স্টাফ রিপোর্টার ॥ নৌযান মালিক, শ্রমিক ও জনগণের সচেতনতার ফলে নৌ দুর্ঘটনা কমে এসেছে। বিগত তিন বছরে কোন লঞ্চডুবি হয়নি। নৌ দুর্ঘটনা হ্রাস ও নৌযান নির্মাণের ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ হচ্ছে। আগে নৌযান তৈরি করে মালিকরা নক্সা অনুমোদন করে নিত। এখন আর সে সুযোগ নেই, এখন প্রথমে নক্সার অনুমোদন করে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে নৌ পরিবহন অধিদফতরের মনিটরিং জোরদার করা হয়। নক্সার বাইরে কোন জাহাজ নির্মাণ করা যায় না। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বৃহস্পতিবার ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদী ও নৌযান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। এজন্য অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রী ও মালামালের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়। নৌশিল্পের বিকাশ তথা নৌপথের উন্নয়নে বর্তমান সরকার উন্নয়ন বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, বর্তমান সরকার নৌপথের উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপদ নৌযান নির্মাণ ও নৌযানের আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে নৌপথের যাত্রীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে নৌযান নির্মাণ ও নৌযানে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে যাত্রীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। নৌযানের ক্ষেত্রেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। লঞ্চে এখন লিফট ও অসুস্থ রোগীদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ব্যবস্থা রয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডার সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহবুবউদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল হক এবং নৌপরিবহন অধিদফতরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার এস এম নাজমুল হক।
নৌ খাতের উন্নয়ন ও সেবা প্রদানে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৩ ব্যক্তি ও সংস্থাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী নৌনিরাপত্তা সপ্তাহের কর্মসূচীর মধ্যে শিশু একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দরে নৌ সপ্তাহের অনুষ্ঠান। উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছাড়াও নৌ র্যালি, দেশের বিভিন্ন নৌবন্দরে ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে নৌ সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচী, নৌ সেক্টরে বিভিন্ন কাজে অবদান রাখার জন্য পুরস্কার প্রদান, সারাদেশে অরেজিস্ট্রিকৃত নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ইত্যাদি কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।
