ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নড়িয়ায় নকলে বাধা দেয়ায় ৫০ শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৮ এপ্রিল ২০১৮

নড়িয়ায় নকলে বাধা দেয়ায় ৫০ শিক্ষক অবরুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ৭ এপ্রিল ॥ শনিবার নড়িয়া বিহারীলাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দে[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ বহফ: }থঐষশ৫১০৮৭৫২২৭্র এইচএসসি ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় নকল করতে না দেয়ায় পরীক্ষা শেষে ওই কেন্দ্রে হল সুপারসহ কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা ৫০ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে পরীক্ষার্থীরা। এখানে নড়িয়া উপজেলার বিঝারী উপসী কলেজ, ডিগ্রী কলেজ, সুরেশ^র স্কুল এ্যান্ড কলেজ ও টিএম গিয়াসউদ্দিন কলেজের শিক্ষকরা কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ ঘটনায় নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা ইয়াসমিন ও নড়িয়া থানা পুলিশ অবরুদ্ধ শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়ি যেতে সহযোগিতা করেন। নড়িয়া থানা, পরীক্ষা কেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার এইচএসসির ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় নড়িয়া বিহারীলাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রে নড়িয়া সরকারী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এইচএসসি ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দিচ্ছিল। এসময় পরীক্ষার হলে মানবিক শাখার আপন নামে এক পরীক্ষার্থীকে অবৈধভাবে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বহিষ্কার করেন। এছাড়াও একই কেন্দ্রের ১৮ নং কক্ষে অপর পরীক্ষার্থী নকল বের করলে কক্ষ পরিদর্শক অমলেশ রায় তা পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নিয়ে যান। অমলেশ রায় সুরেশ^র স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক। এ ঘটনার জের ধরে উক্ত কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষ হলে ওই কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এদিকে সুরেশ^র স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিল নড়িয়া সরকারী কলেজ কেন্দ্রে। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা বাড়ি যাওয়ার পথে তাদের উপর নড়িয়া সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে বলে আহত পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। হামলায় পরীক্ষার্থী জহির উদ্দিন, আফজাল সানি, আলামীন, শামীম, মাসুদ রানা, রাব্বিসহ অন্তত ১০ পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা সবাই সুরেশ^র স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। কেন্দ্র সচিব নড়িয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, কক্ষ পরিদর্শকদের অবরুদ্ধ করা হয়নি। বাইরে কিছু শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়েছিল। আমরা তা শান্ত করেছি। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহারের কারণে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলে পরীক্ষা শেষে ওই বহিষ্কৃত ছাত্র কিছু পরীক্ষার্থীকে নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এ সময় নড়িয়া থানার ওসি, এসি ল্যান্ড ও কেন্দ্র সচিব নড়িয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
×