ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুচলেকা দিয়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার সময় পেল এক বছর

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৩ এপ্রিল ২০১৮

মুচলেকা দিয়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার সময় পেল এক বছর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হাতিরঝিলের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় পেয়েছে। ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না -এমন মুচলেকা দেয়ায় আদালত বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে এ সময় দিয়েছেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপীল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন। সোমবার আদালত বিজিএমইএকে এক বছর সময় দিয়ে আদেশের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভবনটি আপনারা ভাঙলে আপনাদের জন্যই সুবিধা। আপনাদের মালামাল রক্ষা পাবে। আর রাজউক ভাঙলে আপনারা সেটি পাবেন না। আদালতে এ সময় বিজিএমই এর পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। উল্লেখ্য ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভেঙ্গে ফেলার রায় দেন। ওই রায়ে বিজিএমইএ ভবনকে হাইকোর্ট ‘একটি ক্যান্সার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। এর আগে ওই ভবন ভাঙতে তৃতীয়বারের মতো আপীল বিভাগ সময় আবেদন করে বিজিএমইএকে আদালত আর সময় চাওয়া হবে না মর্মে মুচলেকা দিতে বলেন। সে অনুযায়ী বিজিএমইএ আদালতে মুচলেকা দিলে সেখানে কয়েকটি বিষয়ে অস্পষ্টতা আছে উল্লেখ করে আদালত সোমবার সংশোধন করে আবার মুচলেকা দিতে বলেন। এরপর বিজিএমইএ আদালতে সংশোধিত মুচলেকা দিলে তা দেখে আদালত সোমবার এ আদেশ দেন। আদেশের পরে বিজিএমইএ’র আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৩ সালে বিজিএমইএকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল ভবন ভাঙার জন্য। ওই আদেশটি বাস্তবায়ন করার জন্য এক বছর সময় চেয়েছিলাম। ১২ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত । এই আবেদনটি গ্রহণ করার জন্য মাননীয় আদালত অঙ্গীকারনামা দিতে বলেছিল। আজকে(সোমবার) আমরা সংশোধন করে অঙ্গীকারানামা দিয়েছি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের এক বছর সময় দিয়েছেন। আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ। ‘অঙ্গীকারনামায় আপনারা কী বলেছেন, জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র আইনজীবী বলেন, ‘অঙ্গীকারনামায় আমরা বলেছি, এরপর আর সময় চাইব না।
×