ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞা মেনে নিলেন স্টিভেন স্মিথ

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৫ এপ্রিল ২০১৮

নিষেধাজ্ঞা মেনে নিলেন স্টিভেন স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপটাউন টেস্টে বহুল আলোচিত বল টেম্পারিংয়ে সূত্রে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) থেকে পাওয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপীল করবেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও মাঠে ঘটনার বাস্তবায়নকারী ক্যামেরন ব্যানক্রফট। তবে নাটের গুরু ডেভিড ওয়ার্নার এ নিয়ে এখনও কিছুই বলেননি। বুধবার এক টুইট বার্তায় স্মিথ লিখেছেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি, দলের অধিনায়ক হিসেবে এ ঘটনার সব দায় আমার। শাস্তির বিরুদ্ধে কোন ধরনের আপীল আমি করব না। বোর্ড বাকিদের উদ্দেশে বার্তা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাকে সেটা মেনে নিতে হবে। আমার সবকিছু ফিরে পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমি এবং দেশের প্রতনিধিত্ব করতে আবার ফিরে আসব।’ মাত্র আট টেস্টে দেশের হয়ে মাঠে নামা ব্যানক্রফট লিখেছেন, ‘বোর্ডের সঙ্গে আমি আজ নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র নিয়ে বসেছিলাম এবং সাজা মেনে নিয়েছি। অস্ট্রেলীয়দের বিশ্বাস ফিরে পেতে এবং আবার মাঠে নামতে যা যা করার দরকার, সবই আমি করব। আমাকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা পাঠানো সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’ তারা হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরার পর সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যাটক্রফট। অনেকে সহানুভূতি জানিয়ে বলেছিলেন, শাস্তিটা বেশিই হয়ে গেছে, কারণ ওরা তো আর কাউকে খুন করেনি। ধারণা করা হচ্ছিল, নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপীল করবেন তারা। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরিচ্ছন্ন ক্রিকেটের জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে যে বার্তা দিতে চেয়েছে সেটি ভেবেই আপীল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মিথ। স্মিথ-ওয়ার্নার এক বছরের জন্য হলেও সিএÑ কর্তৃক সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ৯ মাস নিষিদ্ধ ব্যানক্রফট। আইসিসি স্মিথকে ১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও ম্যাচ ফি’র শতভাগ জরিমানা করলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) একটু বেশিই শাস্তি দিয়ে ফেলে। স্মিথ ও ওয়ার্নারের কাছ থেকে অধিনায়ক ও সহঅধিনায়কের দায়িত্ব কেড়ে নেয়া হয়। এমন শাস্তি অসামঞ্জস্য বলে উল্লেখ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সংগঠন ‘এসিএ’। তারা তিন ক্রিকেটারের শাস্তি কমানোর জন্য অনুরোধও জানিয়েছিল। এসিএ’র সভাপতি গ্রেগ ডায়ের বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে শাস্তির বিষয়টি পুনরায় ভাবতে কিংবা শাস্তির কিছু অংশ কমাতে বলেছি। পাশপাশি বলেছি খেলোয়াড়দের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ দিতে। আমরা বিশ্বাস করি তাদের শাস্তি অসামঞ্জস্য। আমরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে এই ঘটনা আগেও ঘটেছে এবং শাস্তি এত বেশি ছিল না। আমরা আমাদের পয়েন্টগুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখব।’ ডায়ের মনে করেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) উচিত এমন সময় খেলোয়াড়দের পাশে থাকা। তারা যাতে ক্রিকেটের সংস্পর্শে থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। সেটা খেলোয়াড়দের জন্য যেমন উপকারী হবে, তেমনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের জন্যও।
×