ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আফ্রিদির মন্তব্যে সরগরম ভারত

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৭ এপ্রিল ২০১৮

আফ্রিদির মন্তব্যে সরগরম ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০ বিশ্বকাপের সময় ভারতকে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ বলে পাকিস্তানীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। সাবেক তারকা অলরাউন্ডারের কণ্ঠে প্রায়শ প্রতিবেশী দেশের প্রশংসা ঝরত। সেই তিনিই এবার কাশ্মীর ইসুত্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। আফ্রিদি টুইটারে লিখেছেন, ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভয়াবহ, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর চাপা দিতে দমনমূলক নীতিতে নিরীহদের গুলি করে মারা হচ্ছে। অবাক হয়ে ভাবি কোথায় গেল রাষ্ট্রসংঘ, অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো! কেন এই রক্তপাত থামাতে তারা সচেষ্ট নয়?’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি তারা আমাকে ডাকেও, তবু আইপিএল খেলতে যাব না। আমার এর দরকার নেই। সেটির প্রতি আমি আগ্রহী নই, কখনও ছিলাম না।’ এরপরই শুরু হয়ে যায় কথার যুদ্ধ। উল্লেখ্য, আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া টি২০ ক্রিকেট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ১১তম আসর। পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডারের কড়া সমালোচনা করেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। গৌতম গাম্ভীর, বিরাট কোহলি, কপিল দেব থেকে শুরু করে কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকরও বাদ যাননি। শিখর ধাওয়ান লিখেছেন, ‘আগে নিজের দেশের হাল ধরো। নিজের মতামত নিজের কাছে রাখ। নিজের দেশের জন্য আমরা যা করছি, সেটাই ঠিক। আগে কি করতে হবে, আমরা জানি। তোমাকে এসব ব্যাপারে ভাবতে হবে না।’ শিখর ধাওয়ানের পরপরই এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে শচীন বলেন, ‘আমাদের দেশের ব্যাপারে কোন বহিরাগতের মন্তব্য করার দরকার নেই। ওখানে (কাশ্মীর) থাকা ভারতীয় প্রতিনিধিরা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখেন।’ এর আগে ব্যাঙ্গালুরুতে আইপিএলে প্র্যাকটিসের সময় ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘একজন ভারতীয় হিসেবে আমি সবসময় দেশের ভাল চাইব। দেশের স্বার্থে পাশে দাঁড়াব। যদি কেউ এর বিরোধিতা করে তবে তাকে সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না।’ যে কোন পরিস্থিতিতে দেশের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলে জানান এই ভারতীয় সফল তারকা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না লিখেছেন, ‘কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা ভারতেরই থাকবে। আমাদের পূর্বপুরষেরা এখানেই জন্মেছেন। আমি আশা করব, আফ্রিদি ভাই পাকিস্তান আর্মিকে আমাদের কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধের প্রস্তুতি বন্ধ করতে বলবেন। আমরা শান্তি চাই।’
×