ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসাবান্ধব বাজেট চায় এমসিসিআই

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ৯ এপ্রিল ২০১৮

ব্যবসাবান্ধব বাজেট চায় এমসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রস্তাবের দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। রবিবার সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ দাবি জানান হয়। এমসিসিআই নেতারা বলেন, যেহেতু এটা নির্বাচনী বছর তাই সরকার নির্বাচনমুখী বাজেট প্রণয়ন করবে। তবে আমরা আশা করছি, সরকার সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নতির দিকে নজর রেখে বাজেট প্রণয়ন করবে। যে বাজেট জনকল্যাণ ও ব্যবসাবান্ধব হবে। ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এবারের বাজেট নির্বাচনী না হয়ে যেন জনকল্যাণমূলক হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বাজেট নির্বাচনী না হয়ে যেন জনকল্যাণমূলক হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে। সরকারের উন্নয়ন বাজেটে হয়তো নির্বাচনী প্রভাব থাকতে পারে। তবে আমরা যে ফিসকাল পলিসি করব, সেগুলো আগের বছরের বাজেটের ধারাবাহিকতায় করা হবে। এতে ইকোনমির গ্রোথ বাড়বে। নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশে বিনিয়োগ বাড়বে। বর্তমানে ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট চলছে উল্লেখ করে এমসিসিআই নেতারা বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থাপনার দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। বর্তমানে সব ব্যাংকই তারল্য সঙ্কটে ভুগছে। এ অবস্থা থেকে ব্যাংকগুলো উত্তরণ ঘটাতে না পারলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। তাই এবারের বাজেটে ব্যাংক খাতে বিশেষ নজর দিতে হবে। ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতার করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। সংগঠনটি বলেছে, গত তিন অর্থবছর ধরে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতার করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। এ কারণে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ান দরকার। এমসিসিআইয়ের লিখিত প্রস্তাবে সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা, নারী ও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও তাদের পিতা-মাতার জন্য ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৬ লাখ টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এমসিসিআই প্রাতিষ্ঠানিক বা কর্পোরেট কর হার কমানোর দাবিও করেছে। প্রস্তাবে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর হার ৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে এমসিসিআই। ষেখানে, সামাজিক দায়বদ্ধতায় (সিএসআর) ব্যয়কৃত অর্থ সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত রাখা, পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিলে সেক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা দেয়ার দাবি করা হয়। এনবিআরের চেয়ারম্যান যৌক্তিক প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে এমসিসিআইয়ের পক্ষে সভাপতির বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সহসভাপতি গোলাম মইনুদ্দিন। এ সময় এনবিআর ও এমসিসিআইয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
×