ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মূল : নোয়াম কোহেন;###;রূপান্তর : এনামুল হক

প্রাইভেসি লঙ্ঘনই ফেসবুকের একমাত্র অপরাধ নয়

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১০ এপ্রিল ২০১৮

প্রাইভেসি লঙ্ঘনই ফেসবুকের একমাত্র অপরাধ নয়

ফেসবুক তার গ্রাহকদের বিশ্বাস ভঙ্গের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে পুরো পৃষ্ঠাতে বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছে এবং প্রাইভেসি রক্ষায় আরও ভাল কিছু করার জন্য প্রথাগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বটে। তথাপি এই সামাজিক মাধ্যমটি ও তার মিত্ররা দারুণভাবে কাঁপিয়ে দেয়া একটি তথ্য ফাঁস হওয়ার গুরুত্বকে খাটো করে দেখার প্রয়াস পেয়েছে। কাঁপন ধরানো সেই তথ্যটি হয় এই যে ২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের পক্ষে কাজ করা রাজনৈতিক কনসালটিং ফার্ম কেম্ব্র্রিজ এনালাইটিকা প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হাতিয়ে নিয়েছিল। কিছু কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, কয়েক বছর আগ অবধি যে কৌশলের দ্বারা একজন গবেষক ২ লাখ ৭০ হাজার এ্যাপ ডাউনলোডের সাহায্যে ৫ কোটি প্রোফাইল হস্তগত করেছিলেন সেটা ঠিক গোপন কিছু ছিল না। তাছাড়া ফেসবুক গ্রাহকরা বাস্তবে নয়, নামতঃ এসব প্রোফাইল শেয়ার করতে রাজি হয়েছিলেন যাতে করে এ্যাপগুলো ভালভাবে কাজ করে। কোম্পানির প্রধান নিরাপত্তা অফিসার আলেক্স স্টামাস টুইটারে অভিযোগ করেছেন যে, ‘ফেসবুক ও অন্যান্য প্লাটফর্মকে প্রোফাইলগুলোর ব্যাপারে দুই ধরনের নীতি অনুসরণ করার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। দায়ী করার কারণ, প্রোফাইলগুলো আটকে ফেলে দেয়ার জন্য মনোপলিস্ট হিসেবে সমালোচিত হয়েছে।’ অন্যরা আবার এমন ধারণাকে নিরুৎসাহিত করেছে যে কেম্ব্রিজ এনালাইটিকা মানুষের অভিপ্রায়ের সাঙ্কেতিক ভাষার মর্মোদ্ধার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিষয়ে গবেষণার উপকরণ হিসেবে এই প্রোফাইলগুলোকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছিল ভেনচার ক্যাপিটেলিস্ট এবং ফেসবুকের বোর্ড সদস্য মার্ক এন্ড্রিসিন এখন আর টুইট করেন না তবে সপ্তাহে শত শত টুইট দেখতে ‘পছন্দ’ করেন। এসব টুইটের মধ্যে সম্প্রতি একটি মন্তব্য ছিল সেখানে মিডিয়ার নতুন রূপগুলোকে ‘সার্বিক মন নিয়ন্ত্রণের অস্ত্রে’ পরিণত করা যায়Ñ জনসাধারণের এমন আশঙ্কাকে উপহাস করা হয়েছে। সম্ভবত এগুলো হচ্ছে সামাজিক মিডিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হওয়ার অযৌক্তিক কারণ। তবে তার অর্থ এই নয় যে আমাদের ক্ষুব্ধ হওয়া উচিত নয়। ফেসবুক রাজনৈতিক প্রচার কাজে নিয়োজিতদের কাছে যা বিক্রি করবে আর উবার তার ড্রাইভার ও গ্রাহকদের কাছে যা বিক্রি করছে এবং ইউটিউব বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে যা বিক্রি করছে সব একই জিনিস। এই দৃষ্টিকোণ থেকে যখন ফেসবুকের তথ্য উপাত্ত ফাঁস কেলেঙ্কারিকে দেখবেন তখন উপলব্ধি করবেন যে ফেসবুকের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা ব্যক্তিগত সম্পর্কের অপব্যবহার মাত্রই নয় তার চেয়ে বেশি কিছু। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের ভাষায় এটা হলো ‘ফেসবুক এবং আমাদের সঙ্গে নিজেদের তথ্য উপাত্ত শেয়ার করা জনগণের মধ্যে বিশ্বাসভঙ্গের ব্যাপার।’ উপরন্তু এটা নাগরিক সম্পর্কেরও একটা অপপ্রয়োগ। বাণিজ্যের বিষয়ে সরকারের অনুপুঙ্খ তদন্ত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি বিক্রি করার তুলনায় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের অনুপুঙ্খ তদন্ত থেকে অব্যাহতি লাভের বিষয়টি বিক্রি করা সামাজিক কাঠামোর প্রতি এক ভিন্ন ধরনের হুমকি। বিশেষ করে আফ্রো-আমেরিকানদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করার যে রেকর্ড আমাদের দেশের আছে সেদিক থেকে দেখলে তো বটেই। ফেসবুককে গণতন্ত্রের শত্রুদের হাতিয়ার হতে দেয়া যায় না কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি আশঙ্কা করে যে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা তার ভিত্তিমূলে আঘাত হানতে পারে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানকে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা ফাঁকি দেয়ার ক্ষেত্রে মূল্যবান বিষয়টি কি ছিল? বেশ, শুরুতেই বলা যাক যে ছোট বাজারের টিভি স্টেশনের মতো না হলেও ফেসবুক রাশিয়ানদের রাজনৈতিক এ্যাড কিনে নিতে আপত্তি করেনি। এমনকি যখন এই এ্যাডের অর্থ তারা রুবলে পরিশোধ করেছিল তখনও না। এটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি একটি আঘাত যে রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাজ হচ্ছে বৈদেশিক হস্তক্ষেপের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করা। কিন্তু তার চেয়েও বিপজ্জনক ব্যাপার হলো এই সম্ভাবনা যে দেখার পর পরই মুছে যায় এমন ‘ডার্ক এ্যাড পোর্স্টন’-এর মাধ্যমে আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটারদের উপস্থিতি কমিয়ে দেয়ার জন্য ফেসবুক ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার টিমও তাদের মিত্রদের অবাধ লাইসেন্স দিয়ে থাকতে পারে। নির্বাচনের কিছু আগে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার টিমের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ব্লুমবাগের রিপোর্টার জসুয়া গ্রীন ও শাশা আইসেনবার্গের কাছে আস্ফালন করে বলেছিলেন যেÑ ‘আমাদের ভোটার আসতে না দেয়ার তিনটি বড় ধরনের অভিযান চলছে।’ ব্লুমবার্গের নিবন্ধে বলা হয় এই কার্যক্রমের টার্গেট ছিল ‘আদর্শবাদী শ্বেতাঙ্গ উদারপন্থী, তরুণী ও আফ্রিকান-আমেরিকানরা। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব পালনকারী ব্রাড পার্সকেলের উদ্ধৃতি দিয়ে একই নিবন্ধে বলা হয় যে ১৯৯৬ সালে কিছু আফ্রিকান-আমেরিকানকে ‘সুপার প্রিডেটর’ হিসেবে উল্লেখ করে হিলারী ক্লিনটনের একটি এনিমেশনের ডার্ক এড পোস্টকে ব্যবহার করতে তার পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছিলেন। রিপোর্টাররা যাদের ফ্লোরিডার অনিয়মিত কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। সেই শ্রেণীর লোকদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার জন্য এই ইমেজটি ব্যবহার করতে পার্সকেল নির্বাচনী প্রচারে নিয়োজিতদের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন ‘যে ধরনের লোকদের আমরা দেখতে চাই শুধু তাদেরই আমরা দেখব। এতে হিলারির এসব লোককে তার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য নিয়ে আসার ক্ষমতাকে নাটকীয়ভাবে ব্যাহত করবে।’ সন্দেহভাজন রুশ মুখপত্রগুলোর কিনে নেয়া ফেসবুকের ডার্ক এ্যাডগুলোর কয়েকটি ২০১৬-এর নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সম্পর্কে কংগ্রেসের পরিচালিত তদন্তের অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে এমন একটি এ্যাড ছিল যার উদ্দেশ্য ছিল হিলারি ক্লিনটনের স্বামীকে জড়িয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উল্লেখ করে হিলারির পক্ষে কৃষ্ণাঙ্গদের সমর্থন কমিয়ে দেয়া। কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের ভোট দিতে আসা নিরুৎসাহিত করতে ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে ফেসবুকের আর কি কি ডার্ক এ্যাড সম্ভবত ব্যবহার করা হয়েছিল? কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত করার এই ক্লাসিক দৃষ্টান্তগুলোÑ যেমন নির্বাচনের ভুল দিন-তারিখ ছাপানো কিংবা মিথ্যা হুঁশিয়ারি দেয়া যে আপনার ট্রাফিক টিকেটের দাম অনাদায়ী থাকলে ভোটকেন্দ্রে আপনাকে গ্রেফতার করা হতে পারে? আমরা জানি না। ডার্ক এ্যাডগুলো অদৃশ্য হয়ে গেছে এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রাইভেসির উল্লেখ করে ফেসবুক সেগুলো প্রকাশ করবে না। ফেসবুকের বিশাল ও সুপরিকল্পিত প্ল্যাটফর্ম ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার টিম ও তার সমর্থকদের আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটারদের কাছে পৌঁছার সস্তা ও সরাসরি সুযোগ এনে দিয়েছিল এবং সেই সঙ্গে তাদের বিভ্রান্ত করার ও ভয়ভীতি দেখানোর সুযোগও দিয়েছিল। অতীতে কৃষ্ণাঙ্গদের ভোট দাবিয়ে রাখার অভিপ্রায় নিয়ে আসা প্রার্থীদের প্রযুক্তিগত বাধার বিরুদ্ধে যেতে হয়েছিল। তাদের ফ্লাইয়ার বা প্রচারপত্র এবং অস্পষ্ট রেডিও এ্যাড নিয়ে কাজ করতে হয়েছিল কেননা ফেসবুক চরিত্রের নয় এমন নামকরা মিডিয়া আউটলেটগুলো বর্ণগত উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, অসত্য রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানত। ফ্লাইয়ার ও রেডিও এ্যাডও জনসাধারণের ওপর যৎসামান্য হলেও প্রভাব ফেলত। বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট আমল শেষ হওয়ার পর প্রথম অনুষ্ঠিত নির্বাচন-২০১৬ এর নির্বাচন লক্ষণীয় এই দিক দিয়ে যে এতে আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটারদের উপস্থিতি ৭ শতাংশ কমে গিয়েছিল। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী ২০১২ সালের ৬৬.৬ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে তা ৫৯.৬ শতাংশে নেমে এসেছিল। ২০ বছরের মধ্যে কোন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই প্রথম এমন ভোটারের সংখ্যা কমেছিল এবং সেটা ছিল রেকর্ডভুক্ত হ্রাসের দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ। ২০১৬ সালের ভোটার উপস্থিতি ২০০৪ সালের নির্বাচনের চেয়েও কম ছিল সে বছর জন কেরি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার নাক গলানো নিয়ে ফেসবুক, গুগল ও টুইটারের আইনজীবীদের সঙ্গে মিনেসোটার সিনেটর এমি ক্লোবুটার শুরুতেই এর মধ্যে জড়িত ঝুঁকিগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ‘আমি এই সহজ ধারণায় উপনীত হয়েছি যে নিজেদের দ্বারা শাসিত হওয়ার জন্যই আমাদের গণতন্ত্র গড়ে উঠেছিল।’ তিনি আরও বলেছিলেন যে, আমেরিকার নাগরিকদের ‘নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নেয়ার স্বাধীন অধিকার আছে এবং আমি মনে করি যে রাশানরা এবং অন্যরাও এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।’ তথ্য বেহাত হওয়ার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর নিজেদের দোষ স্বীকার করে মি. জাকারবার্গ অনেককে সে সব সাক্ষাতকার দিয়েছেন তাতে যুক্তরাষ্ট্র যে একটা স্বশাসিত সমাজ সেই সহজ ধারণাটা কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল না। তিনি ব্যক্তির ওপর মূল দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন। রিকোডের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন ‘আজ আমরা সবচেয়ে স্পর্শকাতর যেসব সমস্যার সম্মুখীন তার অনেকগুলোই আমাদের প্রকৃত মূল্যবোধগুলোর মধ্যকার সংঘাত তাই না? বাকস্বাধীনতা, ঘৃণা উদ্রেকর বক্তৃতা এবং আপত্তিকর বিষয়বস্তু। সঠিক পথটা কোথায়?’ ‘পলিসি অব দি এনএএসিপি লিপুল ডিফেন্স এ্যান্ড এডুকেশনাল ফান্ড’-এর ডিরেক্টর টডএ কক্স আমাদের ‘প্রকৃত মূল্যবোধের’ প্রশ্নটিকে একটু ভিন্নভাবে দেখেন। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘প্রথম সংশোধনীর স্থান নিয়ে প্রচুর মানসিক যন্ত্রণা ও লড়াই হয়েছে। চতুর্দশ সংশোধনী, ভোটাধিকার আইন, পঞ্চদশ সংশোধনী কোন্ ভূমিকা পালন করে সে প্রশ্নের দিকে আমি আলোচনাকে ঘুরিয়ে দিতে চাই।’ কারণ এগুলোই হলো আফ্রিকান-আমেরিকানদের আইনের অধীনে সমান সুরক্ষা লাভ ও ভোটাধিকারের গ্যারান্টি। অর্থাৎ ফেসবুকের উদারনীতিবাদ, সিলিকন ভ্যালির দৃষ্টিভঙ্গি যেখানেÑ আমি যা চাই আমার তা বলার অধিকার আমার প্রাইভেসিÑ এই ব্যক্তিগত বিষয়গুলোকেই কেবল দেখা হয় সেটা ছাড়াও আমাদের সম্মিলিতের প্রশ্নগুলোতে বিবেচনায় নিতে হবে : ইতিহাসগতভাবে যারা বৈষম্যের শিকার সেই জনগোষ্ঠীগুলোকে কিভাবে রক্ষা করতে হবে? লোকে কি কথা বলতে পারবে বা না পারবে তা নিয়ে যুক্তিতর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে প্রথমেই কিভাবে আমরা নিশ্চিত হয়ে যাই যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেকেই কথা বলতে সক্ষম? সম্প্রতি ফেসবুক তার হোম এ্যাসিস্টেন্ট ডিভাইসগুলো বাজারে ছাড়া পিছিয়ে দিয়েছে এবং প্রাইভেসি সেটিংগুলো পরিষ্কার ও ব্যবহার সহজতর করার আরও এক দফা উদ্যোগের কথা প্রকাশ করেছে। ফেসবুকের চিফ প্রাইভেসি অফিসার ইরিন ইগান এবং ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল এ্যাশলি ব্যারিংগার নতুন প্রাইভেসি ব্যবস্থা ঘোষণা করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকণ্ঠে ও সুস্পষ্টভাবে শুনেছি প্রাইভেসি সেটিংগুলো ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান খুঁজে বের করা খুবই কঠিন এবং জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই আরও অনেক কিছু করতে হবে।’ ফেসবুক তার ব্যর্থতাগুলোকে ব্যক্তির ক্ষতি হিসেবে দেখার জন্য গোঁ ধরে আছেÑ কখনই সামগ্রিক সমাজের ক্ষতি হিসেবে নয়। বিখ্যাত আইনবেত্তা আলেকজান্ডার বাইকেল একটা কথা বলতে পছন্দ করতেন : ‘ভুল প্রশ্ন থেকে যে উত্তর জন্ম নেয় সেটা কোন উত্তর নয়।’ ফেসবুক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি ভুল প্রশ্ন লাগাতরভাবে জিজ্ঞেস করে চলেছে। সে কারণেই এর প্রাইভেসি স্ক্যান্ডালগুলোকে সিলিকন ভ্যালির দীর্ঘতম চলমান প্রদর্শনী হিসেবে মনে হতে পারে। ফেসবুককে কিভাবে ঠিক পথে আনা যায় সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এই প্রশ্নটিকেই নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের একটা সুযোগ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে। এ এমন এক প্রশ্ন যার উত্তর দেয়ার বেলায় সব আমেরিকানেরই বক্তব্য থাকা উচিত। [লেখক : ‘দি নো ইট অলস : দি রাইজ অব সিলিকন ভ্যালি এজ এ পলিটিক্যাল পাওয়ার হাউস এ্যান্ড সোশ্যাল রেকিং বল’ গ্রন্থের রচয়িতা] সূত্র : দি নিউইয়র্ক টাইমস
×