ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাসান রেজাউলের ‘রুপালি ময়ূর’

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৩ এপ্রিল ২০১৮

হাসান রেজাউলের ‘রুপালি ময়ূর’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘রুপালি ময়ূর’। শুভাশিস সিনহার রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা হাসান রেজাউল। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ, ইরফান সাজ্জাদ, স্বাগতা, মাজনুন মিজানসহ অনেকে। ‘রুপালি ময়ূর’ নাটকটি আগামী ৬ এপ্রিল রাত ৯-০৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচার হবে। ‘রুপালি ময়ূর’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে অনন্যা চৌধুরী প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার নামডাক অনেক হলেও এক ধরনের নিভৃত জীবনযাপন করেন তিনি। লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই ভালবাসেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে যখন, বছর কয়েক আগে এমন সময়েই স্বামীর সঙ্গে বিদেশ চলে গিয়েছিলেন। ফিরেছেন দিন কয়েক আগে। সাধারণত সাক্ষাতকার দিতে পছন্দ করেন না। তার ফটো তুলতে গেলে বিশেষভাবে অনুমতি নিতে হয়। একেবারে নিজের পছন্দের বা কাছের সাংবাদিক কেউ হলে তিনি সাক্ষাতকার দেন। একেবারেই একটা একাকী জীবনযাপন করেন তিনি। এদিকে সিনে ম্যাগাজিন ‘রংধনু’র সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুব হোসেন। বস্তুনিষ্ঠ ও চমকপ্রদ সাংবাদিকতার জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। একদিন মাহবুবকে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক জাফর উল্লাহ বলেন, আগামী ঈদ সংখ্যায় অনন্যা চৌধুরীর একটা এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ আনতেই হবে। ঈদ সংখ্যার যে রকম প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তাতে তার প্রতিকার বাজার দখলের জন্য এর চেয়ে আর কোন ভাল ইস্যু হতে পারে না। মাহবুব কেমন যেন কেঁপে ওঠেন। তিনি অনীহা দেখান। নানা অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যেতে চান। বলেন, অনন্যা চৌধুরী খুব নাক-উঁচু মহিলা বলেই তিনি জানেন। আর এমন সিনিয়র পর্যায়ে এসে ও রকম এক মহিলার সম্ভাব্য অপমানজনক আচরণ তিনি বরদাশত করতে চান না। কিন্তু জাফর তাকে, খানিকটা রাগের স্বরেই বলেন যে, এটা তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর তিনি খুব কষ্ট করে অনন্যাকে রাজি করিয়েছেন, যা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। এমনকি অনন্যা পুরো এক সপ্তাহ সময় দেবেন ইন্টারভিউটার জন্য। মাহবুব তাকে জানায় যে অনেক আগে, তখন অনন্যা তেন পপুলারও হয়ে ওঠেনি, তখনও একবার তার শর্ট ইন্টারভিউ করতে গিয়ে মাহবুবকে অনেকক্ষেত্রে বিব্রত হতে হয়েছে। দু’জনে অনেক বাগ্বিত-ার এক পর্যায়ে জাফর তাকে কটাক্ষ করে বলেন, আর কোন গোপন রহস্য কি আছে, যে কারণে মাহবুব চাচ্ছে না ইন্টারভিউটা করতে। যখন আক্রমণটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে হয়ে যায় তখন মাহবুব চটে গিয়ে রাজি হয় কাজটা করতে। শুরু হয় মাহবুবের মিশন। মাহবুবের ভেতর এক ধরনের ঝড় শুরু হয়। সে তা কাউকে কোন দিনও বলতে পারবে না। বলেওনি। এক একটা বিষয় থাকে যা একেবারেই তার ব্যক্তিগত। আজ অনেক দিন পর অনন্যা চৌধুরী ইন্টারভিউ করতে গিয়ে তার ভেতর অনেক কিছুই যেন টলে উঠতে লাগল। একটা যন্ত্রণা। কীভাবে সে নিজেকে নির্বিকার রাখবে এই নিয়ে তার ভাবনা।
×