ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডুপ্লেসিসের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল লিড

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ৩ এপ্রিল ২০১৮

ডুপ্লেসিসের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল লিড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জোহানেসবার্গ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ফ্যাফ ডুপ্লেসিস। অধিনায়কের ক্লাসিক্যাল ১২০ রান ও ডিন এলগারের হাফ সেঞ্চুরির (৮১) সৌজন্যে ৬ উইকেটে ৩৪৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৪৮৮/১০। সব মিলিয়ে প্রোটিয়াদের লিড ৬১১। ৬১২ রানের অসম্ভব লক্ষ্যে চতুর্থ দিন চা-বিরতির পরই মাঠে নামে বল টেম্পারিং কলঙ্কে জেরবার অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা অলআউট হয় মাত্র ২২১ রানে। চার টেস্টের সিরিজে ২-১এ এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপটাউনে বল টেম্পারিংয়ের কারণে বিধ্বস্ত অসিদের এখানেও কুপোকাত করতে পারলে ১৯৭০ সালের পর পর ঘরের মাটিতে অসিদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে প্রোটিয়ারা। বৃষ্টি বা ব্যতিক্রম কিছু না হলে ঐতিহাসিক অর্জনের পথে ডুপ্লেসিসের দল অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ৩ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে সোমবার চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান যোগ করে প্রোটিয়ারা। যেখানে অধিনায়ক ডুপ্লেসিস একাই করেছেন ১২০। ১৭৮ বলে ১৮ চার ও ২ ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৫২তম টেস্টে ডুপ্লেসিসের এটি অষ্টম সেঞ্চুরি। চা-বিরতির আগে অপরাজিত ৩৫ ও ৩৩ রানের ঝড়ো দুটি ইনিংসে প্রোটিয়াদের বড় লিড পেতে সাহায্য করেন টেম্বা বাভুমা ও ভারনন ফিল্যান্ডার। অসিদের হয়ে পেসার প্যাট কামিন্স ৪ ও স্পিনার নাথান লেয়ন নেন ২ উইকেট। তার আগে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় দিন শুরু করেছিল ৬ উইকেটে ১১০ রানে। আঙ্গুলে সূক্ষ্ম চিড় নিয়েও ব্যাট হাতে নামেন পেইন। কামিন্সকে নিয়ে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হতাশ করেন প্রোটিয়াদের। সপ্তম উইকেটে দুজনে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। চার ম্যাচের এই সিরিজে এটিই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় জুটি! গত এ্যাশেজে তিনবার চল্লিশের কোটা পাড় করা কামিন্স (৫০) অবশেষে স্বাদ পেয়েছেন প্রথম টেস্ট ফিফটির। তাকে এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙ্গেন কেশভ মহারাজ। আর খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ করে পেইন আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। কাগিসো রাবাদার বলে মিড অফ থেকে পেছন দিকে অনেকটা দৌড়ে যে ডাইভিং ক্যাচটি নেন ডিন এলগার, সেটি থাকবে সব সময়ের সেরা ক্যাচগুলোর তালিকায়। আর সুযোগ থাকলেও অস্ট্রেলিয়াকে ফলোঅন করায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। আধুনিক অধিনায়কেরা ঝুঁকির পথে হাঁটেন কম সময়ই। পাশাপাশি আরেকটি কারণও থাকতে পারে। লাঞ্চের আগেই সাইড স্ট্রেইন নিয়ে মাঠ ছাড়েন শেষ টেস্ট খেলতে নামা মরনে মরকেল। হয়ত দলের অন্যতম স্ট্রাইক বোলারকে সুস্থ হওয়ার সময় দিতে চেয়েছিলেন ফ্যাফ ডুপ্লেসিস। যদিও সেটি আর সম্ভব হয়নি।
×