ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রুগ্ন শিল্পের পথে সংবাদপত্র, কর রেয়াত দাবি

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ৫ এপ্রিল ২০১৮

রুগ্ন শিল্পের পথে সংবাদপত্র,  কর রেয়াত দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইন্টারনেটের প্রসারে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাঠক দিনকে দিন কমে যচ্ছে। কমছে বিজ্ঞাপনও। ব্যক্তি ও সরকারী বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সংবাদপত্র শিল্পের পরিস্থিতি অনেকটা রুগ্ন শিল্পের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতে সংবাদপত্র শিল্পের জন্য কর রেয়াত চেয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। বুধবার সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এই প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, টিভি, অনলাইন ইত্যাদির কারণে এটি এখন বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্র পাঠক হারাচ্ছে। হিসেব মতে, বিগত কয়েক বছরে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে আমাদের পাঠক কমেছে। সেই পরিমাণে বিজ্ঞাপনও কিন্তু কমছে। ব্যক্তি ও সরকারী বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাচ্ছে। সংবাদপত্রের পরিস্থিতিটা অনেকটা রুগ্ন শিল্পের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর বিপরীতে ব্যয় বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, গত তিন মাসে বিশ্ববাজারে নিউজ প্রিন্টের দাম প্রতি টনে ১ থেকে দেড়শ ডলার বেড়ে গেছে। আগামী ১০ বছর পরে সংবাদপত্র শিল্প থাকবে কি থাকবে না সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প ঘোষণা দিয়ে কর রেয়াতের প্রস্তাব করেন তিনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু উপস্থিত ছিলেন। মোজাম্মেল বাবু বলেন, দেশে প্রায় তিন কোটি টেলিভিশন দর্শক আছে। এসব দর্শককে হিসাবের মধ্যে আনার জন্য সরকার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই বিপুল মানুষকে ডিজিটালাইজড করা সম্ভব হলে তাদের কাছ থেকে ১২শ’ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত কর আদায় করা সম্ভব। আমাদেরও সুবিধা হতো, দর্শক সম্পর্কে আমরা জানতে পারতাম। এ সময় তিনি বিদেশী টেলিভিশনের বাংলাদেশে অবাধ প্রচারের সমালোচনাও করেন। বলেন, বাংলাদেশে যে কোন বিদেশী চ্যানেল কোন ফি বা ট্যাক্স না দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান কিংবা তুরস্কের টিভি পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু আমাদের কোন টিভি চ্যানেল বিদেশে সংযোগ পেতে হলে কোটি কোটি টাকা দিতে হয়। এ সময় তিনি বিদেশী চ্যানেলগুলোকে লাইসেন্স কিংবা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার প্রস্তাব করেন।
×