ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মে মাসেই এলএনজি আমদানি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১০ এপ্রিল ২০১৮

মে মাসেই এলএনজি আমদানি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবশেষে দেশের শিল্পায়নে গ্যাসের সঙ্কট দূর করতে আগামী মাসের প্রথম ভাগ থেকে শুরু হচ্ছে এলএনজি আমদানি। এজন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ দিকে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগে সিস্টেম লস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমদানি করা এই দামি জ্বালানির ব্যবস্থাপনা; নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে। ভাসমান টার্মিনালের পরিবর্তে গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া স্থলভাগে করা হলে খরচ কম হতো বলেও মত আছে বিশেষজ্ঞ মহলে। জ্বালানি সঙ্কটে দেশের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগে স্থবিরতা দূর করতে ২০১০ সালে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ধীরগতিসহ নানা জটিলতা পেরিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সরকারের ফার্স্ট ট্র্যাক এই প্রকল্পটি। তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করতে কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূল থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাস প্রক্রিয়াকরণের ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় গ্রিডে এই গ্যাস পৌঁছে দিতে এরই মধ্যে সমুদ্রের নিচ দিয়ে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন বসেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আগামী মাসের শুরুতেই এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে মিলবে জানিয়ে বলছেন, গ্যাস ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন না হলে মূল্যবান এই জ্বালানি বহুমুখী সঙ্কট তৈরি করবে। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা আশা করছি মে-এর প্রথম সপ্তাহে প্রথম চালান চলে আসবে। তবে এর সুবিধা বেশি। অসুবিধা হলো আমাদের একটু রক্ষণশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে চোরাই লাইন বন্ধ করতে হবে। শিল্পখাতে স্থবিরতা দূর করতে এই গ্যাস ব্যবহারে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকেও নিশ্চয়তা জরুরী বলে জানান নসরুল হামিদ। এদিকে স্থলভাগের পরিবর্তে ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে গ্যাসের দাম বাড়বে বলে মত জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের।
×