ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিজেদের রেকর্ডই ভাঙল পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৭:০১, ৪ এপ্রিল ২০১৮

নিজেদের রেকর্ডই ভাঙল পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে যেন ছেলেখেলা করছে পাকিস্তান। টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ নিশ্চিতের ধরন দেখে অন্তত সেটাই মনে হয়। করাচীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রত্যাবর্তনের আয়োজনে প্রথম ম্যাচে ২০৩ রান করে প্রতিপক্ষকে ৬০ রানে অলআউট করে সরফরাজ আহমেদের দল জিতেছিল ১৪৩ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেমন সেটি ছিল টি২০তে নিজেদের সর্বনি¤œ রানে অলআউটের লজ্জা, বিপরীতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। পরের দিনই দ্বিতীয় টি২০তে রেকর্ডটা ২০৫ রানে উন্নীত করে তারা। এরপর প্রতিপক্ষকে ১২৩ রানে অলআউট করে আসে ৮২ রানের জয়। সেই সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ পকেটে পোরে পাকিরা। টি২০তে এ নিয়ে টানা সপ্তম সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত কোন সিরিজ হারেনি দলটি। সোমবার করাচীতে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য অত ভাল ছিল না। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে রায়াদ এমরিটকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ফখর জামান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাবর ও তালাতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শক্ত ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। অভিষিক্ত ওডিন স্মিথের বলে তালাত ক্যাচ আউট হলে ভাঙ্গে ৬৬ বলে ১১৯ রানের বিধ্বংসী জুটি। ৪১ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রান করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত একপাশ আগলে রেখে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়তে সবচেয়ে অবদান রাখেন বাবর। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২০৩ করে আগের রেকর্ড ছুঁয়েছিল পাকিস্তান। একই সঙ্গে টি২০তে প্রথম দল হিসেবে টানা চার ম্যাচে ১৮০ ছাড়ানো ইনিংস গড়ে তারা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেও তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাবরকে। ম্যাচসেরা এই ব্যাটসম্যানের ৫৮ বলে খেলা ৯৭ রানের ইনিংসটি ১৩ চার ও এক ছক্কায় সাজানো। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে আন্দ্রে ফ্লেচারকে হারানো অতিথিরা কখনই প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তুলতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চার বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যা ক্যারিবীয়দের ইনিংস। চার দিয়ে শুরু করা চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪০ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ দিনেশ রামদিনের। ৩২ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার মোহাম্মদ আমির। দুটি করে শিকার শাদাব খান ও হুসাইন তালাতের। ২০০৯ সালে লাহোরে সফরকারী শ্রীল্কার টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে হাতে গোনা যে কটি ম্যাচ হয়েছিল তার সবকটিই ওই লাহোরে। দীর্ঘদিন পর উইন্ডিজের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি২০ দিয়ে করাচীতে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। রেকর্ড রান আর সিরিজ জয়ে উৎসবটা রঙিন করে দিলেন সরফরাজরা।
×