ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত ॥ সিইসি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৯ এপ্রিল ২০১৮

আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত ॥ সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হওয়া উচিত। অতীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আগামীতে হতে পারে উল্লেখ করেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন এটা তার ব্যক্তিগত মত। তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। কমিশনের সবার সঙ্গে নিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে উল্লেখ করেন। রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন ‘সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা শেষে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন। তবে তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন আমরা একেবারেই চাই না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত বলে আমি একদম মনে করি না। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোন সম্ভাবনা নেই। প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান হবে। প্রচার চালাতে দূতাবাসগুলোকেও চিঠি দেয়া হবে। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশনের বিদ্যমান আইনে প্রক্সি ও পোস্টাল ভোট দেয়ার সুযোগ আছে। তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের ভেতর আবেদন করলে প্রবাসীরাও ভোট দিতে পারেন। তবে এটা অনেকেই জানে না। আগামী নির্বাচনে এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে ইসি। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে প্রোপাগা-া চালাচ্ছে কোন কোন রাজনৈতিক দল। তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কোন আপত্তি জানায়নি। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল। এ বিষয়ে কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী বিশ্বে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে, বিভিন্ন দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু দেশের নির্বাচনে সেনাবাহিনী কাজ করতে পারবে না! সেনাবাহিনী থাকলে একটি পক্ষের অসুবিধা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন তো তাদের পক্ষ নেয়া উচিত হবে না। তিনি বলেন আগে ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন, তারপর প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যাবে। অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী প্রবাসীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫ লাখ। এ হিসাবের বাইরেও যারা রয়েছেন। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে কীভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায় এর সুপারিশ উঠে আসে এ প্রতিবেদনে।
×