ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কাল থেকে সুরের ধারার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১০ এপ্রিল ২০১৮

কাল থেকে সুরের ধারার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরজুড়ে ছড়িয়েছে বৈশাখের আগমনী বার্তা। নববর্ষ বরণে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে বর্ণিল হবে রাজধানী। সেই প্রেক্ষাপটে বর্ষবরণ উপলক্ষে এবার চার দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুরের ধারা। আর এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্্যাপিত হবে প্রতিষ্ঠানটির ২৫ বছর পূর্তি। বর্ষবরণের এ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করবে শ্রুতি গীতবিতান। কাল বুধবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ওই ভেন্যুতে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলক সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, নৃত্যনাট্য, সেমিনার, আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। থাকবে শুভেচ্ছা বক্তব্য। ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় উদ্যাপিত হবে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব ‘বর্ষবিদায়’। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে প্রভাতের প্রথম প্রহরে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত হাজার শিল্পীর কণ্ঠে পরিবেশিত হবে নতুন বছরকে আবাহনে বর্ষবরণের গান। সুরের ধারার সঙ্গে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে চ্যানেল আই। সোমবার দুপুরে তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সুরের ধারার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শফি আহমেদ ও কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে দেশের উত্তর পঞ্চগড় থেকে যেমন শিল্পী আসছেন, তেমনি দক্ষিণ এলাকা সুন্দরবন থেকেও শিল্পী আসছেন। তেমনি পূর্বের এলাকা বান্দরবান থেকেও শিল্পী আসছেন। সারা বাংলাদেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা এই উৎসবে যোগ দিচ্ছেন। তারা তুলে ধরবেন নিজ নিজ শেকড়ের সংস্কৃতি। দেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের পাশাপাশি দেশের কলকাতার শিল্পীরাও অংশ নেবেন এ অনুষ্ঠানে। উপস্থাপিত হবে বৈচিত্র্যময় গান, নাটক, কবিতা। সবচেয়ে বেশি যেটা হবে সেটা হলো শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হবে। এ ছাড়া সারা বছর যেসব শিল্পীরা নীরবে কাজ করেন তারা নাগরিক জীবনের সঙ্গে নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন। তাদের মতামত জানাতে পারবেন। শাইখ সিরাজ বলেন, গত ছয় বছর সুরের ধারা ও চ্যানেল আই একসঙ্গে কাজ করে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আমরা পরস্পরকে একই পরিবারের মানুষ বলে গণ্য করি। অন্যান্য বছরের মতো এবারের আয়োজনটিও হবে উপভোগ্য । রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের জন্মদিনের আনন্দানুষ্ঠান ॥ শিশু-কিশোরদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক মানুষ ছিলেন রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। তার হাত ধরেই ভিন্নমাত্রা পায় এ দেশের শিশুসাহিত্য। সহজ-সরল লেখনীতে জয় করেছিলেন খুদে পাঠকদের মন। হাট্টিমাটিম টিম তারা মাঠে পাড়ে ডিম, হাসতে নাকি জানে না কেউ, খোকন খোকন ডাক পাড়িসহ অসংখ্য ছড়া লিখে সমৃদ্ধ করেছেন শিশুসাহিত্যের ভুবন। লেখকের পাশাপাশি সংগঠক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা। সোমবার ছিল তার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে এ দিন সন্ধ্যায় আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করে কচি-কাঁচার মেলা। দাদাভাইয়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, নাচ, গান, আবৃত্তি, পুরস্কার প্রদান ও কথামালায় সাজান ছিল মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক দাদাভাইয়ের জন্মজয়ন্তীর আয়োজন। সেগুন বাগিচার মেলা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। শিশু সভাপতি হাসানাত জোহা উদ্দিন সৌহার্দের সভাপতিত্বে দাদাভাইয়ের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন মেলার পরিচালক খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, সহ-সভাপতি ড. রওশন আর ফিরোজ ও স্থপতি আব্দুস সালাম। শিশু বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজ্য শ্রী সাহা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্মেলক কণ্ঠে মেলার শিল্পীরা পরিবেশন করে ‘আজ আমাদের খুশির দিন, দাদা ভাইয়ের জন্মদিন’। এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কামাল লোহানীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মেলার খুদে বন্ধু তিথী। স্মারকগ্রন্থ তুলে দেন ¯িœগ্ধা। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে মেলার শিশু উপস্থাপক নাওমি ও প্রথম। আলোচনা শেষে দাদা ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে গত ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ছড়া, কবিতা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। এই প্রতিযোগিতার ‘ক’ বিভাগে প্রথমস্থান অর্জন করেছে নুসাইবাহ তাহসিন, দ্বিতীয়স্থান অর্জন করেছে রাজ্যশ্রী সাহা ও তৃতীয়স্থান অর্জন করেছে ফারমিতা আহমেদ শ্রেষ্ঠ। ‘খ’ বিভাগে প্রথমস্থান অর্জন করেন আদিব কিবরিয়া, ২য় স্থান অর্জন করেন তাসনুভা তারান্নুম অরিত্রী ও ৩য় স্থান অর্জন করেন তাহমিদ আদীব। ‘গ’ বিভাগে প্রথমস্থান অর্জন করেছেন মিমহা বিনতে মুনীর, দ্বিতীয়স্থান পরিসি সাহা ও তৃতীয়স্থান অর্জন করে সামিয়া হক। সবশেষে দাদা ভাই রচিত ছড়া, ছড়াগান আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন মেলার সদস্যরা।
×