স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা থেকে বুদাপেস্ট যাবার পথে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ১১ আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অব্যাহতি পাওয়া আসামিদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দ-বিধি ২৮৭ ধারায় প্রসিকিউশন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুবুল আলম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আবেদন গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলায় অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামীউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স) এস এম সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স এ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন এবং মেকানিক শাহ আলম, নাজমুল হক ও আসামি সিদ্দিকুর রহমান। এর মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান, নাজমুল হক ও শাহ আলমকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। গত বছর ৭ ডিসেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় ১১ আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতির সুপারিশ করে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ নবেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরী অবতরণ করে। ত্রুটি মেরামত করে সেখানে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর ওই উড়োজাহাজেই প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্টে পৌঁছান। এ ঘটনায় দেশে বিদেশে তোলপাড় চলে। ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। এর আগে ৩০ নবেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের তিন প্রকৌশলীও। এর ছয় দিন পর ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এম এম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
