ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে শক্ত স্তম্ভ

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৭ এপ্রিল ২০১৮

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে শক্ত স্তম্ভ

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়নের যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা বাস্তবায়নে শক্ত স্তম্ভ হয়ে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ফলশ্রুতিতে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি প্রত্যন্ত জনপদের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ধর্মীয় উপসানালয়সহ গ্রামীণ জনজীবনে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এ কারণেই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে বলা হয় বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী লীগের অভিভাবক। আর বলবে-ই না কেন, তার পুরো অবয়বে নেতাকর্মীরা খুঁজে পাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর ছোট বোন আমেনা বেগমের জেষ্ঠ পুত্র আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে যে যা-ই বলুক না কেন তিনি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি (হাসানাত আব্দুল্লাহ) সকাল, দুপুর আর রাত নেই, যে যখন যেই কাজ নিয়ে তার কাছে যাক না কেন তিনি সর্বদা চেষ্টা করেন তাদের উপকারের জন্য। তাই পীর-আউলিয়াভক্ত আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে অনেকেই বলেন গরিবের বন্ধু। ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে শ্রমিক রাজনীতি, যুব রাজনীতির পর এখন তিনি (আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ) আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলার সভাপতি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে এখন সম্মানের আসনে রয়েছেন। ১১৯ বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এবং পূর্ণমন্ত্রী পদমর্যাদায় তিনি সম্প্রতি সময়ে নির্বাচিত হয়েছেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক। এছাড়া তিনি স্থানীয় সরকার পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চিফ হুইপ নির্বাচিত হয়ে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের রূপকার হিসেবে আর্বিভূত হন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশেন, বিভাগ, শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর প্রতিষ্ঠা, শেখ হাসিনা সেনানিবাস (ক্যান্টনমেন্ট), দোয়ারিকা, শিকারপুর, দপদপিয়া ও পয়সারহাট ব্রিজ নির্মাণ, বিভাগীয় বেবী হোম, টিচার্স ট্রেনিং কলেজসহ অসংখ্য উন্নয়নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি তার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দান করেছেন। সূত্রমতে, ১৯৬৮ সালের আগে জগন্নাথ কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর হাতেখড়ি। পরে তিনি বরিশালের শ্রমিক রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ১৯৭৩ সালে দলীয় প্রার্থী জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীরকে হারিয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে বরিশাল পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাসানাত আব্দুল্লাহ। ১৯৭৪ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি বরিশাল জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কাল রাতে ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারী বাসভবনে ঘাতকদের বুলেটে শহীদ হন হাসানাত আব্দুল্লাহর বাবা তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী (বঙ্গবন্ধুর বোন জামাতা) আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাই আরিফ আব্দুল্লাহ, বোন বেবী সেরনিয়াবাত, বড় পুত্র সেরনিয়াবাত সুকান্ত বাবু, চাচাত ভাই সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত। ঘাতকের বুলেটে সেদিন আহত হন হাসানাতের মা (বঙ্গবন্ধুর বোন) আমেনা বেগম, স্ত্রী শাহানারা বেগম, ছোট ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন। হামলার পূর্বে পরিবারের সবার অনুরোধে ঘাতকের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়েছিলেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৫ আগস্টের হামলার পর হাসানাত আব্দুল্লাহ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেখানে (ভারত) চারবছর অবস্থানের পর ১৯৭৯ সালে দেশে ফিরে বরিশাল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। একই বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ১৯৮৪ সালে দলীয় সমর্থনে বরিশাল পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করে জাতীয় পার্টির গোলাম মাওলার কাছে হেরে যান। ’৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হাসানাত আব্দুল্লাহ বরিশাল সদর আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে জাতীয় পার্টির মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। ’৮৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও বরিশাল-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি হেরে যান। একই বছর সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি (হাসানাত) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বরিশাল-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ’৯২ সালের সম্মেলনে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৯৬ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ’৯৮ সালে দলের সম্মেলনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো বরিশাল-১ আসন থেকে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে বরিশালের রাজনৈতিক মাঠ অনেকটাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের দখলে চলে যায়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ব্যাপক শোডাউন করে বরিশালে ফেরেন হাসানাত আব্দুল্লাহ। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল তারই (হাসানাত) হাত ধরে আওয়ামী লীগে আসা একসময়ের জাতীয় পার্টির নেতা ও পরবর্তীতে সিটি মেয়র এবং বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর ফের এলোমেলো হয়ে যায় বরিশাল নগরী। ঠিক এমনই সময় দলের ক্রান্তি লগ্নে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর উত্থান ঘটে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দাদা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ফুফু শেখ হাসিনা ও বাবা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে খুব স্বল্পসময়ের ব্যবধানে তিনি (সাদিক) দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে টেনে এবং তাদের সুখ, দুঃখে এগিয়ে এসে মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আইকন হয়ে দাঁড়ায়। ফলশ্রুতিতে ২০১৬ সালের নবেম্বর মাসে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ট হন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। নগরীর সংবাদকর্মী তানভির আহম্মেদ অভি বলেন, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর কারিশমার ফলেই বেশ অল্পদিনেই মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের হারানো সা¤্রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দলের সকল প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিরসন করার কারণেই নেতাকর্মীরা এখন সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বলয়ে রয়েছেন। অতিসম্প্রতি বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় বিপুল লোক সমাগম ও সাজসজ্জাকরণের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার জানান দিয়ে যথারীতি সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কেড়েছেন। নগরবাসীর জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে আগামী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রভাবশালী মেয়র প্রার্থী তিনি। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, সাদিক আব্দুল্লাহ লড়ছেন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। প্রথাগত চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য করে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ঘর-সংসার করার জীবন বেছে না নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করছেন। নানা ঝড়ঝাপ্টার মাঝেও দলীয় আদর্শে তিনি অবিচল থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন বড় অবলম্বন। নগরভবন তার ঠিকানা না হলেও পুরো নগরীর মানুষ তাকে ‘মেয়র’ বলেই সম্বোধন করেন। সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছেন। আমিও তাদের বাইরে নই। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজেই আমি ভয় পাই না। আমি জনগণের ভালবাসা অর্জন করেই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর স্ত্রী শাহানারা বেগম বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী জানান, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও নারী অধিকারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন শাহানারা বেগম। এছাড়াও দলের দুর্দিনে (২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে) মাতৃ¯েœহে তিনি (শাহানারা বেগম) আগলে রেখেছেন দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের। হাসানাত আব্দুল্লাহর মেজপুত্র সেরনিয়াবাত মঈন আব্দুল্লাহ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য। তিনিও সংসার জীবনের কথা না ভেবে সর্বদা ছুটে চলছেন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাশে। হাসানাত আব্দুল্লাহর ছোট পুত্র সুদর্শন, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক প্রকৃতির সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য। জেলা ছাত্রলীগ নেতা এসএম মনির, আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাগর সেরনিয়াবাত, মাসুম সরদারসহ একাধিক ছাত্রলীগ কর্মী জানান, পিতার নির্দেশনায় সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন দুস্থদের খোঁজখবর রেখে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে আসছেন। ফলে ক্রমেই তার প্রতি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা বেড়েই চলেছে। গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া ও সরকারী গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সুমন মাহমুদ জানান, দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ন্যায় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ। নেতাকর্মীরা সহজেই তার কাছে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারছেন। এছাড়া নেতাকর্মীদের পাশে থেকে বিপদে আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আশিক আব্দুল্লাহ সর্বস্তরে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বাবার আদর্শে যে কারণে রাজনীতির মাঠে বেশ স্বল্পসময়ে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র জ্যেষ্ঠপুত্র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মেজপুত্র সেরনিয়াবাত মঈন আব্দুল্লাহ ও কনিষ্ঠ পুত্র সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি বলেন, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে তার কর্মগুণে এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবকের মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তারই (হাসানাত আব্দুল্লাহ)’র আদর্শে রাজনৈতিক মাঠে এগিয়ে চলেছেন তার সুযোগ্য তিন পুত্র।
×