ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্ষমতায় গেলে কোটা সংস্কার করা হবে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১০ এপ্রিল ২০১৮

ক্ষমতায় গেলে কোটা সংস্কার করা হবে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষমতায় গেলে মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে কোটা সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, নারী এবং প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে অন্য সব কোটা বাতিলের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির এই কোটা সংস্কারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিএনপির ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরিতে প্রবেশে যে কোটা নির্ধারিত রয়েছে তার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ ছাত্রছাত্রী। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে রবিবার থেকে আন্দোলনে নামে তারা। রাতেই ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার শেল ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। ছাত্রদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিএনপির পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রদের কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের ওপর পুলিশী হামলার নিন্দা জানান। একই সঙ্গে ক্ষমতায় গেলে তারা মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করে কোটার সংস্কারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, জানি দেশকে সত্যিকার অর্থে গড়ে তুলতে হলে মেধার কোন বিকল্প নাই। এই লক্ষ্যে স্থির থেকেও আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যৌক্তিক বিবেচনায় এনে ভিশন ২০৩০-এ বলেছি যে, মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী, ও প্রান্তিক জাতি-গোষ্ঠীর কোটা রেখে বাকি কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে উল্লেখ করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রবিবার চাকরিপ্রার্থী ও ছাত্রছাত্রীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলনে বিনা উস্কানিতে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা গুরুতর আহত হয়েছে, তাদের সুস্থতা কামনা করছি এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি উল্লেখ করেন। বলেন, আন্দোলনের যে কোটার বিষয়টি মূল প্রতিপাদ্য সে সম্বন্ধে দেশের চার কোটি শিক্ষিত যুব সমাজের জীবন-জীবিকার প্রশ্নটি জড়িত। এই সম্বন্ধে বিএনপির নীতি-নির্ধারণী কমিটি সম্পূর্ণ অবহিত এবং বিষয়টি নিয়ে তারা উৎকণ্ঠিত। সরকার দেশের মেধাবীদের দাবি না মেনে আওয়ামী চেতনার মানুষদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থে কাজ করে গেছে। গণতন্ত্রের নিয়মপদ্ধতির প্রতি এই সরকারের কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই।
×