ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলা ॥ যুক্তিতর্ক ২২ এপ্রিল

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৬ এপ্রিল ২০১৮

বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলা ॥ যুক্তিতর্ক ২২ এপ্রিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে আদালত। একই সঙ্গে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এ মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করতে পারেননি। ফলে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান যুক্তিতর্কের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। এদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার হাজিরার ব্যবস্থ নিতে আদালতের কাছে আবেদন করতে চায় দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে এ কথা বলেন। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ এ মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক হয়। সেদিন বিচারক ২৮ ও ২৯ মার্চ শুনানির নতুন তারিখ রেখে নির্ধারিত দিনে খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাজির করতে না পারায় মামলার শুনানি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে উঠলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আমি জেনেছি বেগম জিয়া অসুস্থ। তিনি বাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন। মেডিক্যাল বোর্ড উনাকে চিকিৎসা দিয়েছে, কিন্তু উনি এ চিকিৎসা না নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা নেবেন বলে বলে জানিয়েছেন। সেটা প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও বলেন , খালেদা জিয়াকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির করে আদালতের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সেই সুযোগ রয়েছে। এভাবে ভারতের বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দুটি মামলা পরিচালনার উদাহরণও আদালতের সামনে তুল ধরেন দুদকের আইনজীবী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের কাজ চালিয়ে যাওয়ার আবেদনটি তারা করবেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান এ সময় কাজলের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এই আদালত সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলে। আদালত কীভাবে চলবে সে জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রীমকোর্টের পরামর্শ প্রয়োজন। দুদকের আইনজীবীর বক্তব্যের সূত্র ধরে রেজ্জাক খান বলেন, এমন সাবমিশন গ্রহণ হতে পারে না। ভিডিও কনফারেন্স এটা সেটা এত বাড়াবাড়ি করার কি আছে! দুদকের আইনজীবী কাজল এ সময় বলেন, উনি গুরুতর অসুস্থ না। আমার কাছে তথ্য আছে, মেডিক্যাল বোর্ড তাকে ওষুধ দিয়েছে, তিনি বাতজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তিনি ওষুধ খাচ্ছেন না।এ মামলায় কারাবন্দী খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছিল। রেজ্জাক খান জামিনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর আবেদন করলে বিচারক ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন।
×