ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতে গ্যাস দিতে ৮ সার কারখানা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৬ এপ্রিল ২০১৮

বিদ্যুতে গ্যাস দিতে ৮ সার কারখানা বন্ধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বোরো মৌসুমে সেচ কাজে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের সব সার কারখানার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সার কারখানার পরিবর্তে বিদ্যুত উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়বে দেড় হাজার মেগাওয়াট- এমনটিই ধারণা করছেন বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ প্রসঙ্গে বলেন, বোরো মৌসুমের সেচ কাজে আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করতে চাই। কৃষি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা চলতি বোরো মৌসুমে দেশের সব সার কারখানা বন্ধ করতে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, সার কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ জানান, বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে চার হাজার ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। দেশের সার কারখানাগুলো বন্ধ হলে আমরা আরও দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত বেশি উৎপাদন করতে পারব। পিডিবির উর্ধতন এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার থেকে দেশের সব সার কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুত উৎপাদনে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বিদ্যুত উৎপাদনে ৮৮৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এই গ্যাস থেকে মাত্র ৪ হাজার ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। আর অতিরিক্ত গ্যাস পাওয়া গেলে আরও ১৫শ’ মেগাওয়াট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এবারের গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে ১১ হাজার মেগাওয়াট। আর বর্তমানে গড়ে উৎপাদন হচ্ছে ৯ হাজার মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত সবোর্চ্চ বিদ্যুত উৎপাদন করা হয়েছে ১০ হাজার ৬৯ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশে মোট সার কারখানা রয়েছে ৮টি।
×