ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার বলি রথীশ ভৌমিককে বাড়িতেই খুন করা হয়

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৫ এপ্রিল ২০১৮

 পরকীয়ার বলি রথীশ ভৌমিককে বাড়িতেই খুন করা হয়

গাফফার খান চৌধুরী/আব্দুর রউফ সরকার ॥ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে খুন হন আলোচিত আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা। দুই মাস আগে তাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৯ মার্চ বাবু সোনাকে তার নিজ বাড়িতেই হত্যা করা হয়। লাশ রাখা হয় আলমারিতে। পরদিন স্ত্রী বাবু সোনা নিখোঁজ হওয়ার নাটক সাজায়। পরে ভ্যানে করে লাশ নিয়ে পুঁতে রাখা হয়। এ ঘটনায় আইনজীবী স্বামী খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী স্ত্রী স্কুলশিক্ষক স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা ভৌমিক, তার পরকীয়া প্রেমিক একই স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক কামরুল ইসলাম জাফরী, তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সবুজ ও রোকনুজ্জামানসহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গত ৩০ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন বলে নিহত বাবু সোনার (৫৮) স্ত্রী দীপা ভৌমিক দাবি করেছিলেন। এরপর থেকে উত্থাল হয়ে ওঠে রংপুরসহ সারাদেশ। জাপানী নাগরিক হোশি কুনিও এবং মাজারের খাদেম হত্যায় জড়িত জঙ্গীদের ফাঁসির রায় এবং জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী হওয়ার সূত্র ধরে বাবু সোনাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গুম করা হয়ে থাকতে পারে পরিবার ও বিক্ষোভকারীরা দাবি করে আসছিলেন। বাবু সোনা রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি, রংপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের গবর্নিং বডির সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সুজন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। মঙ্গলবার রাত পৌনে দুইটার দিকে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাবু সোনার লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাবু সোনার লাশ তার স্ত্রীর দেয়া তথ্য মোতাবেক তাজহাট মোল্লাপাড়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষের বালুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুর বারোটায় রংপুর নগরীর আলমনগরে অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডে র‌্যাব-১৩ সদর দফতরে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ লাশ বিছানার চাদর ও লুঙ্গি দিয়ে পেঁচানো ছিল। এ ঘটনায় বাবু সোনার স্ত্রী তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীপা ভৌমিক, তার কথিত প্রেমিক একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম জাফরী, তাজহাট স্কুলের দুই ছাত্র সবুজ ও রোকনুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মহাপরিদর্শক বেনজীর আহেমদ হত্যাকা-ের বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরেই আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনাকে হত্যা করা হয়। দুই মাস আগে বাবু সোনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। রংপুর জজ আদালতের বিশেষ পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) বাবু সোনাকে গত ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে রাত দশটার দিকে শোবার ঘরে বাবু সোনাকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় স্ত্রী। খাওয়ার পর বাবু সোনা অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও তার প্রেমিক কামরুল ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে বাবু সোনাকে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ শোবার ঘরেই রেখে দেয়। পরের দিন শুক্রবার কামরুল মাস্টার ভোর পাঁচটার দিকে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সকাল নয়টায় কামরুল মাস্টার একটি রিক্সাভ্যান আনে। তারা লাশটি গুম করার জন্য একটি আলমারিতে ভরে। সেই আলমারিটি পরিবর্তন করা হচ্ছে জানিয়ে লাশসহ আলমারিটি রংপুর নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়ার নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানকার একটি কক্ষে আগ থেকেই খুঁড়ে রাখা বালির গর্তে পুঁতে দেয়। আলমারি নেয়া ও লাশ ভ্যানে তোলার কাজের জন্য তিন জনকে আগ থেকেই কামরুল মাস্টার ঠিক করে রেখেছিল। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দীপা হত্যাকা-ের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মোতাবেক মঙ্গলবার রাত এগারোটার দিকে তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরের একটি কক্ষে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেই লাশটি উদ্ধার হয়। নির্মাণাধীন ওই বাড়িটি দীপা ভৌমিকের কথিত প্রেমিক কামরুল ইসলাম জাফরীর বড়ভাই খাদেমুল ইসলাম জাফরীর। পরবর্তীতে বাবু সোনার ছোট ভাই সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিকসহ পরিবারের অন্যদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা সেখানে গিয়ে বাবু সোনার লাশ শনাক্ত করেন। বালু খোঁড়াখুঁড়ি ও লাশ লুকানোর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে সবুজ ইসলাম, রোকনুজ্জামান নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দু’জন তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের বাড়ি তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায়। র‌্যাব মহাপরিচালক আরও জানান, সবুজ ও রোকনুজ্জামান জানায় তাদের গত ২৬ মার্চ কামরুল মাস্টার মোল্লাপাড়ার নির্মাণাধীন ভবনের ওই কক্ষের বালু খোঁড়ার জন্য নির্দেশ দেয়। শিক্ষকের নির্দেশ মোতাবেক তারা বালু খুঁড়ে। এজন্য কামরুল মাস্টার দুই ছাত্রকে ৩শ’ টাকা দেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে ওই লাশ বালু দিয়ে গর্তে ঢেকে রাখে তারা। কামরুল মাস্টার তাদের শিক্ষক হওয়ায় তারা আদেশ পালন করে। এর আগে র‌্যাব মহাপরিচালক ঘটনাস্থল ও বাবু সোনার বাড়ি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বলেন, বাবু সোনা ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। রাষ্ট্রের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। এ ঘটনায় একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেল। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রংপুর বিভাগের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান, রংপুর জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ র‌্যাব ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যেভাবে খুনী ধরা পড়ে ॥ র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাবু সোনা জাপানী নাগরিক হোশি কুনিও এবং মাজারের খাদেম হত্যা মামলার পিপি ছিলেন। এ দুই মামলায় বারো জঙ্গীর ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এছাড়া তিনি জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী ছিলেন। এজন্য বছরখানেক আগে বাবু সোনার বাড়ির সামনের দিকে কিছুটা দূরে দুইটি মুভি ক্যামেরা লাগানো হয়। ক্যামেরা দুইটি সর্বক্ষণ সচল ছিল। ৩০ মার্চ রাত বারোটার দিকে বাবু সোনার পরিবারের তরফ থেকে বাবু সোনা নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করা হয়। সেখানে দীপা ভৌমিক জানান, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে একটি লাল মোটরসাইকেলে করে পায়জামা পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তির সঙ্গে চলে যান। চলে যাওয়ার সময় দুপুরে এসে খাবেন বলে জানায়। কিন্ত তার আর হদিস নেই। গুরুত্বপূর্ণ মামলার পিপি থাকায় জামায়াত-শিবির বা জঙ্গীরা তাকে কৌশলে অপহরণ করে গুম করতে পারে। রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, স্ত্রীর এমন দাবির পর মুভি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করা হয়। সেই ফুটেজের পর্যালোচনা শুরু হয়। তাতে দেখা যায়, স্ত্রীর দাবি করা ঘটনার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই। ওই ধরনের কোন লোক বাবু সোনার বাড়িতে যায়নি। এমনকি বাবু সোনারও বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোন ফুটেজ নেই। সকাল সাড়ে ছয়টার পর বাবু সোনা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল ফোন বন্ধ বলে তার স্ত্রী দাবি করেছিলেন। অথচ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখা গেছে, বাবু সোনার মোবাইলটি ভোর পাঁচটা থেকেই বন্ধ। র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে বাবু সোনার স্ত্রীর উপর সন্দেহ বাড়তে থাকে। তারই প্রেক্ষিতে তার স্ত্রীকে হেফাজতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বাবু সোনার স্ত্রী স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করেন। সেইসঙ্গে তার দেখানো জায়গা থেকেই স্বামীর লাশ উদ্ধার হয়। লাশ উদ্ধারের পরেই বাবু সোনার স্ত্রী লাশটি তার স্বামীর বলে নিশ্চিত করে। দীপা ভৌমিক তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অন্যদিকে তার পরকীয়া প্রেমিক কামরুল ইসলাম জাফরীও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বাবু সোনাকে যে রাতে হত্যা করা হয় তখন তার দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ছে। সে ঢাকায় ছিল। আর মেয়ে পড়ালেখা করছে রংপুর লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীতে। ঘটনার রাতে সে তার এক পিসির বাসায় ছিল। বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক জানান, বুধবার ময়নাতদন্তের পর দাদার মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করে। বুধবার বিকেলেই দখিগঞ্জ শ্মশানে দাদার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বাবু সোনার সন্ধানে এর আগে তারই বাড়ির পাশের একটি ডোবা সেচে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এমন ঘটনার পর থেকেই মানুষ ও পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। অবশেষে লাশ উদ্ধারের মধ্যদিয়ে সেই আতঙ্কই সত্যি হলো। রথীশ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ॥ রংপুরের সংস্কৃতিকর্মী রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন ও সংস্কৃতিখাতে অর্থ বাজেটের স্বল্পতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসিতে জোট দফতরে বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সংস্কৃতিজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ফকির আলমগীর, মানজার চৌধুরী সুইট, ফকির সিরাজ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, রংপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রথীশ চন্দ্র ভৌমিক (বাবুসোনা) সম্প্রতি নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। আমরা এই হত্যাকারীর দ্রুত বিচার দাবির পাশাপাশি সারা দেশে মাঝে মধ্যে এমন ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করছি। আমরা মনে করি, এমন ঘটনা সমাজে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও ভীতিকর সঞ্চার করে। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন সম্পর্কে বক্তারা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। বিগত বছরগুলোতে এই দিনে অতিরিক্ত সতর্কতা এবং কড়া নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহ মানুষের স্বাভাবিক উৎসব উদ্যাপনকে সঙ্কুচিত করে ফেলেছে, যা আমাদের ঐতিহ্য বিরোধী। অথচ সরকারের গৃহীত উৎসব উদ্যাপন কর্মসূচী বহুল প্রশংসিত ও সমাদৃত। আমরা আশা করি সরকারের উদ্যোগ ও নিরাপত্তা বিধানের পদক্ষেপের বৈপরীত্য ঘুচিয়ে নববর্ষ প্রাণের উৎসব হিসেবে পালিত হবে। প্রত্যেক জেলা, উপজেলায় নিরাপত্তা বিধানসহ বৈশাখী মেলা ও অনুষ্ঠান যাতে রাত আটটা পর্যন্ত উদ্যাপন করা যায় এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সাংস্কৃতিক খাতে বাজেট সম্পর্কে বক্তারা বলেন, আর দুই মাস পর জাতীয় বাজেট ঘোষণা হবে। আমরা আমাদের নানা আয়োজনে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে এক শতাংশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দাবি করে আসছি। অনেকেই এর যৌক্তিকতা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। রাজধানী কেন্দ্রিক কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন লেগেই থাকে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তা জাতীয় দিবস পালনে সীমাবদ্ধ আর ইউনিয়ন ও গ্রামকে আমরা দেশের অংশ মনে করি কী না সাংস্কৃতিক চর্চার প্রেক্ষাপটে তা ভেবে দেখা দরকার। শুধুমাত্র অনুদানের ওপর নির্ভর করে সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে না। এতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ একান্তভাবে নিতে হবে।
×