ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার এসএ টিভিতে ‘কারবালা কাহিনী’

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৯ এপ্রিল ২০১৮

এবার এসএ টিভিতে  ‘কারবালা কাহিনী’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ স্যাটেলাইট চ্যানেল এসএ টিভিতে শুরু হয়েছে ইরানী সিরিয়াল ‘কারবালা কাহিনী’। ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত বিয়োগান্তক ঘটনার ওপর নির্মিত হয়েছে এই সিরিয়াল। গোটা মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে সম্ভবত এ যাবতকালে ঘটে যাওয়া সবচাইতে মর্মান্তিক এবং হৃদয় বিদারক কাহিনী হচ্ছে কারবালার নির্মম হত্যাকান্ড। গত ১৯ মার্চ থেকে শুরু হয়ে উক্ত টিভির পর্দায় সপ্তাহে পাঁচ দিন করে চলছে এই সিরিয়ালটি। ইউসুফ-জুলেখা, আসহাবে কাহাফের পর বাংলাদেশের টিভি দর্শকদের জন্য ফারসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় আরও একটি চমৎকার ধারাবাহিক অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুমিত আল রশীদ। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান দিকপাল মীর মশাররফ হোসেন রচিত ঐতিহাসিক গ্রন্থ বহু পঠিত ‘বিষাদ সিন্ধু’র বদৌলতে বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা কারবালার করুণ কাহিনী জানতে পেরেছিল। কিন্তু কারবালার মর্মান্তিক যুদ্ধ-পরবর্তী ঘটনাবলী, এর পরম্পরা এবং নেপথ্য কাহিনী আজও বাংলার মুসলমানদের কাছে প্রায় অজানা রয়ে গেছে। এই ধারাবাহিকের অনুবাদক মুমিত আল রশীদ বলেন,আমি জোর গলায় বলতে পারি যে কারবালার মর্মন্তুদ কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিরিয়ালটি। আলোচ্য সিরিয়ালটির শুরুতে রয়েছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পূর্বে হযরত আলীর (রা.) বড় পুত্র ইমাম হাসান (রা.) এর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর বেশ কিছু চমৎকার অংশ। ধারাবাহিকের কাহিনী-বিন্যাসে রয়েছে, তৎকালীন ইয়াজিদ বাহিনীর সেনাপতি ওমর সাদ, পাষ- সিমার, কুফার জালিম গবর্নর ইবনে জিয়াদ, শিশু আসগরের বুকে তীর নিক্ষেপকারী ধূর্ত হারমেল বা ছানান বিন আনাস ও হুরাদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ গ্রহণের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। আর এভাবেই শেষ করা হয়েছে পুরো নাটকটি। এসব ঘটনার প্রতিটি পর্বে রয়েছে আকর্ষণীয় সংলাপ আর বিবরণমূলক চিত্রায়ণ। এছাড়া, এই সিরিয়ালে আরও দেখা যাবে ঐতিহাসিক কুফাবাসীর হযরত ইমাম হোসেনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র প্রেরণ, মদিনা থেকে দূত হিসেবে ইমাম হোসেনের চাচাতো ভাই মোসলেমের আগমন, বসরার জালিম গবর্ণর ইবনে জিয়াদকে কুফায় প্রেরণ, তাৎক্ষণিক কুফাবাসীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে বিচিত্র রং ধারণ, ইমাম হোসেনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কুফাবাসীর বিশ্বাসঘাতকতা, অর্থের বিনিময়ে কুফাবাসীর ইমান বিক্রি করে দেয়া, কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা, পাষন্ড সীমারের হাতে হযরত ইমাম হোসেনের (রা) ছিন্ন মস্তক কুফার জালিম গবর্নরের কাছে নিয়ে আসা এবং পবিত্র কাবা শরীফে ইয়াজিদ বাহিনীর আগুন ধরিয়ে দেয়া। শুধু তাই নয়,পরবর্তীতে ছবিটির মূল নায়ক ইরান বিজয়ী প্রখ্যাত আরব বীর আবু উবাইদ সাকাফির পুত্র আবু ইসহাক ওরফে মুখতার সাকাফির উত্থান, মক্কার গবর্নর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইয়েরের সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে মুখতারের দায়িত্ব পালন ছাড়াও গোটা মুসলিম বিশ্বের কাছে খলনায়ক হিসেবে পরিচিত পাষন্ড সীমারসহ যারা হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে একের পর এক হত্যা করে প্রতিশোধ গ্রহণের সচিত্র কাহিনী।
×