ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর বাইরে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ হয় গোড়ান সাটিয়াচড়ায়

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩ এপ্রিল ২০১৮

রাজধানীর বাইরে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ হয় গোড়ান সাটিয়াচড়ায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২ এপ্রিল ॥ আজ ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার। ৭১’র এই দিনটিতে মির্জাপুর উপজেলার গোড়ান-সাটিয়াচড়ায় রাজধানীর বাইরে গ্রামবাংলার প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ৭১’র আগে কারও মনে রাখার মত ছিল না এই অজপল্লী গ্রামটি। কিন্তু বীর শহীদদের রক্তের আল্পনায় এই অখ্যাত সাটিয়াচড়া মহান মক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। এদিকে বীর শহীদদের রক্তের আল্পনায় দেশ স্বাধীন হলেও শহীদদের গণকবরগুলো পড়ে রয়েছে অযতেœ অবহেলায়। ১৯৭১’র ২৫ মার্চের কালো রাতের পর মাত্র নয় দিনের মাথায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইল আক্রমণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। অপরদিকে টাঙ্গাইলের মুক্তিপাগল বাঙালী হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করতে কৌশল খুঁজতে থাকে। ২ এপ্রিল প্রেরণ যন্ত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন গোড়ান-সাটিয়াচড়া নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা ২৩ দেশপ্রেমিক ইপিআর সদস্যকে নিয়ে বাংকার খনন করতে থাকে। রাতে বাংকারে তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। অন্যদিকে নাটিয়াপাড়া এলাকায় বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর আরও একটি দল পজিশন নিয়ে থাকে। ৩রা এপ্রিল সকাল ৬টার আগেই পাকবাহিনীর ট্রাক বহর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাটিয়াচড়া নামক স্থানে আসামাত্র মুক্তি বাহিনীর বাংকার থেকে মেশিন গান ও স্টেনগানের গুলি গর্জে ওঠে এবং শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ইপিআরসহ ১০৭ বাঙালী শহীদ হন। অপরদিকে ৩৫০ জন পাকসেনা নিহত হয়। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে নিহত শহীদদের সাটিয়াচড়া ও নতুন গোড়ান গ্রামে গণকবর দেয়া হয়।
×