ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

মহেশখালীর ১৬ রাজাকারের বিচার শুরুর আদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৪ এপ্রিল ২০১৮

মহেশখালীর ১৬ রাজাকারের বিচার শুরুর আদেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কক্সবাজারের মহেশখালীর ১৬ রাজাকারের বিচার শুরুর আদেশ প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ১৩ মে সূচনা বক্তব্য সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করা হযেছে। অন্যদিকে শেরপুরের নকলার এস এম আমিনুজ্জামান ফারুকসহ চার জনের বিরুদ্ধে চার অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ হয়েছে। আসামি পক্ষের শুনানির জন্য ১ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছে। এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন রানা দাসগুপ্ত, ঋষিকেশ সাহা, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পলোয়ান ও পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসান। কক্সবাজারের মহেশখালীর ১৬ রাজাকারের বিচার শুরুর আদেশ প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দশ অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি এলডিপি নেতা সালামত উল্লাহ খান, নূরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও ওসমান গণি। আর ১২ আসামি মৌলবি মোহাম্মাদ জাকারিয়া শিকদার, অলি আহমদ, মোঃ জালাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুল ওরফে সাবুল, মমতাজ আহমদ, হাবিবুর রহমান, আমজাদ আলী, মৌলবি রমিজ হাসান, আব্দুল শুক্কুর, মোঃ জাকারিয়া, মৌলবি জালাল ও আব্দুল আজিজকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার কার্যক্রম চলছে। আদেশের পর প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল সাংবাদিকদের বলেন, গণহত্যার ছয়টি ঘটনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে ১০টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। উপস্থিত চার আসামিকে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান। উল্লেখ্য, মামলাটির তদন্তে ১৯ আসামির নাম এসেছিল। তাদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছিল পাঁচজনকে।ওই পাঁচজনের মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রশিদ মিয়া জামিনে থাকা অবস্থায় গত ২৯ মার্চ মারা যান। তার আগে আরও এক আসামি জামিনে থাকা অবস্থায় এবং গ্রেফতার অবস্থায় অসুস্থ হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ফলে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন করা হল ১৬ জনের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ মামলার তদন্ত চলে। এ মামলায় মোট ১২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
×