ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশের দাম চড়া, বেড়েছে ব্রয়লারের দাম

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ৭ এপ্রিল ২০১৮

পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশের দাম চড়া, বেড়েছে ব্রয়লারের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে ভোক্তাদের দৃষ্টি এখন ইলিশ মাছের দিকে। এ কারণে সপ্তাহখানেক আগেই চড়া ইলিশ মাছের দাম। মাছের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংস আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্য তেল, আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, নিউমার্কেট ও মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ দিকে, বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশ মাছের দাম বেড়ে যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই ইলিশ মাছের দাম চড়া। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে ১৮শ’ টাকা। এ ছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি জোড়া ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ মাছটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। বৈশাখ সামনে রেখে তারা আরও বেশি দাম বাড়ার কথা জানিয়েছেন। তবে ভোক্তারা বলছেন, এ বছর বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে বৈশাখ সামনে রেখে এই মাছটির দাম বাড়া ঠিক নয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে বাজারে ইলিশ মাছের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ রয়েছে। কাওরান বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা সামসু মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, পাইকারি বাজারে মাছের দাম বেশি। এ কারণে খুচরায় দাম বেড়ে গেছে। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের আগেই ইলিশ মাছের দাম বেড়ে যায়। ভোক্তাদের বাড়তি চাহিদার কারণেও দাম বাড়ে। তবে বাজারে ইলিশ মাছের দাম বাড়লেও দেশীয় জাতীয় রুই, কাতলা, মৃগেল, চিংড়ি, শিং, টাকি মলা, কাচকিসহ অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া ৫ টাকা দাম বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকা। পেঁয়াজ আমদানি ৩০ এবং দেশীটি ৩৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, আটা, চিনি, ডিমসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সবজির বাজারে স্বস্তি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি ওঠায় চাপ কমেছে শীতকালীনটির। সবজির বাজারে দেখা যায়, বেগুন (কালো) ৩০ টাকা (সাদা) ৩৫ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, সজনে ডাটা ৭০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা এবং শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত দু’ সপ্তাহ ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন ফসল উঠলে চালের দাম আরও কমে আসবে। বৈশাখ মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে উঠতে শুরু করবে নতুন ধান। তখন ৬২ থেকে ৬৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মিনিকেট চাল ৬০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মোটা চালও ৪০ টাকার নিচে নামতে পারে। বাজারে স্বর্না চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৭ টাকা, বি আর-২৮ চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা এবং পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে সয়াবিন লুজ ৮৫-৮৮ টাকায় প্রতিলিটার, বোতলজাত পাঁচ লিটার ৪৮৫-৫২৫, পামওয়েল লুজ ৭০-৭২, পামওয়েল সুপার ৭৩-৭৫, মসুর ডাল কানাডা তুরস্ক মোটা দানা ৬০-৭০, ডাল উত্তম মানের নেপালী ১১০-১২০, এ্যাংকর ডাল ৫০-৫৫, ছোলা ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×