ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য ভিত্তিহীন ॥ ড. মোশাররফ

বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৪ এপ্রিল ২০১৮

বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সন্দেহজনক লেনদেন, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিএনপির এসব নেতার ব্যাংক হিসাব থেকে ৩০ দিনে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পেয়েছে দুদক। এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিএনপির ৮ সিনিয়র নেতাসহ ৯ জনের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেহজনক লেনদেনের যে তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রকাশ করেছে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপিার যে ৯ নেতার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে তারা হলেন দলের স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার ছেলে তাবিথ আউয়াল এবং যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। বিএনপির এসব নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কমিশন থেকে সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ সামসুল আলমকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা আজকালের মধ্যেই বিএনপি নেতাদের ব্যাংক হিসাবে গত এক বছরের লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেবেন বলে দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও সবকটি তফসিলি ব্যাংকেও চিঠি দেবেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। জানা যায়, বিএনপির ওই নেতাদের বিরুদ্ধে সন্দেহভাজন লেনদেন, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাওয়ার পর তা আমলে নিয়েছে দুদক। দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএনপির এই কয়েক নেতাসহ আরও কিছু উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন নেতা এইচএসবিসি ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিগত দশকে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। বিভিন্ন নাশকতার কাজে অর্থ লেনদেন করেছেন। এতে বলা হয়, বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার ব্যাংক হিসাব থেকে গত ৩০ দিনে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। নাশকতা সৃষ্টির জন্যই এ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ড. মোশাররফ বলেন, দুদকের বক্তব্যে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। যখন আমাদের নেত্রীকে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে এবং বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, এমন সময় দুদক থেকে কল্পকাহিনী প্রচার করা হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তারা হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ড. মোশাররফের নামে ২১ কোটি টাকার এ্যাকাউন্টের যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে আমার ও আমার পরিবারের কারো কোন এ্যাকাউন্ট নেই। দুদক মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমি দুদককে অনুরোধ করব কোন এ্যাকাউন্টে, কোন ব্রাঞ্চে, কবে কখন কত টাকা উত্তোলন হয়েছে এমনকি কত টাকা স্থিতি আছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করা হোক। ড. মোশাররফ বলেন, এর আগেও সরকার খালেদা জিয়াসহ আমাকে জড়িয়ে নানা কল্পিত সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছিল। তখন আমার নামে বলা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে নাকি আমি ৫ তারকা হোটেলের শেয়ার হোল্ডার। এখন অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের তথ্য পাওয়া যায়। অথচ তারা তা দেখাতে পারেননি। ড. মোশাররফ বলেন, যখন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন বেগবান হচ্ছে তখন বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্য ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট ও স্বৈরাচারী সরকার থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে এগুলো করছে সরকার। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমার নামে ৭ কোটি টাকার তথ্য দিয়েছে বাংলা ইনসাইডার ও দুদক। এটা একটা নোংরা রসিকতা। বাংলা ইনসাইডার কাদের প্রতিষ্ঠান তা আমরা বুঝি না। তারা কি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিষ্ঠান, যে তারা গোয়েন্দা সংস্থার আগে রিপোর্ট পায়। নাকি সরকারের কোন সংস্থা, যে সরকারের নির্দেশে গোয়েন্দারা তাদের রিপোর্ট দেয়। এটা বড় বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বাংলা ইনসাইডারের নামে মিথ্যা গল্প কাহিনী বানানোর কারখানা ব্যবহার করে এবং দুদককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের ঐক্যকে বিনষ্ট করা যাবে না। তিনি বলেন, বাংলা ইনসাইডারকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার সমস্ত ব্যাংকগুলো লুট করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে মিথ্যাচার করে তা প্রচার করছে। আওয়ামী লীগ বাংলা ইনসাইডারের মতো ২৫টি পোর্টাল করেছে ফেক নিউজ প্রচার করার জন্য। সামনে আরো মিথ্যাচার দেখতে পাবেন। কষ্ট হচ্ছে এজন্য যে, দুদকের মতো স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকেও ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। তারা এই কাজটি করছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। একটি দেশ তখন ধ্বংস যখন সে দেশের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ব্যবসা করি, লেনদেন হতেই পারে। কিন্তু দুদকের অভিযোগ বানোয়াট। গোয়েন্দা সংস্থার উচিত মানুষকে সত্যটা জানানো, কারও বিশেষ কাজে ব্যবহৃত না হওয়া। দুদককে বলব জনগণের টাকায় আপনাদের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জনগণকে হয়রানি করবেন না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। উল্লেখ্য, সন্দেহজনক লেনদেনে দুদক যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে তারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম. মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আওয়াল ও এম. মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির সিনিয়র আট নেতার বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট। বিএনপিকে কালিমালিপ্ত করতেই এই বানোয়াট অভিযোগ তুলেছে দুদক। খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই দুদককে কাজে লাগানো হচ্ছে। হঠাৎ করে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন বিক্রি আগামীকাল ॥ আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আগামীকাল ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন। রিজভী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যারা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী তারা যেন ৫ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পরের দিন ৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ৭ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দলের গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। যতই কৌশল করা হোক না কেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে- মওদুদ ॥ বিএনপিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাইরে রাখতে সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে বলে অভিযোগ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, যতই কৌশল করা হোক না কেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত আয়োজিত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মওদুদ বলেন, সরকারকে বলব, আপনারা যত ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করুন না কেন, যত রকমের ষড়যন্ত্র করেন না কেন, যতভাবে আমাদের নিষ্পেষিত করেন না কেন বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবে। সেই দিন আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতে হবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। মওদুদ বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান আগামী নির্বাচনে বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। সরকার এসব ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, সরকারী খরচে সুবিধা নিয়ে ভোট চাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। প্রধানমন্ত্রী যদি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দলের খরচে ভোট চাইতে যেতেন তাহলে ঠিক হতো, আমাদের কোন কথা বলতে হতো না। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তর‌্য বাখেন জাতীয় পার্টিও (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপা সভাপতি রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ। সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দুদক চেয়ারম্যানের ॥ বিএনপির শীর্ষ আট নেতার সন্দেহজনক ১শ’ ২৫ কোটি টাকার ব্যাংকিং লেনদেনের সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। মঙ্গলবার বিকেলে দুদক কার্যালয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ এসেছে, তদন্ত শেষে সবকিছু জানা যাবে। তিনি বলেন, কারও প্রতি অন্যায় হবে তা আমরা চাই না। যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই আমরা তদন্ত করি। আমার বা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেও তদন্ত হবে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কে কি বলছেন তা তাদের ব্যাপার। রাজনৈতিক ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই। তাছাড়া কারও প্রতিক্রিয়া দিয়ে তো দেশ বা কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আমরা নিজেদের বিদ্যা-বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ করি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইস্যু তৈরি করতে এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কাছে নির্বাচন কোন ইস্যু নয়। নির্বাচন যাদের ইস্যু বিষয়টি তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। আমাদের কাছে সব বছরই সমান। সব দিনই সমান। আমাদের কি আপনারা বেশি উত্তেজিত বা অতি উৎসাহী হতে কখনও দেখেছেন ? আমরা সবসময় সমানভাবে কাজ করে যাই।
×