিকেলে ঢামেক মর্গে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস। পরে মরদেহ মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে। সবুজবাগ থানা পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির পরিচয়ে কেউ আসেনি। লাশ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু ॥ রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে ডেমরা ডগাইর বাজার এলাকা নিজ বাসার সামনে শিশু ইব্রাহিম (৭) খেলছিল। এ সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা তাকে ধাক্কা দেয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাবা ওমর ফারুক জানান, তারা ডগাইর বাজার এলাকা সপরিবারে থাকেন। দুপুরে বাসার সামনে ছেলে ইব্রাহিম খেলার সময় বেপোরোয়া গতি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছেলে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে কাঁতড়াতে থাকে। পরে হাসপাতালে ছেলের মৃত্যু হয়। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই। এদিকে একই সময় পুরানো ঢাকার চকবাজার সোয়োরীঘাটের দেবীদাস ঘাট এলাকার বাসার সামনের খেলার সময় একটি পিকআপ ভ্যান ধাক্কায় রূপা নামে আরেক শিশুর মমার্ন্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত রূপার মামা হান্নান মিয়া জানান, চকবাজার সোয়োরীঘাটের কাটারিঘাট এলাকায় রূপা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত। তিনি জানান, দুপুরে বাসার সামনে খেলা করার সময় একটি পিকআপভ্যান রূপাকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুই শিশুর মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছে।
×