ঘুষের শাস্তি-
ঘুষ দিয়ে ঠিকাদারি কাজ পেতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার ৯ ব্যবসায়ী। তাদের অর্থদন্ডের পাশাপাশি দেশটিতে বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও একটি স্কুল তৈরি করে দিতে হবে। জাতিসংঘ সমর্থিত ইন্টারন্যাশনাল কমিশন এ্যাগেইনস্ট ইমপিউনিটি ইন গুয়াতেমালার (সিআইসিআইজি) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ওই ৯ ব্যবসায়ীকে এই সাজা দেয়া হয়। গত বছর গুয়াতেমালার প্রসিকিউটর অফিস ও সিআইসিআইজি ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ তোলে। বুধবার সিআইসিআইজি এক বিবৃতিতে জানায়, এই ৯ ব্যবসায়ী সরকারী কাজ দ্রুত পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছেন। গুয়াতেমালার ট্রাইব্যুনাল তাদের প্রত্যেককে ৬৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার করে জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে তাদের একত্র হয়ে অন্তত ছয়টি সড়ক মেরামত ও তৈরি করতে হবে এবং দরিদ্র এই দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি স্কুল নির্মাণ করে দিতে হবে। -ইয়াহু নিউজ
বেঁটেদের ফুটবলার
হওয়ার লড়াই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কেনিয়ায় ৩ হাজারের বেশি বেঁটে আকারের মানুষ রয়েছে। এমনকি বেঁটে মানুষদের একটি নিজস্ব ফুটবল দলও আছে। কোন এক শীতের সকালে নাইরোবির সকার স্টেডিয়ামে নয়জন মিলে ফুটবল খেলছে। তাদের গায়ে লাল রঙের জার্সি। নতুন এই খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তাদের কোচ। তবে তার ছাত্রদের মধ্যে খুবই প্রাণশক্তি আর আত্মবিশ্বাস দেখা গেছে।
এই স্কোয়াডটির বয়স মাত্র কয়েক মাস। এটি পরিচিত হয়ে উঠছে দ্য লায়ন স্টারস নামে। এটি তৈরি হয়েছে বেঁটে আকৃতির মানুষদের নিয়ে। যারা সবাই জন্মগতভাবে ডোয়ার্ফিজম বা বামুনাকৃতির সমস্যা নিয়ে বেড়ে উঠেছে। তারা এমন এক পৃথিবীতে বসবাস করছে যেখানে বিশাল এবং লম্বা মানুষদের আধিপত্য। এবং তারা যেহেতু সামনেই একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কঠিন ভাবে। এখন তাদের নানারকম চ্যালেঞ্জের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হচ্ছে। এই দলের ক্যাপ্টেন জোসেফ মাইনা। স্থানীয়ভাবে যিনি সোংকো হিসেবে পরিচিত যার মানে হলো ধনী লোক। তিনি বলছেন নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে তারা চেষ্টা করছেন ফুটবলার হয়ে উঠতে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বল হয়তো ছোট হওয়া উচিত কিন্তু কেনিয়াতে আমরা সেই বড় আকারের বলই ব্যবহার করছি কারণ আমাদের পক্ষে ছোটটি কেনা সম্ভব নয়। আমরা এভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা প্রীতি ম্যাচ খেলছি। এখানে মেয়েরাও আছে।’ এই বছরের আরও পরের দিকে তারা আমেরিকায় যে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলবে সেজন্য তাদের সহায়তার উদ্দেশ্যে এই প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। বেঁটে এই মানুষগুলোর এই চর্চা নিজেদের শক্তি যোগাচ্ছে। কিন্তু এখনও চাকরির ক্ষেত্রে তাদের নানারকম বৈষম্যের মুখে পড়তে হচ্ছে। সব জায়গায় তাদের যাওয়ার সুযোগও নেই। কেনিয়ার বেঁটে মানুষদের সোসাইটির ভাইস চেয়ারপার্সন রুখ মুযয়েনি বলছেন, ‘আপনি জানেন আমাদের বৈষম্যের চোখে দেখা হয় এবং সেই সঙ্গে সামাজিক কলঙ্কও মনে করা হয়। আমাদের উচ্চতার ভিন্নতার কারণে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা দেখা যায়। কিন্তু আমরা এটা প্রমাণ করতে চাই যে, আমাদের এই ভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সুযোগ পেলে কিছু করে দেখাতে পারি। আমাদের ফুটবল দল অন্যদের বিপক্ষে খেলতে সক্ষম।’
দলের ক্যাপ্টেন সোংকো বলেন, ফুটবল তাদের জীবনে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তিনি জানান, ‘এখানে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মনে করে আমাদের দ্বারা ফুটবল সম্ভব নয়। তাতে লাথি মারতে পারি না কিন্তু আমরা একসঙ্গে বল খেলছি। একটি হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপ আছে যেখানে আমরা সবকিছু শেয়ার করি। আমাদের ফিজিক্যাল ফিটনেসও বেড়েছে। যারা ঘরে বন্দী জীবন কাটাচ্ছে তাদের জন্য এখনই সময় বাইরে বেরিয়ে আসা। বেরিয়ে আসুন এবং একসঙ্গে আমাদের সঙ্গে খেলুন।’ এটা কোন চিরাচরিত ফুটবল দল নয়। তারা কেবল তাদের দক্ষতা বা নৈপুণ্য দেখাতে চাইছে তেমন নয়, তারা মানসিকতাও বদলাতে চাইছে মানুষের। -বিবিসি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: