ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলুর দরপতনে চাষীদের মাথায় হাত

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৫ এপ্রিল ২০১৮

আলুর দরপতনে চাষীদের মাথায় হাত

রাজুমোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হলেও বাজার মূল্য না থাকায় লাখ লাখ টাকার গচ্চা দিতে হচ্ছে আলুচাষী ও ব্যবসায়ীদের। জমি থেকে আলু তুলে খরচের টাকা তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। গত বছর আলুতে লোকসান হওয়ার পর এবার বাইরের ব্যবসায়ীরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে ক্রেতা না পেয়ে আলু নিয়ে চাষীরা পরেছে চরম বিপাকে। ভবিষ্যতে আলু চাষ নিয়ে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ২৬০ হেক্টর এবং অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ২৯১ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ হেক্টর বেশি। গত মৌসুমে আলুতে লোকসান হওয়ার পর নতুন আশায় সরকারী-বেসরকারীভাবে ঋণ করে অনেকেই আলুচাষে এগিয়ে আসে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয় আশানুরূপ। কিন্তু মাঠ থেকে আলু তুলে ক্রেতা না পেয়ে হতাশ আলুচাষীরা। আলু বিক্রি করে খরচ তোলাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। ফলে ভবিষ্যতে আলুচাষ নিয়ে শঙ্কিত আলুচাষীরা। সরকারীভাবে কিংবা বিদেশে আলু রফতানি করা হলে এই শিল্প টিকে রাখা যাবে এবং চাষীরাও লোকসান থেকে রক্ষা পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। কাঁঠালবাড়ীর চাষী সোবহান ব্যাপারী জানান, আলু লাগানো থেকে উঠানো পর্যন্ত সমপরিমাণ খরচ লাগছে। ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে না। আলু আবাদ করে বিপদে পরেছি ভাই। অপর চাষী নুরন্নবী জানান, গতবারেও লোকসান দিছি। অনেক আশা নিয়ে বিভিন্নভাবে ধার-দেনা করে এবারেও আলু আবাদ করি। কিন্তু এই আলুর টাকা উঠবে কিনা চিন্তায় আছি। কুড়িগ্রাম বাবর কোল্ড স্টোরেজ’র ম্যানেজার মোজাহিদুর রহমান বাবু এই প্রতিবেদককে জানান, সরকারের আলুচাষীদের ভর্তুকি দেয়া উচিত। পরপর দুবার আলুর দরপতন হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বড় ধরনের লোকসান দিয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ সরকার জানান, অধিক উৎপাদন ও বিদেশে রফতানি করতে না পারায় আলুচাষীরা কমমূল্য পাচ্ছে। সরকারী উদ্যোগে আলু বিদেশে রফতানি করা গেলে কৃষক লাভবান হতো।
×