ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্মারকলিপি

মুন্সীগঞ্জে তিন ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৪ এপ্রিল ২০১৮

মুন্সীগঞ্জে তিন ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫/৬ হাজার একর তিন ফসলি কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের নালাটি বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। নালা বন্ধ থাকলে কমপক্ষে ৬ মাস জমিতে জলাবদ্ধতা থাকার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। জানা গেছে, সদরের চরশিলমান্দি লাগোয়া এলাকায় প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার একর তিন ফসলি জমি রয়েছে। বছরের পুরো সময়জুড়েই ওই জমিগুলোতে চাষাবাদ হয়। ওই আবাদি জমিগুলোতে বর্ষার পানি প্রবেশ ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণাধীন মুন্সীগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের পশ্চিম পাশের্^র দেয়াল লাগোয়া ৬০ থেকে ৭০ বছর আগের একটি সরকারী কালভার্ট ছিল। কালভার্টটি বন্ধ করে সেখানে নালার মতো তৈরি করা হয়েছে। নালাটিও পাশর্^বর্তী জমির মালিক হানিফ গত ৩-৪দিন আগে ভরাট করে ফেলেছেন। ফলে তিন ফসলি ওই সকল জমিতে এখন আর বর্ষার পানি প্রবেশ করতে পারবেনা। আবার বর্ষা ও বৃষ্টির পানি জমলেও তা নিষ্কাশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে করে ওই আবাদি জমিতে সময় মতো কোন ফসল ফলানো সম্ভব হবে না। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই কৃষি জমিগুলোর পশ্চিম দিকে সদর উপজেলার শিলমান্দি, পূর্বে নয়াকান্দি, উত্তরে চরশিলমান্দি ও দক্ষিণে কাটাখালি এলাকা অবস্থিত। মাঝখানে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। অল্প কিছুদিন আগে এ জমিগুলো থেকে আলু উত্তোলন করা হয়েছে। এখন কোন কোন জমিতে কুমড়া, ডাটা, পাট, ঢেঁড়স ও বেগুনসহ প্রায় ১২-১৫ ধরনের মৌসুমি সবজির চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকরা।আমীর হামজা নামে ওই এলাকার এক কৃষক বলেন, আমি গরিব কৃষক। এ জমিতে ফসল আবাদের মাধ্যমেই আমার সংসার চলে। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচে যোগান দেই। কালভার্ট ভরাট হয়ে গেলে জমিতে বছরে কমপক্ষে ৬ মাস জলাবদ্ধতা থাকবে। জলাবদ্ধতা থাকলে আলু, ধান, গম কোনটাই সময়মতো চাষাবাদ করতে পারব না। কৃষি কাজ ছাড়া অন্য কাজও পারিনা।
×