ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হজ ফ্লাইট বাতিল করলে এবার জরিমানা

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৮ এপ্রিল ২০১৮

হজ ফ্লাইট বাতিল করলে এবার জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতি বছরই হজ ফ্লাইটের কনফার্ম করা সিট বাতিল করে হজ এজেন্সি। এতে শেষ মুহূর্তে হজ ফ্লাইটের সিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি অনেক বিশ্ঙ্খৃলা দেখা দেয়। আর্থিক ক্ষতিতে পড়ে এয়ারলাইনসগুলো। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে এবার হজ ফ্লাইট বাতিলের ওপর জরিমানা ধার্য করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হজ ফ্লাইট নিশ্চিত করতে যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া অগ্রিম টিকিটের টাকা থেকে আদায় করা হবে। পাশাপাশি কেউ ফ্লাইট বাদ দিলে তাকেও জরিমানা গুনতে হবে। বিমান ও সৌদিয়া এয়ারওয়েজের একাধিক সূত্র জানিয়েছে এসব তথ্য। যদিও সৌদিয়া আগেই এ ধরনের জরিমানার রীতি বহাল রেখেছিল। এবার বিমানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিমানের পরিচালক আলী আহসান বাবু জানিয়েছেন, হজ ফ্লাইট বাতিল করা যেন এজেন্সিগুলোর নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এতে যে শুধু বিমানের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দেয়। কারণ হজ অনেক এজেন্সির সমষ্টিগত একটা এসাইনমেন্ট যা অনেকটা চেইন অব কমান্ডের মতো। এর যে কোন একটা বিঘœ হলে গোটা সিস্টেমের ওপর প্রভাব পড়ে। এটা তো সবাই জানে, অনেক সময় ফ্লাইট গেলেও আসন সংখ্যা ফাঁকা থেকে যায়। এমনকি বিগত বছর হজের ২৪টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। এ কারণে ফ্লাইট নিশ্চিত করতে টিকিটের জন্য অগ্রিম টাকা নেবে বিমান, পাশাপাশি কেউ ফ্লাইট বাদ দিলে জরিমানা প্রদান করতে হবে। এ বছর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রী বহন করা হবে। এই উড়োজাহাজের আসন সংখ্যা ৪১৯টি করে। এছাড়া চারটি স্বল্পমেয়াদী বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর লিজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। বিমানের নিজ মদিনাতে সরাসরি আটটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজে যাবে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এই যাত্রী অর্ধেক করে বহন করবে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স। সে অনুপাতে বিমান বাংলাদেশ বহন করবে প্রায় ৬৪ হাজার ৫০০ যাত্রী। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে আমরা ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করব এবং আগামী ১৪ জুলাই থেকে প্রথম ধাপে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ইতোমধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ল্যান্ডিং পারমিশন পেয়েছে বিমান। শ্লটের জন্যও অস্ট্রেলিয়াতে আবেদন করা হয়েছে।
×