ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুরাদনগরে কলেজ সভাপতির অনিয়ম তদন্তে কমিটি

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৬ এপ্রিল ২০১৮

মুরাদনগরে কলেজ  সভাপতির অনিয়ম তদন্তে কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৫ এপ্রিল ॥ মুরাদনগরে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চাপিতলা ফরিদ উদ্দিন সরকার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এসব অভিযোগ করেছেন। এ সভাপতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মেহেবুবকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। জানা যায়, শিক্ষকদের একটি অংশ এবং রাজনৈতিক ও এলাকার প্রভাবশালীদেরকে ম্যানেজ করে তিনি গত ১০ বছর যাবত সভাপতির পদটি আঁকড়ে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষার্থী ভর্তি ও ফরম ফিলাপসহ কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের নামে কলেজের বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার লিখিত অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষকরা। এ ছাড়া সভাপতি হাবিবুর রহমান ড্রেজারের মাধ্যমে কলেজের জায়গা ভরাট করার জন্য কলেজের নিজস্ব জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে ফান্ড থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সভাপতি এবং উপাধ্যক্ষ মিলে ১৮ সালের ভর্তির টাকা থেকে সম্মানীর নামে ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করায় বেশকিছু শিক্ষক সভাপতির হাতে লাঞ্ছিত হন। সম্প্রতি এসব অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করায় কোন প্রকার শোকজ নোটিশ না করেই এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে ৩ জন শিক্ষক ও দুয়েকজন অভিভাবক নিয়ে বৈঠক দেখিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ নারগিস আক্তার চৌধুরীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন এবং উপাধ্যক্ষ সফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। সভাপতি হাবিবুর রহমান সরকার জানান, আমি কোন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে কতিপয় শিক্ষক মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছে। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষ নারগিস আক্তার চৌধুরীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম বলেন, কারণ দর্শানো ছাড়া একজন অধ্যক্ষকে এভাবে বরখাস্ত করা যায় না। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মেহেবুবকে প্রধান করে বৃহস্পতিবার ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
×