ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনন্য সাংস্কৃতিক প্রতিভা নানজীবা খান

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৮ এপ্রিল ২০১৮

অনন্য সাংস্কৃতিক প্রতিভা নানজীবা খান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন অষ্টাদশী নানজীবা। তিনি একাধিকবার ট্রেইনি পাইলট, সাংবাদিক, নির্মাতা, উপস্থাপিকা, লেখক, ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর, বিএনসিসি ক্যাডেট এ্যাম্বাসেডর এবং বিতার্কিক। এ্যারিরাং ফ্লাইং স্কুলে ‘ট্রেইনি পাইলট’ হিসেবে এখন অধ্যয়নের পাশাপাশি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম (হ্যালো), বিটিভিতে নিয়মিত উপস্থাপনা, ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টারের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবেও কাজ করছেন। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে পেয়েছেন ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড। লেখক হিসেবে গেল বই মেলায় প্রকাশ হয়েছে তার গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘অটিস্টিক শিশুরা কেমন হয়’। তথ্যসমৃদ্ধ বইটি ইতোমধ্যে পাঠক সমাদৃত হয়েছে। নানজীবার শুরু হয়েছিল পাঁচ বছর বয়সে রঙ তুলি দিয়ে। মায়ের হাত ধরে গিয়েছিল কিশলয় কচিকাঁচার মেলায় ছবি আঁকা ও আবৃত্তি শিখতে। ২০০৭ সালে জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতা জয়নুল কামরুল ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন পেন্টিং কম্পিটিশনে অংশ নিয়ে পুরস্কার অর্জন করেন। জীবনের প্রথম অর্জনই ছিল আন্তর্জাতিক। সেই থেকে পথ চলা শুরু। ছবি আঁকার জন্য বেশ কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার তার ঝুলিতে জমা হয়। ছবি আঁকার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তিতেও প্রশিক্ষণ নেন। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন বিটিভির ‘কাগজ কেটে ছবি আঁকি’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় তার পথ চলা শুরু। বর্তমানে বিটিভিতে ‘আমরা রঙ্গিন প্রজাপতি’, ‘আমাদের কথা’, ‘আনন্দ ভুবন’, ও ‘শুভ সকাল’ অনুষ্ঠান উপস্থপনা করছেন। ১৩ বছর বয়সে জীবনের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কেয়ারলেস’ পরিচালনা করেন। তার পরিচালিত প্রথম প্রামাণ্যচিত্র ‘সাদা কালো’র জন্য ‘ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। ৮ম শ্রেণীতে পড়াকালীন শিশু সাংবাদিক হিসেবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জীবনের প্রথম সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মন্ত্রী, স্পিকার, মেয়রসহ বিভিন্ন পেশার ৭৫ জন বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন ক্যামব্রিয়ান ডিবেটিং সোসাইটির ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে। স্কুল ও কলেজ জীবনে বিতার্কিক হিসেবে অর্জন করেছেন বেশ কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার। পেয়েছেন উপস্থিত ইংরেজি বক্তৃতায় বিএনসিসি ও ভারত্বেশ্বরী হোমসের প্রথম পুরস্কার। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াকালীন ‘বিএনসিসি ক্যাডেট এ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর থেকে ৩ ধাপে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার পরে সারা দেশের হাজার হাজার ক্যাডেটদের মধ্য থেকে বিএনসিসি-র সবচেয়ে দীর্ঘ এবং ব্যয়হুল সফর ভারতে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাস্ট্রপতি প্রনব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং রক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেয়ার সুযোগ হয়। বিশ্বের ১১ টি দেশের সামনে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘রাইফেলে ফায়ারিং’, ‘এ্যাসোল্ট কোর্স’, ‘বেয়নোট ফাইটিং’ ও ‘সশস্ত্র সালাম’। এত গুণে গুণান্বিতা নানজীবা বলেন, কাজ শেখার চেষ্টা করছি। আর সবার দোয়ায় আশা করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। আমি কখনই শুধু দেশ নিয়ে ভাবিনা। আমার লক্ষ্য সবসময় আন্তর্জাতিক। আমি চাই মানুষ নানজীবাকে দিয়ে গোটা বাংলাদেশ চিনুক।
×